somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

র্যাগিং একটি অপরাধ, প্রয়োজন প্রতিকারের

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



টেবিল নম্বর-২১’। এটি একটি মুভি। হয়তো অনেকে দেখেছেন বা শুনেছেন। কিন্তু কে কীভাবে নিয়েছেন, তা জানি না। যে যেভাবে নিয়ে থাকুন না কেন, মূলত মুভিটার মুল ম্যাসেজ ছিল—not a joke, it is a crime.

এসএসসি কিংবা এইচএসসি পাস করে একজন কৃতী শিক্ষার্থী যখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় বা ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যায়, ঠিক ওই সময়ে র‌্যাগিংয়ের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়। ভর্তি কোচিং কিংবা ভর্তি নামক ভয়ংকর স্টেপগুলো পাড় করে একজন শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয় অনেক স্বপ্ন নিয়ে। নতুন ছাত্র হয়ে এসে সে সবার আগে যে জিনিসটার মুখোমুখি হয়, সেটা হলো র‌্যাগিং। আবার অনেক সময় পাড়ায় কোনো নতুন ছেলে-মেয়ে আসলে পুরাতনরা তাদের র‌্যাগিং দেয়।

র‌্যাগিং শব্দের প্রচলিত অর্থ হচ্ছে ‘পরিচয় পর্ব’। অর্থাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুরাতন শিক্ষার্থীদের একটা সখ্যতা গড়ে তোলার জন্য যে পরিচিত প্রথা, সেটিকে র‌্যাগিং বলে অভিহিত করা হয়। র‌্যাগিংয়ের শুরু প্রাচীন গ্রিসে। সেটা শুধু বড়দের আর ছোটদের পরিচয় পর্ব ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে র‌্যাগিংয়ের রূপ পাল্টাতে থাকে। বর্তমানে বড়রা পরিচয় পর্বের গালভরা শব্দের আড়ালে জুনিয়রদের নিয়ে যথেষ্ঠ শারীরিক ও মানোসিক যন্ত্রণা দেয়। সর্বপ্রথম ইংরেজরা এই সংস্কৃতির রচয়িতা। ইংরেজদের মাধ্যমে এই সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ করলেও এর বিবর্তিত রূপটাই আমাদের মধ্য রয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই পড়তে পারে না। একমাত্র মেধাবীরা ছাড়া। তা-ও ভর্তি পরীক্ষা নামক যুদ্ধে যে টিকে থাকে সেই পড়ার সুযোগ পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কাছে র‌্যাগিং শব্দটা বেশ পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে র‌্যাগিং ওতপ্রতোভাবে জড়িত। বাংলাদেশে প্রায় পাবলিক ভার্সিটিতে এবং মেডিকেল কলেজে র‌্যাগিং হয়ে থাকে। এ ছাড়া কিছু প্রাইভেট ভার্সিটিতেও র‌্যাগিং হয়। র‌্যাগিং সম্পর্কে অনেকেরই খারাপ ধারণা থাকলেও আবার কেউ কেউ বিষয়টিকে পজেটিভ ভাবেন। এর কয়েকটা ধরন রয়েছে। যেমন—পরিচয় দেওয়া, গান গাওয়া, নাচা, কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি। অনেকসময় রোদে ক্যাম্পাসে দৌড়ানো ও বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন রয়েছে। র‌্যাগিংয়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে সিনিয়র আপুদের ভালোবাসার প্রস্তাব দেওয়াসহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন হয়ে থাকে।

গত ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেনে এক শিক্ষার্থীকে হেনস্থা করছিল সিনিয়র কিছু শিক্ষার্থী। হেনস্থার শিকার শিক্ষার্থীর বন্ধুরা প্রতিবাদ করলে তাদের বেধম মারধর করে হেনস্থাকারী শিক্ষার্থীরা। উক্ত ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হয় সব পত্রিকায়। র‌্যাগিং কারো কারো জীবনে ইতিহাস হয়ে থাকে। র‌্যাগিং নিয়ে আমার বড় একটা অভিজ্ঞতা আছে। ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যাই। পরীক্ষা ভালো ও বেশি প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আমানত হলে উঠি। সঙ্গে আমার এক বন্ধু। পরের দিন পরীক্ষা নেই। তাই দুই বন্ধু মিলে সেই রাতের প্রায় আড়াইটা পর্যন্ত প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এরপর ঘুমাতে যাব। এমন সময় কে যেন বাইরে থেকে দরজা ঠেলছে। আমি খুলে দিলাম। দেখলাম চার বড় ভাই। তারা আমাদের উল্টা-পাল্টা প্রশ্ন করল। খুব বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম আর ভয় পাচ্ছিলাম। একজন বলল, গান গাইতে জানিস? অন্য একজন বলল, নাচতে জানিস? আমাকে গান গাওয়ার জন্য বলল। আমি বলেছিলাম, গান গাইতে জানি না। সে জন্য আমাকে ১০ বার কান ধরে উঠতে বসতে বলা হয়েছিল। এই ভয়ে একটা গানের দুই লাইন গেয়েও শাস্তি পেতে হয়েছিল। আমার বন্ধু নাচতে জানে না। নাচ না জানার অপরাধে তার শাস্তি হয়েছিল শরীরের জামা-কাপড় খুলে এক পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে আমি ওঠার আগে আমার বন্ধু আমাকে না বলে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে পরীক্ষা না দিয়ে পালিয়ে গেছে। তার অনেক স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার। গরিব ঘরের সন্তান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সামর্থ নেই। সেদিন রাতের র‌্যাগিংয়ের কারণে তার স্বপ্ন সে পুরন করতে পারেনি। মনে পড়ে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া চার শিক্ষার্থীর কথা। ডাস্টবিন থেকে পঁচা খাবার খাইয়ে, পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীরা এটার বিরোধিতা করলে তাদেরকে অর্ধনগ্ন করে এক পায়ে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এটাই এ দেশে র‌্যাগের নমুনা।

