somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও মাস্টারদা সূর্য সেন এবং বাঙালীর অনুপ্রেরণা

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১২ জানুয়ারি ছিলো মাস্টারদা সূর্য সেনের ৮৫ তম ফাঁসি দিবস। ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি মধ্যরাতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সূর্য সেন ও বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। সূর্য সেন ও বিল্পবী তারকেশর দস্তিদারকে ব্রিটিশ সেনারা নির্মম অত্যাচার করে। ব্রিটিশরা হাতুড়ী দিয়ে তাদের দাঁত ও হাড় ভেঙে দেয়। হাতুড়ী দিয়ে ইচ্ছে মতো পিটিয়ে অত্যাচার করে। এই অত্যাচারের এক পর্যায়ে মাস্টারদা ও তারকেশ্বর দস্তিদার অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর তাদের অর্ধমৃত দেহগুলোকে ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে পুরো মৃত্যু নিশ্চিত করে জেলা খানা থেকে ট্র্যাকে তুলে চার নং ষ্টীমার ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর মৃতদেহ দুটোকে বুকে লোহার টুকরো বেঁধে বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর সংলগ্ন একটি জায়গায় ফেলে দেয়া হয়। যাতে কেউ মাস্টারদা ও তারকেশরের মৃত দেহও খুঁজে না পায়।

চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া এই বিল্পবী নেতা তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং নিজের জীবনও বলিদান করেন দেশের জন্য। ভারতীয় প্রজাতান্ত্রিক বাহিনী চট্টগ্রাম শাখা গঠন করে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময় সশস্ত্র বিল্পবের ডাক দেন মাস্টারদা সূর্য সেন। এছাড়া চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়ে ব্রিটিশদের হাত থেকে টানা চারদিন চট্টগ্রামকে মুক্ত রাখেন বিল্পবীরা। মাস্টারদার নেতৃত্বে অস্ত্রাগার লুণ্ঠন, ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ, জালালাবাদ যুদ্ধ হয়।
মাস্টারদার পুরো নাম সূর্য কুমার সেন। তবে মাস্টার দা নামে সহযোদ্ধাদের কাছে বেশ পরিচিত ছিলেন। মাস্টার দা ১৮৯৪ সালের ২২ মার্চ চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার নোয়াপাড়ায় একটি সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম রাজমনি সেন এবং মাতার নাম শশী বালা সেন। মাস্টারদারা ছিলেন দুই ভাই ও চার বোন। শৈশবে পিতা মাতাকে হারিয়ে সূর্য সেন চাচা গৌরমণির কাছে মানুষ হয়েছেন। ছোট বেলা থেকেই পড়ালেখার প্রতি মনযোগী ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী স্বভাবের ছিলেন। সেই সাধারণ পরিবারের ছোট্ট সূর্য একদিন আলো ছড়িয়ে পুরো দেশকে স্বাধীন করতে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছিল। কে জানতো সেই সূর্য কুমার সেনই একদিন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা হয়ে যুগের পর যুগ লক্ষ কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিবে?

১৯১৮ সালে বহররমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে বিএ পাশ করে চট্টগ্রামে ফিরে আচার্য হরিশ দত্তের জাতীয় স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করার মাধ্যমেই মাস্টারদার কর্মজীবন শুরু। অসহযোগ আন্দোলনের সময় বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে গেলে তিনি দেওয়ানবাজারের বিশিষ্ট উকিল অন্নদা চৌধুরীর প্রতিষ্ঠিত অধুনালুপ্ত ‘উম্মতরা উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে’ অংকের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এই সময় বিল্পবী দলের সাথে যুক্ত হয়ে ওঠে এবং শিক্ষকতা করার কারণে তিনি মাস্টারদা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন বিল্পবী সহযোদ্ধাদের কাছে।

