ক্লাস সিক্সে উঠে আমার নিজেকে বোধহয় একটু বড় বড় মনে হওয়া শুরু হল, দায়িত্বজ্ঞান, ন্যায় অন্যায় বোধ সব কিছু যেন একটু বেশীই টনটনা । কিংবা হয়ত আমার প্রতি আপুর আদরযত্নের মাত্রাটা কিছুটা কমে যাওয়াতে আমার মধ্যে সুপ্ত থাকা দায়িত্ববোধটা জেগে উঠতে শুরু করেছিল । আদরযত্নের মাত্রাটা কমার কারণ সেই একি বছর আপুর এস এস সি পরীক্ষা, আমাকে আর আগের মত সময় দিতে পারতো না । সারাদিনই শুধু পড়তো আর পড়তো, খুব পড়ুয়া ছাত্রী ছিল, রেজাল্টও ভাল করতো । সেইসময় কোথায় আপুকে হেল্প করবো, একটু সাপোর্ট দিব তা না বরং গিয়ে খালি বিরক্ত করতাম । যখন তখন পড়ার মধ্যে গিয়ে একেবারে সাধারণ কাজগুলো, যেগুলো নিজেই করতে পারতাম সেগুলোও আপুকে করে দিতে বলতাম । পড়তে পড়তে রাতের বেলা যখন চেহারার সজীবতাকে ছাপিয়ে রাজ্যের সব ক্লান্তি এসে ভিড় করতো আপুর মুখে সেইসময় গিয়ে বলতাম, “ আপু বিছানাটা করে দেও, শুবো ”
মলিন কণ্ঠে আপু বলতো, “ তুই রকুর মাকে একটু বল না, করে দিবে”
“ রকুর মা বিছানা করতে পারে না, কিচ কিচ করে, বালি বালি লাগে”
“ যা না সুহা লক্ষ্মী বোনটা আমার । আমার অনেক পড়া বাকী” আপুর ঐ ক্লান্ত চেহারায় চোখে মুখে এমন প্রচণ্ড আকুতির একটা ভাব ফুটে উঠত যে হার মানতেই হত ।
বেশ রাগ দেখিয়ে বলতাম, “ ঠিক আছে কিন্তু এই শেষ, কালকে কিন্তু তোমাকেই বিছানা করতে হবে” বলে নিজেই গিয়ে বিছানাটা করতাম । রকুর মাকে আর বলতাম না । বলাবাহুল্য যে প্রথম প্রথম বেশকিছু দিনই এরকম জ্বালিয়েছি আপুকে, কিন্তু পরে বিবেচনাবোধটা কাজে লাগিয়ে রণে ভঙ্গ দিয়েছি ।
সেই সময় রকুর মায়ের প্রায় পনের বছর হয়ে গেছে আমাদের বাসায় কাজ করে, কিন্তু কাজের মান এত্ত খারাপ । আর আম্মা চলে যাওয়ার পর তো দিনে দিনে আরো খারাপ হচ্ছে । দু-তিন দিন পরপরই আপু বলতো “ রকুর মাকে ছেড়ে দেয়া উচিত, আর সহ্য করা যাচ্ছে না” । গত কয়েক বছর ধরেই অবশ্য আপু এই একই কথা বলে আসছে । ওর রান্না খাবার খেলে পেট থেকে সব উগলে আসতে চাইতো । মনে হত কাঁচা মাছ মাংসের মধ্যে পচা পানি ঢেলে খেতে দিয়েছে । বেশিরভাগ দিন তাই আপুই রান্না করতো । আপু রান্নার হাত পেয়েছিল প্রায় আম্মার মতই, বেশ তৃপ্তি সহকারে খেতাম । আম্মা বেঁচে থাকতে তো আম্মাই রাঁধত আর ওই রকুর মা শুধু জোগাড় করে দিত । চেটেপুটে সবাই প্লেট সাফ করে খেত । আমাকে অবশ্য আম্মা খাইয়ে দিত । একজন মানুষ চলে গেলে তার সমস্ত ভালটুকু নিয়ে চলে যায় । তাও তো আপু আম্মার রান্নার হাত কিছুটা হলেও পেয়েছে, কিন্তু পুরোটা পায়নি । আম্মার মত ঠিক সেই স্বাদটা আনতে পারেনা ।
বল্টুর বড় বোন , বর্ণাপুও(বর্ণা আপু) সেই একই বছর আপুর সাথে এস এস সি দিবে । তার আগের বছর টাইফয়েডের জন্য একটা সাবজেক্ট দিয়ে পরীক্ষা ড্রপ করেছিল । আপুর বেস্ট ফ্রেন্ড, বেস্ট মানে একেবারে যাকে বলে হাড্ডাহাড্ডি সম্পর্ক । দেখতে মুখটা কচি কচি, লম্বায় আমার সমান, দেখলে মনে হত বুঝি আমার বান্ধবী । রোজ বিকালে এসে আপুর সাথে পড়তো । একদিন এরকম আমাদের বাসায় পড়তে এসে দেখে আমি আমার চুল নিয়ে খুব কসরত করছি, নিজের এই বেয়ারা চুলগুলোকে কোনোমতে বাগ মানিয়ে মাথার পিছনে কয়েকটা রাবার ব্যান্ড দিয়ে খোঁপা টাইপ একটা পোটলা বানাচ্ছি ।
প্রথমদিন আমার চুলের এই পোটলা দেখে মাষ্টারণী বলেছিল, “ তুই চুলে এটা কি বেঁধেছিস ?”
