somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেষের পাতা - ৬

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হঠাৎ একদিন খাওয়ার টেবিলে বসে আব্বা আচমকা ঘোষণা দিল, “ রোহু , রাজিবের সাথে তোর বিয়ের কথা পাকা করে এসেছি । তুই বিয়ের জন্য রেডি হ ।” আমার তো শুনে আত্মারাম খাচাছাড়া , কিন্তু আপু দেখলাম বেশ ঠাণ্ডা গলায় বলল, “ সামনে ফাইনাল । এখন বিয়ের কথা ভাবছি না ।”
আব্বা ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের মত ফুঁসতে লাগলেন , “ তোর পড়ার আর দরকার নাই । বাদ দে পড়াশুনা । মেয়েদের এত লাই দিলে মাথায় উঠে । কালকে থেকে তোর মেডিকালে যাওয়া বন্ধ ।” আপু কিছু না বলে চুপচাপ খাওয়া ছেড়ে উঠে, হাত ধুয়ে নিজের ঘরের দিকে চলে গেল । পিছন পিছন যাওয়ার ইচ্ছাটা খুব কষ্ট করে নিবৃত করলাম, আব্বার হুঙ্কার আর শুনতে ইচ্ছা করছিল না ।
আপু ফাইনালটা দিল । শেষের দিন পরিক্ষা দিয়ে এসেই ঘরে টেনে নিয়ে আমাকে বলল, “ সোহু শোন , আব্বা তো কিছুতেই মেনে নিবে না । তাই আমি আর সোয়েব কালকে রেজিস্ট্রি করে ফেলবো । এরপর যে কপালে কি আছি জানি না ।” একটু থেমে আবার বলল, “ আব্বার জন্য চিন্তা হচ্ছে। বয়স হয়ে গেছে ধাক্কাটা সামলাতে পারে কিনা । কি যে হবে ।” বলে আপু খুব চিন্তিত মুখে, কটাস কটাস করে দাঁত দিয়ে নখ কাটতে লাগলো । আমার মুখ আর গলার ভিতরটা শুকিয়ে গিয়ে জিহ্বাটা এত ভারী হয়ে এল যে কোনো কথাই সরছিল না । কোনমতে তাও ঢোক গিলে জিজ্ঞাসা করলাম, “ রেজিস্ট্রির পর কি করবে ?”
“ আব্বার কাছে দুজনে দোয়া চাইতে আসবো ।” আপুর কণ্ঠটা হালকা কাপছিল , কথাগুলো বলতে বলতে চোখদুটো এক অজানা অনিশ্চয়তার মাঝে হারিয়ে গেল ।
“ আপু ?”
“ কি?”
“ আপু তুমি কি একটিবারও আমার কথাটা চিন্তা করলে না ?” আপু থতমত খেয়ে আমার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষন । “ আমি…….. আমি আসলে……” কথা হারিয়ে ফেলল ।
মনের কষ্টটা চাপা দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য বললাম, “ থাক আপু , চিন্তা কর না । আমি ঠিকই থাকব । আমার আর কি হবে ? যা ঝড় তো তোমার উপর দিয়েই যাবে । আব্বার গজগজানি শুনতে হবে একটু বেশি করে, এই আর কি, ওটা কোনো ব্যাপার না ।”
সেদিন অনেক রাত পর্যন্ত দুবোন মিলে গল্প করলাম । পুরনো দিনের কথা মনে করে কত যে হাসলাম আর কাঁদলাম, আর মাঝে মাঝে চাপা আতঙ্কে চুপ করে থাকলাম । রাতের নিরবতাকে ছাপিয়ে আমাদের দীর্ঘশ্বাসগুলো যেন কালকের দিনের অশুভ ইঙ্গিত ।
আপু পরের দিন সোয়েব ভাইয়ের সাথে এসেছিল ঠিকই । আব্বাও যথারীতি উনার গলার আওয়াজটা সপ্তমে চড়িয়ে যা নয় তা বলে গেলেন । সিনেমার মত বুকের বাঁ দিকটা খামচে ধরে বসে পড়লেন না , বরং টানা এক ঘণ্টা একনাগাড়ে চালিয়ে গেলেন । সব শেষে বললেন, “ দুধ কলা দিয়ে সাপ পুষেছি এতদিন । ছোটগুলোকে আর নষ্ট করতে দিব না । তুই বেরিয়ে যা । এ বাসায় আর কোনোদিন আসবি না ।”
