somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেষের পাতা - ১০

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পুরো বাড়িটা চেনা অচেনা আত্মীয়স্বজনে ভরে উঠেছে। এই অলুক্ষণে বিয়ের আমেজে সবার মনে যেন খুশির জোয়ার বইছে। আমি সব সহ্য করে দরজায় খিল লাগিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বসে থাকি। কবে যে এই অসহ্য পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাবো। নিশ্বাসটা ক্রমাগত বন্ধ হয়ে আসছে। দিন কাল ক্ষণ সব এক বিন্দুতে এসে মিশেছে যেন। একদিন আবিষ্কার করলাম সেই দিনটিও নিঃশব্দে এসে আমার দোরগোড়ায় দাড়িয়ে রয়েছে। আমার অপেক্ষার পালা শেষ। আগামী দিনটায় আমার ঘড়ির কাটা থেমে যাবে। সূর্যদগ্ধ ক্লান্ত পথিক মহীরুহ আশ্রিত এক পরগাছায় পরিণত হবে।

সারা রাত দুচোখের পাতা এক করতে পারিনি। হাতদুটো টেবিলে পেতে মাথাটা তার উপর কাত করে সারা রাত আটিসের জানালার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। সেই রাতের পর চোখে চোখ পড়লেও সাথে সাথে চোখ ফিরিয়ে নিয়েছি। পরমুহূর্তে আবার তাকানোর অদম্য ইচ্ছাটাও চাপিয়ে রেখেছি। কিন্তু সময় যে দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। তাই এতদিনের জুলুমের পর আজ নাহয় একটু প্রশ্রয়ই দিলাম নিজেকে। বেশি কিছু নয়, শুধু রাতভর এই লাগামহীন তাকিয়ে থাকা। আটিসের ঘরে সারারাত আলো জ্বলেছে আজ। আমার দিকে অনেকবার তাকিয়েছে কিন্তু ওর দৃষ্টিটা বার বারই মনে হয়েছে আমাকে ছাড়িয়ে দূরে কোথাও হারিয়ে গেছে। সামনে ওর ছবি আঁকার লাল খাতাটা খুলে রাখা, অথচ কিছু আঁকছে না তাতে। কি নিয়ে যেন খুব অস্থির মনে হচ্ছিল। আমার ঘটনাটা নয় অন্য কিছু। মাঝে মাঝে শুধু দুহাতের আঙুলগুলো চুলের মধ্যে ঢুকিয়ে সামনে থেকে পিছনে নিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ আশেপাশে অজস্র পাখি ডাকতে শুরু করলো।

ভোরের প্রথম আলোটা এসে চোখে পড়তে উঠে জানালার কাছে গিয়ে দাড়ালাম। আধারে আলোর এই মায়া খেলাটা দেখলে মনে হয় সব ধুয়ে মুছে নতুন একটা আশার আলো জন্ম নিচ্ছে। নতুন এক দিনের নতুন সব সম্ভাবনা। মনটা ভাল হয়ে যায়। কিন্তু আজ মেঘে ঢাকা আকাশটায় আলোটা বড়ই মলিন। এই ঝাপসা আধারে বেলির গাছটার দিকে চোখ পড়লো। গাছটার নিচে একটি বেলি ঝরে পড়েছে। কয়েকদিন হল দেখছিলাম গাছটা ভরে এই প্রথমবারের মতন বেশ অনেকগুলো কলি এসেছে। মনটা কেমন যেন করে উঠলো। মনে হল নিষ্ঠুর মানুষগুলোর পদতলে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার আগে ফুলটা নিয়ে আসি। পৃথিবী এখন ঘুমন্ত, এখনি সময়। দরজার খিলটা খুলে দেখি সবাই অকাতরে ঘুম। পুরো মেঝেতে মানুষের ঠাসাঠাসি। গত রাতে তিনটা পর্যন্ত গল্প করে যে যেখানে পেরেছে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। একজনের সাথে আরেকজন এমনভাবে ঘেষে রয়েছে যে হাটাই মুশকিল। তারমধ্যেও ফাকা জায়গা খুজে সন্তপর্ণে পা ফেলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। কাঁঠালতলায় আমাদের আড্ডাস্থলে বেলির গাছটার ঠিকানা। খালি পায়ে বৃষ্টি ভেজা ঘাস পেরিয়ে পৌছে গেলাম সেখানে। দেখি আধো ফোটা একটি কলি। আহা বেচারা! পুরোটা ফোটার সময় পায়নি, অসময় ঝরে পড়লো।