বললাম, “ এটার কোনো নাম দেইনি এখনো । কোনো মতে রাবার ব্যান্ড দিয়ে চুলগুলো আটকে রেখেছি । বেণী করতে গেলে টাইম নষ্ট । চুল আঁচড়াও, জট ভাঙো । এইভাবে পোটলা করে ফেললে চুল টুল আঁচড়ানো লাগেনা ।”
মাষ্টারণী বলল , “ এভাবে তোর চুল কিন্তু বেশীদিন আর টিকবে না । চুল আঁচড়ালে মাথার মাসে ব্লাড সারকুলেশন বাড়ে । চুলের গোড়া শক্ত হয় ”
“ ব্লাড সারকুলেশন আবার কি ?” জিজ্ঞাসা করেই বুঝেছি নিজ থেকে কি সর্বনাশ ডেকে আনলাম । এখন তো দুনিয়ার জ্ঞানের ভাণ্ডার খুলে বসবে ।
হতাশ হয়ে আমার দিকে তাকালো মাষ্টারণী, “ বই টই পড়িস না ঠিকমত, তাই না ?”
“ পড়বো না কেন ! পড়ি তো কিন্তু তুই ওই ব্লাড কি যেন বললি, ওরকম জিনিস তো কোনদিন পড়িনি ।
“ কেন রুহু আপুর বায়োলজি বইয়ে ব্যাঙের রক্ত সঞ্চালন তন্ত্র দেখিসনি ? রক্ত সঞ্চালন মানেই তো ব্লাড সারকুলেশন ”
বলে কি ? মাষ্টারণী কি পাগল হয়ে গেল নাকি ? আমি কিনা পড়বো পড়ার বই , তার উপর আবার কিনা ক্লাস টেনের বায়োলজি বই । ভিতরে ভিতরে আমার হাসতে হাসতে পেট ফেটে যাচ্ছিল । কিন্তু সামনে বুঝতে দিলাম না । বুদ্ধি করে বললাম,
“ তো রক্ত সঞ্চালন মানে যে ব্লাড সারকুলেশন সেটা বুঝবো কিভাবে সব তো বাংলায় লেখা”
“ বাংলার পাশে ব্র্যাকেটে ইংলিশেও লেখা আছে”
“ ও তাই খেয়াল করিনি । বাংলাটাই এত মন দিয়ে পড়ি যে ইংলিশটা খেয়ালই করিনি । ঠিক আছে এরপর থেকে খেয়াল করবো” বলে একটু লজ্জিতভাবে হেসে কাঁঠাল গাছটার দিকে শুন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম । মনে হল কাজ হয়েছে । মাষ্টারণী আমাকে আর ঘাটালো না । কি বুঝলো কে জানে ।
চুল নিয়ে আমাকে এত সময় নষ্ট করতে দেখেই মনে হয় বর্ণাপু তার প্রতিদিনের কিরে কেমন আছিস জিজ্ঞাসা না করে বলল, “কিরে সোহু নিচে যাসনি ? যা যা তাড়াতাড়ি যা । তোদের কি যেন সিরিয়াস মিটিং চলছে মনে হল” আমি চুলটাকে কোনো মতে ম্যানেজ করেই পড়িমড়ি করে নিচে দৌড় ।
নিচে গি্য়ে দেখি ঢ্যাঙা আর আটিস(সাগর) বাদে সবাই এসে গেছে । সবার মুখ থমথমে । চুপ করে বসে আছে । আমাকে দেখেই বিবিসি বলল, “ ঘটনা শুনেছিস ?” কি ঘটনা , কি বৃত্তান্ত কিছুই জানি না । হাফাতে হাফাতে জিজ্ঞাসা করলাম “ কি ? ”
বিবিসিই বলল, “ ঢ্যাঙার আজকে অপারেশন হয়েছে ”
আমি আকাশ থেকে পড়লাম , “ অপারেশন ? কি অপারেশন? কি হয়েছিল ?”