তবে বাংলাদেশে র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার খবর অনুযায়ী, র‌্যাগিংয়ের কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও অনেক শিক্ষার্থী পালিয়ে যায়। আবার অনেকে এটাকে ট্রাডিশন মনে করেন। মূলত, এটা একটা নির্যাতনের চলমান আধুনিক প্রক্রিয়া। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতে জুনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তার সিনিয়র ব্যাচের কাছ থেকে এটার শিকার হয় এবং নিজেরাও একি মানসিকতায় পরিণত হয়। সেই কলেজজীবন থেকে দেখেছি কেন শিক্ষার্থীরা র‌্যাগিংয়ের শিকার সবচেয়ে বেশি হয়? কোন ছাত্র যদি ক্ষমতাশীল দলের বাইরে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কিংবা বিরুদ্ধে মতামত পেশ করে, তাহলে এই র‌্যাগিং নামের নির্যাতন চালানো হয়। যাতে র‌্যাগিংয়ের ভয়ে দল ত্যাগ করে কিংবা পালিয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সময় এই বিষয়টির ওপর গভীর লক্ষ্য রাখা উচিত। র‌্যাগিং একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই অপরাধ বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রণয়ন করা উচিত। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র‌্যাগিং বিষয়ে চিন্তা করা উচিত। শিক্ষার্থীদের এর হাত থেকে রক্ষা করা উচিত। কারণ, এটি অনেকসময় গুরুতর ক্রাইমের পর্যায়ে চলে যায়। অনেকের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে যায়। বিভিন্ন খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ে। আবার অনেকে র‌্যাগের কারণে প্রতিশোধ স্পৃহা জাগে; যা একসময় বড় ধরনের অপরাধ করার দিকে তাড়িত করে।টেবিল নম্বর-২১’। এটি একটি মুভি। হয়তো অনেকে দেখেছেন বা শুনেছেন। কিন্তু কে কীভাবে নিয়েছেন, তা জানি না। যে যেভাবে নিয়ে থাকুন না কেন, মূলত মুভিটার মুল ম্যাসেজ ছিল—not a joke, it is a crime.

এসএসসি কিংবা এইচএসসি পাস করে একজন কৃতী শিক্ষার্থী যখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় বা ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যায়, ঠিক ওই সময়ে র‌্যাগিংয়ের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়। ভর্তি কোচিং কিংবা ভর্তি নামক ভয়ংকর স্টেপগুলো পাড় করে একজন শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয় অনেক স্বপ্ন নিয়ে। নতুন ছাত্র হয়ে এসে সে সবার আগে যে জিনিসটার মুখোমুখি হয়, সেটা হলো র‌্যাগিং। আবার অনেক সময় পাড়ায় কোনো নতুন ছেলে-মেয়ে আসলে পুরাতনরা তাদের র‌্যাগিং দেয়।

র‌্যাগিং শব্দের প্রচলিত অর্থ হচ্ছে ‘পরিচয় পর্ব’। অর্থাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুরাতন শিক্ষার্থীদের একটা সখ্যতা গড়ে তোলার জন্য যে পরিচিত প্রথা, সেটিকে র‌্যাগিং বলে অভিহিত করা হয়। র‌্যাগিংয়ের শুরু প্রাচীন গ্রিসে। সেটা শুধু বড়দের আর ছোটদের পরিচয় পর্ব ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে র‌্যাগিংয়ের রূপ পাল্টাতে থাকে। বর্তমানে বড়রা পরিচয় পর্বের গালভরা শব্দের আড়ালে জুনিয়রদের নিয়ে যথেষ্ঠ শারীরিক ও মানোসিক যন্ত্রণা দেয়। সর্বপ্রথম ইংরেজরা এই সংস্কৃতির রচয়িতা। ইংরেজদের মাধ্যমে এই সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ করলেও এর বিবর্তিত রূপটাই আমাদের মধ্য রয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই পড়তে পারে না। একমাত্র মেধাবীরা ছাড়া। তা-ও ভর্তি পরীক্ষা নামক যুদ্ধে যে টিকে থাকে সেই পড়ার সুযোগ পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কাছে র‌্যাগিং শব্দটা বেশ পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে র‌্যাগিং ওতপ্রতোভাবে জড়িত। বাংলাদেশে প্রায় পাবলিক ভার্সিটিতে এবং মেডিকেল কলেজে র‌্যাগিং হয়ে থাকে। এ ছাড়া কিছু প্রাইভেট ভার্সিটিতেও র‌্যাগিং হয়। র‌্যাগিং সম্পর্কে অনেকেরই খারাপ ধারণা থাকলেও আবার কেউ কেউ বিষয়টিকে পজেটিভ ভাবেন। এর কয়েকটা ধরন রয়েছে। যেমন—পরিচয় দেওয়া, গান গাওয়া, নাচা, কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি। অনেকসময় রোদে ক্যাম্পাসে দৌড়ানো ও বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন রয়েছে। র‌্যাগিংয়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে সিনিয়র আপুদের ভালোবাসার প্রস্তাব দেওয়াসহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন হয়ে থাকে।