এক বছর আগে এমনই এক সকালে আটিস আমার জানালার নিচে এসে জোরে জোরে ডাকছিল, “সোহানা, সোহানা”। আমার ঘুম খুব পাতলা দেখে রক্ষে। তা নাহলে পাড়াশুদ্ধ সবাইকে জাগিয়ে তুলতো। বেশ চিন্তিত হয়ে তাড়াতাড়ি জানালার পাশে গিয়ে দাড়ালাম। ভোরের আযানের পর পর বেলির গাছটা লাগিয়েই কাঁঠাল গাছটায় হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। বৃষ্টি আসায় অচকিতে ঘুম ভেঙ্গেই আমাকে ডেকে তুলেছে তার এই অসাধ্য সাধন দেখার জন্য। খুবই বিরক্ত হয়েছিলাম। এ কি পাগলামো। বর্ষার অঝোর ধারায় কাকভেজা হয়ে ছেলেমানুষের মতো চিৎকার করে বলল, “সোহানা তোমার বেলি গাছ। আগামি বর্ষায় ফুল ধরবে”।
“আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে। এখন বাসায় যাও। ভেজা কাপড়গুলো বদলাও” গতদিন আড্ডায় শুধু বলেছিলাম, “বেলি ফুলের একটা গাছ থাকতো ভাল হতো। আমার সবচেয়ে প্রিয় ফুল অথচ আমদের কোনো গাছই নাই” ব্যাস এইটুকু। আর তাই বলে এই সাতসকালে গাছ লাগিয়ে ঘুম থেকে উঠিয়ে দেখাতে হবে? এটা পাগলামো ছাড়া আর কি হতে পারে? যদিও আটিস বরাবরই কিছুটা খামখেয়ালিপনা করতে পছন্দ করত, তাই বলে এতটা না। এ নিছক পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না। পাগলামোই ছিল, যে পাগলামোর অর্থ বুঝতে পারিনি সেদিন। ফুলটা নিয়ে এসে আমার টেবিলের ড্রয়ারটাতে রেখে দিলাম। কি নিয়তির ফের, তুষার শুভ্র নিষ্পাপ তারুন্য কেমন অকালে ঝরে পড়লো।

আজ যে কাবিননামাটা হবে সেটা হবে তিনজন মানুষের স্বার্থসিদ্ধির চুক্তিপত্র আর তাতে আমার সাক্ষর করাটা হবে নিজেকে আত্মহুতি দেয়ার সামিল। একজন ঋণগ্রস্ত পিতার ঋণ শোধ হবে, একজন সমকামী পুত্রের পিতা সুশীল সমাজে প্রমান করবেন তার পুত্র সমকামী নয় আর একজন সমকামী পুত্র তার দুরাভিসন্ধির প্রথম পদক্ষেপ ফেলবে। সবকিছুই সাজানো। মানুষের চোখে ধুলো দেয়ার সুপরিকল্পিত সাজানো নাটক। এ থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো পথ নেই, অনুযোগ জানানোর কোনো মানুষ নেই, শুধু ভবিতব্য মেনে নেয়া। একজন নারীর কাছ থেকে তার নারীত্ব, মাতৃত্ব, সাংসারিক সব সুখ কেড়ে নিলে সে কিসের জন্য বাঁচবে? হঠাৎ খুব বাজে একটা চিন্তা মাথার মধ্যে খেলে গেল।

আব্বাকে ইদানিং কেমন জানি অমানুষের মতো মনে হয়। আমার ছোট বোনটা তার মায়ের সাথে নানা বাড়ি গেছে সে কবে। প্রায় বছর ঘুরতে চললো। আব্বার সাথে একদিন মনোমালিন্য চরমে উঠলে বাক্সপেটরা গুছিয়ে উনার নববধু মেয়েকে নিয়ে সেই যে গেল বাপের বাড়ি এখন পর্যন্ত আসার নামগন্ধ নাই। আব্বারও কোনো মাথা ব্যাথা নেই, ভারমুক্ত হয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়ায়। আপুর সাথে সম্পর্কটাও ঠিক করে নিয়েছেন। এবং বিয়ের প্রচুর দায়িত্ব আপুর ঘাড়ে চাপিয়েও দিয়েছেন। আপু একবার শুধু এই বিয়ের ব্যাপারে একটু আপত্তি তুলতে গেছিল। আব্বা সাথে সাথে কুলাঙ্গার বলে এই যে গালাগালি শুরু করলো, আপু একেবারে মুখে তরুপের তাস এটে চুপচাপ বিয়ের কাজগুলো করে যাচ্ছে।