“কালকে রাতে আমাদের আড্ডা থেকে বাসায় গিয়ে হঠাৎ প্রচণ্ড পেটে ব্যাথা । প্রথমে ভেবেছিল যে কালকে আমরা সবাই ঐ তেতুলের আচারটা খেলাম না ? বোধহয় ঐটা খেয়েই কিছু......”
আমি বললাম, “ কিন্তু ঐটা তো আমিও খেয়েছি । আমার তো কিছু হয়নি !”
“ আহ হা তুই কথার মধ্যে এত কথা বলিস কেন ? আগে শোন না কি হয়েছিল । শুধু তুই কেন আমরা সবাই তো খেয়েছি, কারো কিছু হয়েছে ? ঢ্যাঙা বমিও করেছিল । তারপর তাড়াতাড়ি কাকুর ক্লিনিকে নিয়ে গেল । ঐখানে রাতেই অপারেশন হয়েছে । কি যেন অ্যাপেডিস না কি পুরোটা কেটে ফেলতে হয়েছে ।”
টর্চ বলল, “ ভাগ্যিস ওর আব্বা ডাক্তার । কত সুবিধা হয়েছে ।”
সবাই বেশ সিরিয়াস মুখেই মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো ।
আমার কেন জানি আম্মার কথা মনে পরে গেল । ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “ ঐ অ্যাপিডিস কেটে ফেললে মানুষ বাঁচে তো ?”
আমরা সবাই এক অজানা আতঙ্কে একে অন্যের দিকে মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলাম । শেষে মাষ্টারণীর দিকে তাকালাম । মাষ্টারণী বোধহয় এতক্ষণ এটাই চাচ্ছিলো । সবাই ওর দিকে একটু নজর দেই । বলল, “ অ্যাপেডিস না, অ্যাপেন্ডিক্স ! ক্ষুদ্রান্তের একদম শেষের দিকে থাকে । এটার তেমন কোনো কাজ নেই শরীরে । এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা ……..”
বল্টু অধৈর্য হয়ে বলল, “ সেটা তো বুঝলাম । কাটলে মানুষ বাঁচে কিনা সেটা বল !”
মাষ্টারনী ওর জ্ঞান বিতরণে বাধা পেয়ে বিরক্ত হয়ে বলল, “ তুই নখ কাটলে মরিস ?’
বল্টু বলল, “ ঐ নখ আর অ্যাপেন্ডিক্স এক হল ?”
“ আগে বল নখ কাটলে মরিস কিনা ?”
বল্টু বলল, “ না ! ” , একটু জোরেই বলল । মাষ্টারণীর সাথে ওরই মাঝে মাঝে একটু লাগে ।
মাষ্টারণী বলল , “ তাহলে অ্যাপেন্ডিক্স কাটলেও মরে না । কিছুই হয় না ”
আমি বিবিসিকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ তুই জানলি কেমন করে ?”
“ আটিস গেছিল ওর বাসায় কাল রাতে । ঐ যে ঢ্যাঙার ড্রয়িং হোম ওয়ার্কটা দিয়ে আসতে । গিয়ে দেখে এই অবস্থা । আটিস তো সাথে গেছিল । সারা রাত ছিল, আজ সকালে বাড়ি ফিরেছে ।” শুনে আমরা সবাই হতভম্ব ।
বল্টু বলল, “ বলিস কি ? দারগা কাকু কিছু বলেনি ? আটিস আজকে স্কুলে গেছিল ?”
বিবিসি বলল, “ না , যাবে কিভাবে, সকাল দশটায় বাসায় ফিরেছিল তো । আমিই তো একটু আগে ওর কাছ থেকে সব শুনলাম । ও এখনি আবার ঢ্যাঙাকে দেখতে গেল ”
সবাই একসাথে সজোরে চিৎকার করে উঠলাম, “ আবার??”