আপু প্রচণ্ড কাঁদতে কাঁদতে বাসা থেকে বেরিয়ে গেল । এরপর কয়েকদিন যে আমি কিসের মধ্যে দিয়ে গেলাম , সেটা আর বলে বুঝাতে পারব না ।
আপু চলে যাওয়ার পর আব্বা একদিনও ওর নাম মুখে নেয়নি । প্রায় দুমাস হয়ে গেছে আপুর কোনো খোঁজ খবর নাই । বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সপ্তাহখানেকের মাথায় শুধু একবার ফোন করেছিল । সেদিন কেন জানি বার বার মনে হচ্ছিল আপু ফোন করবে । ঠিকই তাই, ফোন বাজতেই দৌড় দিয়ে গিয়ে ধরে দেখি আপু । বেশিক্ষন কথা বলতে পারিনি । আমরা যে ভাল আছি আর ঐদিকে আপুও যে ভাল আছে শুধু এইটুকু খবরই আদান প্রদান করতে পারলাম । আমার দৌড় দেখেই বোধহয় আব্বা এসে আমার হাত থেকে রিসিভারটা কেড়ে নিয়ে ঠাস করে রেখে দিলেন । সেদিন থেকে আমার ফোন ধরা বারণ ।
আব্বার সাথে আমার খুব সংক্ষিপ্ত কথাবার্তা হত, শুধুমাত্র প্রয়োজনে মুখোমুখি হওয়া । আমার সমস্ত মনোযোগ তখন পড়াশুনার দিকে । ভর্তি পরীক্ষাগুলোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম । তবে এত মানসিক চাপে পড়াশুনাটা তেমন যুতসই হত না । বল্টু কোচিং করতো । মাঝে মাঝে এসে নোট দিয়ে যেত ।
একদিন হঠাৎ সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে আব্বা আমার ঘরে ঢুকে চেয়ার টেনে নিয়ে বসলেন । জীবনের এই প্রথম আব্বা আমার ঘরে এলেন । আমি চোখ ছানাবড়া করে তাকিয়ে আছি । কি বিষয় ভেবে কোনো কূল কিনারা পাচ্ছিলাম না । এমন সময় আব্বা খোলা জানালাটার দিকে তাকিয়ে বললেন, “ সোহানা, তুমি যথেষ্ট বড় হয়েছো । তুমি তো বোঝো যে, তোমার বোন আমার মুখে যে চুনকালি মাখিয়েছে, তাতে আমার লোকসমাজে মুখ দেখাবার উপায় নাই । বিশেষ করে রাজিব আর তার বাবা মায়ের কাছে । আমার বন্ধু মানুষ , শখ করে নিজের একমাত্র ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন । কিন্তু এত লজ্জায় ফেলে দিল তোমার বোন । তো যাইহোক, আমি ভাবছি উনার কাছে গিয়ে মাফ চেয়ে রাজিবের সাথে তোর বিয়ের কথাটা বলবো । তাও যদি আমার মুখ রক্ষা হয় ।
চোখের এক পলকের মধ্যেই আমার পুরো পৃথিবীটা যেন সব ভেঙ্গে চুড়ে ছারখার হয়ে গেল । ঘটনার আকস্মিকতায় কিছু বলতে পারছিলাম না । বুকটা ফেটে যাচ্ছিল । খুব জোরে জোরে শ্বাস পড়তে লাগলো । আব্বার দিকে তাকিয়েই রইলাম । বিস্ফোরিত দুচোখে আমার সমস্ত রাগ ক্ষোভ ঘৃণা যেন ফেটে বের হতে লাগলো ।
“কি করে পারলেন আব্বা ? আমি তো কিছু করিনি । আমার জীবনটা আপনে শেষ করে দিতে চান ?” কান্নার দমকটা চাপতে গিয়ে কথাগুলো আটকে আটকে যাচ্ছিল । দু চোখে দু ফোটা জল এসে পড়তে গিয়েও থেমে গেল, দৃষ্টিটা ঝাপসা হয়ে উঠলো । আব্বা আমার দিকে একবারও তাকালেন না । চোখটা কেবল জানালা থেকে দেয়ালের দিকে ফিরিয়ে বললেন “ আমি চাই না তুমি তোমার বোনের মত ভুল কর ।” বলেই গট গট করে হেটে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন ।
