অহনা""কেনো তুমি ঐ যন্ত্রদানব ট্রাকের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করলেনা !তোমার কি অধিকার আছে আমাদেরকে একটি প্রতিবাদ হতে বঞ্চিত করার।আমরাতো সারিবদ্ধ হয়ে ব্যানার, ফেস্টুন,প্ল্যাকার্ড হাতে দাড়িয়ে বিভিন্ন পোজে রং-বেরংয়ের ছবি পোষ্ট করতে পারতাম।তুমি কেনো আমাদের সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে ! সেই কারনে তোমাকে কাঠগড়ায় কেনো দাড় করাবোনা ? এর জবাব চাই।সামাজিক মাধ্যমে ঝড় বই্য়ে দিতে কি পারতামনা আমরা।
আশ্চর্যজনকভাবে এরকম একটা জাতিতেই পরিনত হতে চলেছি আমরা।সবকিছুতে স্বার্থ খুজে বেড়াই।দুই/তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যাই আমরা।আমাদের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করার দাবিগুলো নিয়েও একতাবদ্ধ হতে পারিনা ।এই একবিংশ শতাব্দিতে এসেও ন্যুনতম সামাজিক নিরাপত্তার জন্য কেনো আমাদেরকে লড়াই করতে হবে ! কেনো আইন তার নিজস্ব গতিতে পরিচালিত হবেনা ? আমরা জিম্মি হয়ে যাইতেছি ক্ষুদ্র কিছু গোষ্ঠির কাছে। সবকিছুতে আমরা পক্ষ-বিপক্ষ অথবা দলীয় পরিচয় খুজে বেড়াই। যদি সে আমার পক্ষের বা দলের না হয় তাহলে তার পক্ষে নিশ্চুপ হয়ে যাই । মনে করি এখানে আমার কোন দায়বদ্দতা নেই।কারন সে আমার সম্প্রদায়ের না।হ্যা আমরা এভাবেই বিভক্ত আজ।
সমাজের নানা স্তরে এতটাই অবক্ষয় ঘটেছে যে কখন, কোথায়, কেনো প্রতিবাদ জানানো প্রয়োজন সেটাই ভূলতে বসেছি আজ।"অহনা" ১জন শিল্পী বা সাংস্কৃতিক কর্মি।হয়তো সে কোন দল বা সংগঠণের সক্রিয় কর্মি নয় বলেই সবাই এতটা নিশ্চুপ।তাই বলে কি সে তার নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে ? শুধুই কি হতবাকের পর হতবাক হয়েই থাকবো আমরা ।
পুরো ডিসেম্বর মাস জুড়ে চলচ্চিত্র ,নাট্য ও সকল সাংস্খৃতিক কর্মিরা বিভিন্ন দলের হয়ে নির্বাচনি প্রচারকার্যে অংশ গ্রহণ করলেন।এমনকি কেউ কেউ সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়ি অথবা পরাজিত হলেন তারা কোথায় ? তাদের কি কোন দায়বদ্ধতা নেই ।তাদের সহকর্মির প্রতি !আমরা কি এতটাই স্বার্থপর হয়ে যচ্ছি ।যেখানে স্বার্থ নেই সেখানে এতটাই নির্বাক হয়ে কি প্রমাণ করছি আমরা ।এই যদি হয় বাস্তবতা তাহলে আগামির বাংলাদেশটা শুধুই অন্ধকারাচ্ছন্ন বলেই মনে করছি আমি।এত বড় একটি দূর্ঘটনার পরেও সাংস্কৃতিক কর্মি বা তাদের সংগঠনের নিরবতায় আমি হতবাক না হয়ে পারছিনা।আমি জানি আমরা এখনও এমন স্তরে পৌছে যাইনি যেখানে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।যত বাধা বিপত্তিই আসুকনা কেনো।কিন্তু সবকিছুতেই কেনো আমাদের শুধুমাত্র একজনের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে হবে।সকল কিছুর সমাধানের জন্য যদি ১জনের নির্দেশের অপেক্ষায় থাকতে হয় তাহলে আর সকল মন্ত্রনালয় বন্ধ করে দেওয়া হোক।শুধু শুধু ট্যাক্সের টাকায় কি দরকার অকর্মণ্য মন্ত্রি বা বাহিনি পোষাড়।গালভরা বুলি কপচানোই কি তাদের দায়িত্ব ?
তাহলে কি বিচার বা যে কোন অন্যায়ের প্রতিকার পেতে হলে মামা,চাচা এই শ্রেনীর কেউ থাকতে হবে প্রশাসনে ? পক্ষান্তরে কি আমরা খুনী,চাটুকার ও দলান্ধদের পক্ষেই দাড়াচ্ছিনা।অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে যারা তারা বার বার অপরাধ করতেই থাকবে।আর আমরা শুধু সেই কাকের মত কাঁ কাঁ করেই যাবো প্রধানমন্ত্রী ,প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বাঁচান। শ্রমিক নামের খুনিদের পক্ষে দাড়িয়ে অচিরেই হয়তো কোন মন্ত্রীর সফাই শুনতে হবে আমাদের।কিন্তু এভাবে চলতে পারেনা,চলবেনা। জনতার আদালত শুরু হলে কিন্তু সয়লাব হয়ে যাবে ।কাজেই সাধূ সাবধান ,সময় কিন্তু বয়ে চলেছে ...।
ধন্যবাদ।This is fear...
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৪