আমাদের সবার মধ্যে তখন হঠাৎ করে টনটনে দায়িত্বজ্ঞানটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো । বল্টু বলল, “ আমাদেরও যাওয়া উচিৎ । তোরা সবাই শোন, কালকে ঠিক বিকাল চারটায় সবাই এখানে চলে আসিস । বাসা থেকে পারমিশন নিয়ে আসিস কিন্তু । হেঁটেই যাবো, বেশি দূর তো না । ”
দৃঢ় প্রতিজ্ঞ চিত্তে সিদ্ধান্তে অটল, আগামীকালের মিশনের রোমাঞ্চকর অনুভূতি নিয়ে আমরা সবাই যে যার বাসায় ফিরলাম ।
মাগরিবের আযান দিয়ে দিয়েছে, এমন সময় মুখটা খুব সিরিয়াস করে বাসায় ঢুকলাম । ঢ্যাঙার খবরটা নিশ্চয় আপু জানে না । এত বড় একটা খবর আপুকে বলার জন্য হাত মুখ না ধুয়েই সোজা আপুর ঘরের দিকে গেলাম । দেখি বর্ণাপু ঘর থেকে বের হচ্ছে । আমাকে দেখে বলল, “ তুই রোহানার দিকে একটু খেয়াল রাখিস । ”
অবাক হয়ে বর্ণাপুর দিকে তাকালাম, দেখি চোখ দুটো লাল । “ কেন বর্ণাপু ? আপুর কি হয়েছে ?” বর্ণাপু কিছু না বলে মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেল ।
আমি আপুর ঘরে আস্তে আস্তে ঢুকলাম । দেখি আপু আমার দিকে পিছন ফিরে জানালার দিকে মুখ করে চেয়ারে বসে আছে । চেয়ারের পিছন দিয়ে আপুর চুলগুলো ছেড়ে দেয়া । ফ্যানের বাতাসে এলোপাথাড়ি দুলচ্ছে আর মাঝে মাঝে চুলের আগাটা মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে । বুকটা ধক করে উঠলো । পিছন থেকে দেখে মনে হচ্ছে যেন আম্মা বসে আছে । আস্তে করে পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম । দেখি একদৃষ্টিতে পশ্চিমের জানালাটা দিয়ে ঢলে পড়া সূর্যের শেষ আভাটুকুর দিকে তাকিয়ে কোথায় যেন, অন্য এক জগতে হারিয়ে গেছে । আরেকটু সামনে গিয়ে আপুর দিকে তাকিয়ে থমকে গেলাম । বুকের মধ্যে একটা মোচড় দিয়ে মনে হল নিঃশ্বাসটা বন্ধ হয়ে এলো । ধপ করে পাশের চেয়ারটায় বসে পড়লাম । বর্ণাপু উঠে গেছে বেশিক্ষণ হয়নি । চেয়ারটা তখনো গরম । আগে কখন খেয়াল করিনি, আপু যে দেখতে ঠিক আম্মার মত । কি যে সুন্দর লাগছে ।
পড়ন্ত সূর্যের আলোটা যেন অনেকদিন পর আম্মাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে । কতদিন যে আম্মাকে দেখিনি । আমি শুধু বুভুক্ষের মত চেয়েই রইলাম আর বুক নিঙড়ানো কষ্টে বার বার বলতে লাগলাম ‘ সূর্য, তোমার এই শেষ আলোটুকু আজকের জন্য আমাকে ভিক্ষা দিয়ে যাও । ক্ষণিকের এই বিভ্রমটা যে আর শেষ হতে দিতে চাই না ’ ।
যখন চারদিকে অন্ধকার হয়ে গেল, আশে পাশের দালানগুলোতে ইলেকট্রিকের বাতিগুলো জ্বলে উঠতে শুরু করল, আমরা তখন অন্ধকারের মাঝেই বসে আছি ।
খুব আস্তে করে ডাকলাম, “ আপু ” ।
আপু আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলো । তারপর জিজ্ঞাসা করল,” আম্মাকে তোর মনে পড়ে ?”
আপুর কথাটার উত্তর না দিয়ে বললাম,” আপু কি হয়েছে বলনা ?”
“ আমার কাছে আয় ” আমি একটু কাছে যেতেই হাতদুটো খুব শক্ত করে ধরে বলল, “ সারাজীবন মনে রাখবি পৃথিবীতে আমাদের আর আপন কেউ না থাকলেও আমরা দুজন দুজনের জন্য সবসময় থাকব ।”
আমি এবার একটু ভয়ই পেয়ে গেলাম । এসব কি বলা শুরু করলো আপু ।
“ আপু কি হয়েছে ঠিক করে বলোনা !”
আপু এরপর বলল । সবই খুলে বলল । কিন্তু যা বলল তা শুনে মনে হল আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে । আব্বা আবার বিয়ে করবে । পাত্রী আমার দাদীরই ঠিক করা । আমার নানীদের দিকেও বলে কারো অমত নাই । তলে তলে যে এত কিছু হয়ে গেছে টেরই পাইনি । আপু আগে থেকে জানত সবই কিন্তু ভাবতে পারেনি যে আব্বা রাজি হবে । ভেবেছিল আম্মার স্মৃতি আকড়ে ধরে আমাদের দুজনকে নিয়েই বাকীটা জীবন কাটিয়ে দিবে ।
আমি আর আপু দুজন দুজনকে খুব জোরে জড়িয়ে ধরলাম । জীবনের এই প্রথমবারের মত মনে হল, আমরা দুজন বড় অসহায়, বড় একলা ।
.........চলবে