একদিন আমাকে নিয়ে রাজিব ভাইয়ের সাথে একটা রেস্তোরায় দেখা করতে গেল আপু। আমাকে পৌছে দিয়ে নিজে চলে গেল বিয়ের বাজার করতে, থাকল না। কেমন যেন ভয় ভয় করছিল। রেস্তোরায় ঢোকার পর এত অজানা মানুষের ভিড়ের মাঝে দেখলাম একজন আমার দিকে এগিয়ে আসছে। বুঝলাম উনিই রাজিব ভাই হবেন। এই প্রথম দেখলাম। রাজিব ভাই আমার সাথে কেন যে দেখা করতে চেয়েছিলেন। মাথায় আসছিল না কি কারণ হতে পারে। উনি আগে থেকেই চা খাচ্ছিলেন। আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি খাবে?” “কিছু না” বলে উনার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে জিজ্ঞাসা করলেন, “ সো সোহানা আমার কোন জিনিসটা তোমাকে অ্যাট্র্যাক্ট করেছে? মানি? লুক্স? নাকি সামথিং এল্স?” অসম্ভব সুদর্শন এই রাজিব ভাই। লম্বা সুঠাম দেহ, কাটা কাটা চেহারা আর আধুনিক বচনভঙ্গি নারী পুরুষ যে কোনো কাউকেই আকর্ষণ করতে যথেষ্ট। কিন্তু উনার প্রথম বাক্যে যে মানসিকতার পরিচয় পেলাম তাতেই বীতশ্রদ্ধ হয়ে রাকঢাকহীন বিরক্তিতে জিজ্ঞাসা করলাম, “আপনে বিয়েটা করছেন কেন?”
বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে শুরু করলেন ভদ্রলোক, “তুমি প্রবাব্লি আমার কথাটা জানো। তাই না? আমার লাভার আছে। ড্যাড এতদিন মানেনি। ফর টেন লং ইয়ারস। বলেছে স্ট্রেইট বিয়ে করলে মানবে। মানবে মানে আগে বাসায় আসতে দিত না। এখন আসতে দিবে। বিয়েটা হচ্ছে দা ফার্স্ট স্টেপ। পরেরটা আমি পরে দেখব। সো তোমাকে এটা বলার জন্য ডেকেছি যে তুমি হয়তো আমার ওয়াইফ হবে অন পেইপারস বাট হি ইস মাই অ্যাকচুয়াল লাইফ পার্টনার। আমার কাছ থেকে হাসবেন্ডলাইক কিছু আশা করবে না। ইটস অল জাস্ট আ শো”

মাথা ঘুরছিল কথাগুলো শুনে। এ ভাষা এবং এ ধরনের ভিন্ন মানসিকতা কোনোটাতেই আমি অভ্যস্ত নই। ভাবলাম এ পরিবেশে আমি দুদণ্ডও তো টিকতে পারবনা। এতটুকু কথা শুনেই তো মনে হচ্ছে দৌড়ে পালিয়ে যাই। বললাম, “আপনাদের বাসায় আমাকে একটা ভিন্ন থাকার ঘরের ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন?” ভদ্রলোক কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললেন, “মনে হয় অ্যারেঞ্জ করতে পারবো। সো তুমি আমার শর্ত মানছো?”

সেদিন গাড়ি করে পৌছে দিয়ে গেলেন রাজিব ভাই। খুশিতে যেন হাওয়ায় ভাসছিলেন। সারারাস্তা একনাগাড়ে কথা বলে গেলেন। খুব বেশি কথা বলেন ভদ্রলোক। কি যেন এটাই হয়তো উনাদের সমাজে স্মার্টনেস। আমি গাড়ির জানালার কাঁচটা নামিয়ে বাইরের দিকে মুখ করে বুক ভরে বাতাস নিতে নিতে এসেছি। গাড়ির এই কৃত্রিম যান্ত্রিক পরিবেশের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসছিল। আমি যে বড় বেশি মাটির কাছে মানুষ হয়েছি। শিকড় ছিন্ন করে আজ কোন অজানা স্রোতে যে গা ভাসিয়ে দিতে চলেছি শুধু বিধাতাই জানে।

সন্ধ্যাবেলা পার্লার থেকে বউয়ের সাজ সেজে ফিরলাম। অনেক কাজ বাকি আছে বলে আপু বাসায় ছিল। মাষ্টারনীর সাথে পাঠিয়ে দিয়েছিল আমাকে। মাষ্টারণী ঐখানে গিয়ে জেন অস্টিনের ‘সেন্স অ্যান্ড সেন্সেবিলিটির’-র মধ্যে ঠাই আড়াই ঘন্টা নাক ডুবিয়ে বসে থাকলো। বাসায় আসার পর নিজের বাসায় ছুটলো সাজার জন্য। আমার সব বন্ধু বান্ধবের মধ্যেই কিছুটা পাগলামির লক্ষণ আছে মনে হয়। ঘরে ঢুকে হাতের ছোট পার্সটার ভিতরে ড্রয়ারে রাখা বেলিটা তুলে নিলাম। গায়ে হালকা বাদামী ছোপে ভরে গেছে।
আপুর কাছে গিয়ে বললাম, “আপু, আটিস আসবে না। ওর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসি?”