আমি বালিশে মুখ চাপা দিয়ে চিৎকার করলাম । যত জোরে পারি গলা ফাটিয়ে চিৎকার করলাম । সব দোষ আম্মার । আম্মা কেন আমাকে ছেড়ে চলে গেল । আম্মা থাকলে আজ আমার এরকম হত না । আপুও স্বার্থপর , শুধু নিজের কথাটাই চিন্তা করলো । ওর জন্যই তো আজকে আমার এই অবস্থা । হাতের সামনে সব নোটগুলো রাগের চোটে ছিড়ে কুটি কুটি করে জানালার ফাক দিয়ে ফেলে দিলাম । হঠাৎ দেখি আটিস ওর জানালা দিয়ে খুব উদ্বিগ্ন হয়ে এদিকে তাকিয়ে আছে । আমি কিছুক্ষন ওর দিকে নিস্পলক তাকিয়ে দেখলাম । কি আশ্চর্য , বাইরের মানুষের আমার প্রতি যতটুকু অনুভুতি আছে বাসার মানুষগুলোর ততটুকুও নাই ।
পরেরদিন বিকাল পাঁচটায় সেই আগের মত বল্টুরা সবাই এসে হাজির । আটিস বিপদের আঁচ পেয়েই সবাইকে খবর দিয়েছিল । ঘটনা শুনে সবাই কিছুক্ষন মুখ শুকনো করে বসে থাকল । কল্পনাতেও কেউ ভাবতে পারেনি । কি বলবে বুঝতে পারছিলনা । কারন আমার আব্বা কারোরই অপরিচিত না । আমার যে কোনো উপায় নাই, নিস্তার নাই এই থেকে তা সবাই জানে । তাও শেষে বল্টু বলল, “ দেখি । দেখি কি করা যায় ।” আমি একটু কাষ্ঠ হাসি হাসলাম । কিছুক্ষন পর আটিস ছাড়া সবাই চলে গেল । ও’ জিজ্ঞাসা করল, “ রোহু আপুকে খবর দিব ?”
“ আপুকে ? আপুর খোজ জানো তুমি ? পরিক্ষা তো শেষ , কলেজে আসে ?”
“ সোয়েব ভাইয়ের বন্ধু লিটন ভাই হোস্টেল ছাড়েনি । ঐখানে গিয়ে খোজ নিয়ে বের করতে পারি ।”
একটু ভেবে বললাম , “ না থাক ”
“ কেন?”
মনে মনে ভাবলাম আপুও তো অনেকভাবে আমার খোঁজ নিতে পারতো । বর্ণাপুদের বাসায় ফোন করে আমাকে ডাকায় নিয়ে কথা বলতে পারতো । কই করেনি তো । বুকের মধ্যে এক দলা অভিমান পাকিয়ে উঠলো । বললাম, “ এমনি, থাক ।”
“এই বিয়েটা তুমি করবেই ?”
“ করতে তো হবেই, কি করব ?”
“ ‘কি করব’ মানে ? ‘না’ করবে ।”
“ লাভ নাই ”
“ তাহলে এই শেষ । তুমি গিভ আপ করছো ?”
“ হু করছি ”
আটিস কোনো কথা না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল ।
পরের দিন দুপুরবেলা ঢ্যাঙা বাসায় এল । বেশ উত্তেজিত দেখাচ্ছিল ওকে ।
“কালকে আমরা চলে যাওয়ার পর তোর সাথে আটিসের কি কথা হয়েছিল রে ?”
“ কেন ? এই বিয়ে নিয়েই কথা । আমি গিভ আপ করছি , এই সব আরকি । কেন কি হয়েছে ?”
“ আর কিছু বলেনি ?”
“ না, আর কি বলবে ? কেন ? কি হয়েছে ?” অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম । নিজের জ্বালায় বাঁচিনা আবার নতুন করে কি হল ।
“ কাল রাতে ও’ বাসায় ফিরেনি ।”
“ হোস্টেলে গেছে হয়তো ।”
“ না, হোস্টেলে তো থাকে শুধু পরিক্ষার আগে । তাছাড়া দারগা কাকু খোঁজ নিয়েছেন । হোস্টেলে নাই , টিউশনিতেও যায়নি ।”
এবার একটু ভয় ভয় করতে লাগলো , “ তাহলে? ”
“ তাহলে আর কি তোর জন্যই তো এ অবস্থা ।”
“ আমার জন্য? মানে ?” আকাশ থেকে পড়লাম, “ আমি তো আটিসকে কিছুই বলিনি ।”
ঢ্যাঙা এবার বেশ বিরক্ত হয়ে বলল “ না, তুই তো কিছুই বলিসনা , কিছু বুঝিসও না । তুই জানিস আটিসের ঘর ভরা যে শুধু তোর ছবি । ও’ যে তোকে কিরকম….. ” কথাটা বলতে গিয়ে থেমে গেল ।
একটু চুপ থেকে বলল, “ আমি যে কিছু বলেছি বলিস না ।” বলেই দৌড় ।
...........চলবে

