somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগেও একটা পিঠা উৎসবের প্রয়োজন !

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


না বিবেচনা করে দেখলাম নির্বাচন ভালো মন্দ যেমনি হোক সরকার দলের সবাই কম বেশি বিজয় উপলক্ষে যেহেটু পিঠা উৎসব
পালন করছে;সেহেটু আমরা দেশের সাধারন মানুষেরা এমন একটা উৎসব থেকে বাদ যাই কি ভাবে ।

তাছাড়াও নির্বাচনের পর থেকে গত কয়েকদিন ব্লগটাও তেমন একটা জমে উঠছেনা । ব্লগের মালিকদেরও তেমন যাতায়েত নাই।
তারাও হয়ত নির্বাচনের বিজয় উপলক্ষে পিঠা উৎসব নিয়ে ব্যাস্ত আছেন :P তাই আমরাও চলেন এই ফাকে ব্লগে পিঠা উৎসবের
কাজটা ছেড়ে ফেলি । যেহেটু ব্লগে জনসংখ্যা কম সেহেটু সকলে আগে আগে আইসা নিজ দায়িত্বে পিঠা খাইয়া যান । পরে না হলে
ভাগে না পাইলে আসপোস করলেও কোন কাম হইব না।
যদিও কম পরার কথা না। নিন শুরু করে দিন পিঠা ভোজন।


এখানে দেশি বিদেশী নানা ধরনের পিঠা আছে যার যেটা যত মন চায় খেয়ে নিতে পারেন দাম দেয়া লাগবো না।


এই পিঠার নাম পাকন পিঠা।
আর পাকন পিঠা বানানোর উপকরণ হলো, চালের গুঁড়া আধা কেজি,মুগডাল ১ কাপ, ডিম ১টি, ১ চা চামচ ঘি, চিনি ২ কাপ এবং তেল পরিমাণ মতো।
প্রস্তুত প্রণালী;
১ কাপ পানিতে চিনি ঢেলে বেশি ঘন বা পাতলা না করে মাঝামাঝি অবস্থায় সিরা করে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। মুগডাল সেদ্ধ করে শুকনা করে বেটে নিতে হবে। ২ কাপ পানি ফুটিয়ে চালের গুঁড়া খামির করে নিয়ে ডাল মিশিয়ে ভালোভাবে মাখতে হবে। লেই একটু ঠাণ্ডা হলে তাতে ডিম ভেঙে ও অল্প তেল দিয়ে নরম একটা কাই তৈরি করুন। গরম কাইয়ের সঙ্গে ডিম দেবেন না। ডিম এবং ঘি দিয়ে খামির বানিয়ে রুটি বানিয়ে কেটে নকশা করে নিতে হবে এবং ডুবো তেলে ভাজতে হবে। এবার আপনার ইচ্ছা মতো আকার ও নকশা দিয়ে পিঠা বানিয়ে নিন। যত পাতলা হবে তত মচমচে হবে। ডুবো তেলে ভেজে গুঁড়ের সিরায় ডুবিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ রেখে তুলে পরিবেশন করুন পাকন পিঠা। পিঠা ভেজে সঙ্গে সঙ্গে সিরায় দিতে হবে। ঠাণ্ডা অথবা গরম অবস্থায় খেতে ভালো লাগবে।


আরো বানাতে পারেন ডিম পিঠা,ঝাল পিঠা,ঝিনুক পিঠা,সুজি পিঠা।

সব পিঠাপুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ছাচ পিঠা, ছিটকা পিঠা, সুন্দরি পাকন, পানতোয়া, মুঠি পিঠা, পুলি পিঠা, কাটা পিঠা, কলা পিঠা, খেজুর পিঠা, লর্গি লতিকা, রসফুল পিঠা, হাঁড়ি পিঠা, জামদানি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, নকশি পিঠা সহ ইত্যাদি পিঠা।


হাজার বছরের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী আমরা। খাদ্যরসিক বাঙালি প্রাচীনকাল থেকে প্রধান খাদ্যের পরিপূরক মুখরোচক অনেক খাবার তৈরি করে আসছে। তবে পিঠা সর্বাধিক গুরুত্বের দাবিদার। লোকজ এই শিল্প আবহমান বাংলার অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠলেও এ যুগে সামাজিকতার ক্ষেত্রে পিঠার প্রচলন কমে এসেছে। শুধু খাবার হিসেবে নয় বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীসমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়। বাংলার নারীসমাজ অতীতে শিক্ষাদীক্ষায় অনগ্রসর ছিল সত্য, কিন্তু স্বীকার করতে হবে এদেশের নারী সমাজ লোকজ শিল্পকর্মে অত্যন্ত নিপুণ ছিলেন তবে এখন মনে হয় নারীরা দিনে দিনে অলস হয়ে যাচ্ছেন । :P


এগুলো হলো চাঁদপুরের পিঠা ।
আরো আছে আমাদের ব্লগের শায়মা আপুর পিঠা শালায় টোনাটুনি পিঠাঘর,একবার ঘুরে আসতে পারেন । !! - বাংলাদেশের ১০১ পিঠাপুলির নাম ও গড়ন বা রচনা সমগ্র!!
সকল ছবির উৎস গুগল।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×