ফেসবুকে প্রায়শই বেশ কিছু নর নারীর আইডি দেখি যারা ধর্মীয় পোস্ট দেন এবং এদেরকে ফেইসবুক ইসলামিস্ট বলা হয়ে থাকে। আমি বেশ কৌতূহলী হয়ে গেলাম এবং ঘাটাঘাটি করে কিছু ব্যপার আবিষ্কার করলাম।
১। কিছু ইসলামিস্ট দুর্দান্ত। নিখুঁত। এরা সাধারণত পুরুষ।
২।একজন পাওয়া গেল কপি পেস্ট ইসলামিস্ট। লাইক কমেন্ট সিমীত, ফলোয়ার কম।
৩। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ ইসলামিস্টদের ভক্তকূল নারী এবং নারী ইসলামিস্টদের ভক্তকূল বলা বাহুল্য পুরুষ!
৪। নারী ইসলামিস্টদের স্টেটাসে লাইক কমেন্ট এর বন্যা। তর্ক বিতর্ক। নারী পুরুষ সবাই বাহাসে লিপ্ত।
আমি একটা নারী আইডি খুলে রাতারাতি ইসলামিস্ট হয়ে গেলাম এবং কি অদ্ভুত! লাইক কমেন্ট তর্ক বিতর্ক ,আমি নোটিফিকেশন এর জালায় ব্যতিব্যস্ত। প্রতিনিয়তই ইনবক্সে পরপুরুষ এর বন্ধু হওয়ার প্রস্তাব আসতেই থাকলো। এর মধ্যে বিবাহ প্রস্তাবও ছিল! হায়রে আদম।আমি নারী আইডি কে আব্দুল জলিল নাম দিয়ে পুরুষ আইডি করে ফেল্লাম। একাধারে দশ বারটি স্টেটাস দিলাম কিন্তু কোনটাই ৫ এর বেশী লাইক পেলনা,কমেন্টস নো। আমি আব্দুল জলিল ডিএক্টিভেট করে রাত তিনটা ত্রিশে ঘুমাতে গেলাম এবং ফযর মিস হল।
আমি কিছু সেলিব্রেটি পর্যায়ের ফেসবুক ইসলামিস্ট দেখেছি যাদের স্টেটাসে বেগানা নারী পুরুষ মিলে এমন সব বিষয় নিয়ে প্রকাশ্য আলোচনা হয় যা অনেক স্বামী স্ত্রী একান্তে আলোচনা করতেও লজ্জা পাবে।
শয়তানের নেক সুরতের ধোকা থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। আমিন।