১৯১৬ সালে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় উক্ত কলেজের অধ্যাপক চতীশচন্দ্র চক্রবর্তীর সান্নিধ্য লাভ করে সরাসরি রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হন মাস্টারদা। অধ্যাপক চতীশচন্দ্র তৎকালীন যুগান্তর দলের সাথে যুক্ত ছিলেন বলে মাস্টারদাকে বিপ্লবী আদর্শে ও বিপ্লবের মন্ত্রে দীক্ষা দেন। বিপ্লবী ভাব ধারায় দীক্ষিত সূর্য সেন দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগকে একমাত্র তপস্যা হিসেবে নিয়ে ছিলেন। তাই তিনি বিবাহ-বিরোধী ছিলেন। কারণ মাস্টারদা মনে করতেন, বিবাহিত জীবন তাঁকে কর্তব্য ভ্রষ্ট করবে, আদর্শচ্যুত করবে। কিন্তু পারিবারিক ও আত্মীয় স্বজনের চাপে ১৯১৯ সালে বিয়ে করতে বাধ্য হন। যদিও বিবাহর তিন দিন পর মাস্টারদা বাড়ি থেকে পালিয়ে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসেন। ১৯১৮ সালে শিক্ষা জীবন শেষে বহরমপুর থেকে ফিরে উম্মতরা উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় গোপনে চট্টগ্রামে বিল্পবী দলে যোগ দেন। এরপর চট্টগ্রামে আগে থেকে গঠন করা দুই বিল্পবী দল যুগান্তর ও অনুশীলনে যোগ না দিয়ে মাস্টারদা ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে বিপ্লবী অনুরূপ সেন, চারুবিকাশ দত্ত, অম্বিকা চক্রবর্তী, নগেন্দ্রনাথ সেনদের সঙ্গে নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে গোপন বিপ্লবী দল গঠন করেন। এর মধ্যে বিপ্লবী চারুবিকাশ দত্ত তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে অনুশীলন দলের সাথে যুক্ত হয়ে যান। যদিও ১৯২০ সালে গান্ধীজী কর্তৃক অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে অনেক বিপ্লবী এই আন্দোলনে যোগ দিলে কিছুদিন পর মাস্টারদাও যোগ দেন। গান্ধীজীর অনুরোধে এক বছর বিপ্লবী কাজ বন্ধ রাখার পর ১৯২২ সালে অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করলে বিপ্লবী দলগুলো আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। ১৯২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর বর্তমান টাইগার পাস এলাকা থেকে মাস্টারদার গুপ্ত সমিতির সদস্যরা প্রকাশ্য দিবালকে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কারখানার শ্রমিক ও কর্মচারীদের বেতনের ১৭,০০০ টাকার বস্তা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ছিনতাইয়ের দুই সপ্তাহ পর গোপন বৈঠক বসলে পুলিশ টের পেয়ে বিপ্লবীদের আস্তানায় হানা দেয়। এসময় পুলিশের সাথে বিপ্লবীদের খণ্ড যুদ্ধ হয়। যা “নগরখানা পাহাড় যুদ্ধ” নামে পরিচিত। মাস্টারদা ও অম্বিকা চক্রবর্তীকে রেলওয়ে ডাকাতি মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। যদিও কিছুদিন পর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারে তাঁরা দুজন ছাড়া পেয়ে যায়। তৎকালীন সময় বিপ্লবী দলগুলোতে প্রথম দিকে মেয়েদের যোগ দেয়া নিষিদ্ধ ছিল বিভিন্ন কারণে। পরবর্তীতে প্রীতিলতা ও কল্পনাদত্তদের মধ্যে বিপ্লবীর আগুন দেখে মাস্টারদা মেয়েদের দলে যুক্ত না করার নির্দেশ শিথিল করেন। এরপর প্রীতিলতা ও কল্পনাদত্ত যোগ দেন।