গত ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেনে এক শিক্ষার্থীকে হেনস্থা করছিল সিনিয়র কিছু শিক্ষার্থী। হেনস্থার শিকার শিক্ষার্থীর বন্ধুরা প্রতিবাদ করলে তাদের বেধম মারধর করে হেনস্থাকারী শিক্ষার্থীরা। উক্ত ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হয় সব পত্রিকায়। র‌্যাগিং কারো কারো জীবনে ইতিহাস হয়ে থাকে। র‌্যাগিং নিয়ে আমার বড় একটা অভিজ্ঞতা আছে। ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যাই। পরীক্ষা ভালো ও বেশি প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আমানত হলে উঠি। সঙ্গে আমার এক বন্ধু। পরের দিন পরীক্ষা নেই। তাই দুই বন্ধু মিলে সেই রাতের প্রায় আড়াইটা পর্যন্ত প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এরপর ঘুমাতে যাব। এমন সময় কে যেন বাইরে থেকে দরজা ঠেলছে। আমি খুলে দিলাম। দেখলাম চার বড় ভাই। তারা আমাদের উল্টা-পাল্টা প্রশ্ন করল। খুব বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম আর ভয় পাচ্ছিলাম। একজন বলল, গান গাইতে জানিস? অন্য একজন বলল, নাচতে জানিস? আমাকে গান গাওয়ার জন্য বলল। আমি বলেছিলাম, গান গাইতে জানি না। সে জন্য আমাকে ১০ বার কান ধরে উঠতে বসতে বলা হয়েছিল। এই ভয়ে একটা গানের দুই লাইন গেয়েও শাস্তি পেতে হয়েছিল। আমার বন্ধু নাচতে জানে না। নাচ না জানার অপরাধে তার শাস্তি হয়েছিল শরীরের জামা-কাপড় খুলে এক পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে আমি ওঠার আগে আমার বন্ধু আমাকে না বলে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে পরীক্ষা না দিয়ে পালিয়ে গেছে। তার অনেক স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার। গরিব ঘরের সন্তান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সামর্থ নেই। সেদিন রাতের র‌্যাগিংয়ের কারণে তার স্বপ্ন সে পুরন করতে পারেনি। মনে পড়ে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া চার শিক্ষার্থীর কথা। ডাস্টবিন থেকে পঁচা খাবার খাইয়ে, পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীরা এটার বিরোধিতা করলে তাদেরকে অর্ধনগ্ন করে এক পায়ে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এটাই এ দেশে র‌্যাগের নমুনা।

তবে বাংলাদেশে র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার খবর অনুযায়ী, র‌্যাগিংয়ের কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও অনেক শিক্ষার্থী পালিয়ে যায়। আবার অনেকে এটাকে ট্রাডিশন মনে করেন। মূলত, এটা একটা নির্যাতনের চলমান আধুনিক প্রক্রিয়া। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতে জুনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তার সিনিয়র ব্যাচের কাছ থেকে এটার শিকার হয় এবং নিজেরাও একি মানসিকতায় পরিণত হয়। সেই কলেজজীবন থেকে দেখেছি কেন শিক্ষার্থীরা র‌্যাগিংয়ের শিকার সবচেয়ে বেশি হয়? কোন ছাত্র যদি ক্ষমতাশীল দলের বাইরে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কিংবা বিরুদ্ধে মতামত পেশ করে, তাহলে এই র‌্যাগিং নামের নির্যাতন চালানো হয়। যাতে র‌্যাগিংয়ের ভয়ে দল ত্যাগ করে কিংবা পালিয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সময় এই বিষয়টির ওপর গভীর লক্ষ্য রাখা উচিত। র‌্যাগিং একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই অপরাধ বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রণয়ন করা উচিত। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র‌্যাগিং বিষয়ে চিন্তা করা উচিত। শিক্ষার্থীদের এর হাত থেকে রক্ষা করা উচিত। কারণ, এটি অনেকসময় গুরুতর ক্রাইমের পর্যায়ে চলে যায়। অনেকের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে যায়। বিভিন্ন খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ে। আবার অনেকে র‌্যাগের কারণে প্রতিশোধ স্পৃহা জাগে; যা একসময় বড় ধরনের অপরাধ করার দিকে তাড়িত করে।

লেখক: সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×