“এই বউয়ের সাজে? তুই চিন্তা কর কাজটা ঠিক হবে কিনা? তাছাড়া এখন তো সবাই রওনা দিব”

আপু আগে থেকেই জানে। কিভাবে যে জেনেছে সেটা জানি না। দুলাভাই একদিন আমাকে বলছিল, “সোহানা, সত্যিই তোমার লাক খারাপ। সাগরের দিলটা যত বড়, পৃথিবীর সব সাগর এক করেও তত বড় হবে না। এক্সেলেন্ট ছেলে………..” আপু পাশের থেকে খোচা না মারলে নিশ্চয় আরো গুণগান চালিয়ে যেত। শুনতে ভাল লাগছিল না। পরিবেশ পরিস্থিতি অন্যরকম হলে এই একই কথাগুলো শুনে হয়তো গর্বে বুক ভরে যেত। কিন্তু আজ এই কথাগুলো আমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে। সূক্ষ্ম একটা হিংসাও অনুভব করছি। আমি চাইনা আটিস অন্য কারো হোক। কিন্তু সে অধিকার আমি আজ খুইয়ে বসতে যাচ্ছি।

আপুকে বললাম, “এখনই চলে আসবো”

আটিসের ঘরে গিয়ে দেখি ও’ আমার দিকে পিছন ফিরে চেয়ারে বসা। সামনে টেবিলের উপর ওর আঁকার খাতাটা খুলে রাখা। একটা সাদা খালি পৃষ্ঠার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। পেন্সিলের একটা আঁচরও কাটা নেই। কি দেখছে বুঝি ও অমন করে।
আরেকটু কাছে এগিয়ে বললাম, “আটিস আমি যাচ্ছি” কিছু বলল না ও’, তাকিয়ে রইলো ফাকা পৃষ্ঠাটার দিকে।
“আজকের দিনটিতেও কি কিছুই বলবেনা আমাকে?” আমার দিকে এবার ফিরে তাকালো ঠিকই, কিন্তু চোখে উদ্ভ্রান্ত এক মানুষের দৃষ্টি। উঠে দাড়িয়ে অস্থির ভাবে চোখে চোখ রাখল, অথচ ওর চোখের তারায় কোন এক দূরে কোথাও হারিয়ে যাওয়া শুন্যতা। দিশাহারার মতো আমার কাঁধদুটো দুহাতে চেপে ধরে বলল, “সোহানা আমি পারছিনা। আমি আর আঁকতে পারছিনা। বিশ্বাস করো এই শেষ, আর আঁকবো না কোনোদিন। চাই না আর আঁকতে! কিন্তু এই শেষের পাতার ছবিটা যে কিছুতেই আঁকতে পারছিনা সোহানা। কি করবো আমি, বলে দিয়ে যাও”

ঐদিকে আবার সবাই বোধহয় তৈরি হয়ে গেছে। গাড়ির হর্নটা বার বার বাজিয়ে আমাকে তাড়া দিচ্ছে। আমি বললাম, “ফাকা রেখে দাও আপাতত। পরে যখন আবার আঁকতে মন চাইবে তখন এঁকো”

“সোহানা তুমি সত্যিই বলছো? পরে আবার মন চাইবে?”

“হ্যা, সত্যিই বলছি মন চাইবে। দেখ একদিন না একদিন ঠিকই মন চাইবে”
আটিসের চোখদুটো আমার কথায় আবার হেসে উঠলো। আমি একটু চমকেই গেলাম। ও’ আমার দিকে এভাবে কেন তাকিয়ে আছে? চেহারা দেখে মনে হচ্ছে সব কিছু যেন আবার আগের মতো হয়ে গেছে। আমার কথার যে কি অর্থ বুঝলো কে জানে?
...........চলবে
১ম পর্ব ২য় পর্ব ৩য় পর্ব ৪র্থ পর্ব ৫ম পর্ব ৬ষ্ঠ পর্ব ৭ম পর্ব ৮ম পর্ব ৯ম পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০১
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×