১৯২৮ সালে কলকাতায় নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির অধিবেশনে চট্টগ্রাম থেকে মাস্টারদাসহ অন্যান্যরা যোগ দেন। তখন নেতাজী সুভাস চন্দ্র বোসের সাথে মাস্টারদার বৈঠক হয়। এর পরের বছর ১৯২৯ সালে মহিমচন্দ্র ও মাস্টারদা চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৩০ সালে মাস্টারদা ও অম্বিকা চট্টগ্রাম আসকার খাঁর দিঘীর পশ্চিম পাড়ে কংগ্রেস অফিসে সশস্ত্র বিপ্লবের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করারকালীন আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির বিপ্লবের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের দলের নাম পরিবর্তন করে ‘ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি, চিটাগাং ব্রাঞ্চ’ বাংলায় ‘ভারতীয় প্রজাতান্ত্রিক বাহিনী, চট্টগ্রাম শাখা’ করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ি কৌশলে একটি দলকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। মাস্টারদার দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ৩৫ জন, অম্বিকার ১৫ জন, অনন্ত সিং ও গণেশ ঘোষের ২২ জন এবং নির্মল সেনের ৬ জন। চারটি দল অস্ত্র সংগ্রহ ও বোমা তৈরির কাজ এগিয়ে নিচ্ছিলো।

১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল শুক্রবার রাতে বিদ্রোহের দিন ঠিক করে চারটি দল চার বাড়ি থেকে বের হয়ে একদল ধুম রেল লাইনের ফিসপ্লেট খুলে দেয়। এতে একটি মালবহনকারী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে যায়। যার কারণে চট্টগ্রামের সাথে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই সুযোগে একদল নন্দনকানেন টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ অফিস দখল করে হাতুড়ি দিয়ে ভাংচুর করে, কেউ রেলওয়ে অস্ত্রাগার দখল করে পেট্রোল আগুন লাগিয়ে দেয়। সর্বশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী দামপাড়া পুলিশ রিজার্ভ ব্যারাক দখল করে আক্রমণে অংশ নেওয়া বিল্পবীরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। বিপ্লবীরা মিলিটারি কায়দায় কুচকাওয়াজ করে মাস্টারদা সূর্য সেনকে তাঁর আদর্শের সাথে সাহসি নেতৃত্বদানের জন্য সংবর্ধনা প্রদান করেন। ওই সময়ই মাস্টারদা অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। এবং পুরো চট্টগ্রামকে ব্রিটিশ শাসকদের হাত থেকে চারদিন মুক্ত রাখেন। ১৯৩০ সালের ২২ এপ্রিল বিপ্লবীরা জালাবাদ পাহাড়ে অবস্থান করলে ইংরেজ সৈন্যরা তাঁদের আক্রমণ করেন। টানা দুই ঘণ্টা যুদ্ধে ব্রিটিশ সৈন্যদের ৭০ জন নিহিত হয় এবং বিপ্লবীদের মধ্যে ১২ জন শহিদ হন। জালাবাদ যুদ্ধেরপর মাস্টারদাকে গ্রেফতারের অনেক চেষ্টার-পরও ব্যর্থ হয় ব্রিটিশ বাহিনী। কিন্তু বিপ্লবীদের মধ্যে কেউ কেউ ধরা পড়ে আবার কেউ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। ১৯৩০ সালের সেই ১৮ই এপ্রিল চট্টগ্রাম ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু গুড ফ্রাইডে থাকায় সেদিন ওই ক্লাবে কেউ ছিল না বলে মাস্টারদা ঠিকে করেন পরের মাসের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রীতিলতা ওয়েদ্দারের নেতৃত্বে হামলা করা হবে। ২৩ সেপ্টেম্বর প্রীতিলতার নেতৃত্বে ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করা হয়। এই আক্রমণে ৫৩জন ইংরেজ হতাহত হয়। গুলিতে আহত প্রীতিলতা দৈহিকভাবে অত্যাচারিত হওয়ার চাইতে স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বেচে নিয়ে পটাশিয়াম সায়ানাইড নামক একটি কঠিন বিশ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।