১ম পর্ব

২য় পর্ব

৩য় পর্ব

৪র্থ পর্ব

৫ম পর্ব
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোকাকোলা সহ সকল কোমল পানীয় বর্জন করুন। তবে সেটা নিজের স্বাস্থ্যের জন্য, অন্য ব্যবসায়ীর মার্কেটিং কৌশলের শিকার হয়ে না।

লিখেছেন নতুন, ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

মার্কেটিং এর ম্যাডাম একবার বলেছিলেন, "No publicity is bad publicity." প্রচারের মূল উদ্দেশ্য হল মানুষের মনে ব্র্যান্ডের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া। কিছুদিন পরে মানুষ ভালো কি মন্দ সেটা মনে রাখে না,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওরা আমাদের ঐতিহ্যের পোশাককে নোংরা পোশাক হিসেবে পরিচিত করতে চায়। ওরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে গ্রাস করতে চায়।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০


"লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নি'মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।"

এক মৌলভী পোস্ট দিয়েছেন
"শাড়িকে একটি নোংরা পোশাক বানিয়ে দিয়েন না।
শরীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমূদ্র-সৈকতে - ১৬

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯



ছবি তোলার স্থান : মেরিনড্রাইভ, কক্সবাজার, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : পহেলা অক্টোবর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ।

বেড়াবার সবচেয়ে আকর্ষণীয় যায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সমূদ্র সৈকত। কখনো কখনো আমারও সুযোগ হয় বেড়াতে যাবার।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেইন্ট মার্টিন ও কোক ইস্যু

লিখেছেন নিবারণ, ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৪

বিগত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে চর্চিত বিষয়, কোকের বয়কট ও গত দুই দিন ধরে সেইন্ট মার্টিন মায়ানমার দখল করে নেয়ার খবর।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্রিভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, মায়ানমার সেইন্ট মার্টিন দখল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে গান গাইলাম (সাময়িক)

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ১৬ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:০৮

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে আমি আদর করে 'আই' ডাকি। আইকে দিয়ে অনেক কাজই করাতে হয়। এবারে, আমাদের ৫ ভাইদের নিয়ে একটি গান বুনেছি। আমরা ৫ ভাই অনেক দিন একসাথে হই না। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×