একবার তো ঈদের নামাযে তিনি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন থুতু মেরে এক পরাশক্তিকে মুছে দিবেন মুনাজাতে এই কথা বলে। তিনি নিজে একবারও ভেবে দেখলেন না, মুসলমানদের দুর্দশার জন্য পরাশক্তিগুলো দায়ী নয়, দায়ী হচ্ছে মুসলমানরা নিজেরা। বাংলাদেশে সহ আরব দেশে মানবাধিকার ও সামাজিক অধিকারের যে চূড়ান্ত অবক্ষয় চলছে, তার বিরুদ্ধে তিনি ক'দিন প্রতিবাদ করেছেন? ক'দিন তিনি চিঠি লিখেছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে, আমন্ত্রন দিয়েছেন সেসব নেতাদের ইসলামের শান্তির পথে? ক'দিন তিনি নিজে প্রচার করেছেন সহনশীলতার কথা? পএিকায় দেখলাম তিনি মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকীকরণেরও বিরোধী। কি হতভাগ্য আমরা। তৃতীয় সংখ্যগরিষ্ঠ মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে রাজনৈতিক ইসলামের সাময়িক অসুস্থ উত্থান ঘটছে, তার পাশাপশি রাজনৈতিক খতীবরা ধর্মকে রাজনীতির স্বার্থে অপপ্রয়োগ করছেন। প্রকৃত ধর্মবিশ্বাসের গভীরতা ও আধ্যাত্মিকতা এদেশ থেকে না পালিয়ে কি উপায় আছে? ইসলাম মানে শান্তি ও সহনশীলতা, যারা ইসলামের নামে ঘৃণা, অসহিষ্ণুতা, অসহনশীলতা ছড়ান, তারাতো মুসলমানদেরকে তাদের ধর্ম থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দেন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৬ রাত ১:১৫