ইংরেজ প্রশাসন মাস্টারদাকে জীবিত বা মৃত ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা করে। পরে ১৯৩৩ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি রাতে সূর্য সেন ও ব্রজেন সেনকে অস্ত্রসহ গৈরলা গ্রামে ক্ষীরতপ্রভা বিশ্বাসের বাড়ি থেকে রাত দুইটায় গ্রেফতার করে। সেই রাতে ক্ষীরোদপ্রভার বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে সূর্য সেনের লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনীর খাতা উদ্ধার করে। খাতার উপর লেখা ছিল ‘বিজয়া’।

সূর্যসেন, তারকেশ্বর ও কল্পনা দত্তকে বিচার করার জন্য ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ১২১/১২১এ ধারা অনুযায়ী স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ১৯৩৩ সালের ১৪ই আগস্ট এই রায় ঘোষণা করা হয়। ট্রাইব্যুনাল সূর্য সেনকে ১২১ ধারায় মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। ওই একই ধারায় তারকেশ্বরও মৃত্যুদণ্ড পায়। অন্যদিকে কুমারী কল্পনা দত্তকে ১২১ ধারায় দোষী করে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ করে। মামলার রায় পদানের পর তিন জনের পক্ষে কলকাতা হাই কোর্ট আপিল করলেও ১৪ নভেম্বর হাইকোর্ট পদত্ত রায়ে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল দেয়া দণ্ড বহাল রাখে।

এরপর সূর্যসেনকে চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলের নির্জন কুঠুরিতে রাখা হতো। একজন কয়েদি মেথর সূর্য সেনের লেখা চিঠি ময়লার ঝুড়িতে নিয়ে জেলের বিভিন্ন ওয়াডের্র বন্দী বিপ্লবীদের দিয়ে আসতো। মৃত্যুর আগে জেলে আটক বিপ্লবী কালীকিঙ্কর কাছে পেন্সিলে লেখা বার্তা পাঠান। সেই বার্তায় তিনি লেখেন, ‘আমার শেষ বাণী- অদর্শ ও একতা’। তার ভাষায়, ‘ভারতের স্বাধীনতার বেদিমূলে যে সব দেশপ্রেমিক জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের নাম রক্তাক্ষরে অন্তরের অন্তরতম প্রদেশে লিখে রেখো।’ এছাড়া তিনি সংগঠনের মধ্যে বিভেদ না আসার জন্য একান্ত ভাবে আবেদন করেন। এরপর ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি গভীর রাতে মাস্টারদা সূর্য সেন ও তারকেশ্বরকে হাতুড়ী দিয়ে আঘাত করে অজ্ঞান করে ফাঁসি দেয়।

মাস্টারদা মৃত্যুর আগে বিপ্লবীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘আমি তোমাদের জন্য রেখে গেলাম মাত্র একটি জিনিস, তা হলো আমার একটি সোনালী স্বপ্ন। স্বাধীনতার স্বপ্ন। প্রিয় কমরেডস, এগিয়ে চলো। সাফল্য আমাদের সুনিশ্চিত। ’সূর্য সেনের সেই সংগ্রামী ও আদর্শিক পথ দেখানোর মাধ্যমে বিপ্লবী তৎপরতায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ পরাজিত হয়েছে। ঠিক একই ভাবে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এই দেশের মুক্তিকামী জনগণ একত্রিত হয়ে একই আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে পাকিস্তানী শাসকদের পরাজিত করেছিলো। বাঙালীকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি। কারণ বাঙালী সূর্যসেন, প্রীতিলতা ও তিতুমীরের উত্তরসূরী। আজো আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে বাক স্বাধীনতার জন্য, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের জন্য, গণতান্ত্রিক ও শোষণ বৈষম্যহীন সমাজের জন্য। মানবিক পৃথিবী বিনির্মাণের লড়াইয়ে মাস্টারদা আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।

লেখক: আকাশ ইকবাল ( FB; Akash Iqbal)
সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×