জাদুবিদ্যা বা জাদুকরী হল জাদুকরী দক্ষতা এবং দক্ষতার অনুশীলন কারী। জাদুবিদ্যা একটি বিস্তৃত শব্দ।ঐতিহাসিকভাবে এবং বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বেশিরভাগ ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিতে - বিশেষত এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, আফ্রিকান প্রবাস এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে - এই শব্দটি সাধারণত নিস্পাপদের ক্ষতি করার জন্য রূপকতামূলক উপায় ব্যবহার করে তাদের সাথে যুক্ত আধুনিক যুগে, প্রধানত পশ্চিমা জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে, শব্দটি সাধারণত সৌজাতীয়, ধনাত্মক, বা আধুনিক পৌত্তলিকতার নিরপেক্ষ অনুশীলনগুলিকে বোঝাতে হয়, যেমন কিছুটা ভবিষ্যতবানী বিদ্যার মতো।জাদুবিদ্যার প্রতি বিশ্বাস প্রায়ই সমাজ এবং গোষ্ঠীগুলির মধ্যে উপস্থিত থাকে তাদের সাংস্কৃতিক কাঠামোতে একটি ঐন্দ্রজালিক বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গির অন্তর্ভুক্ত।

জাদুবিদ্যার ধারণা এবং এর অস্তিত্বের প্রতি বিশ্বাস ইতিহাস জুড়ে আছে। তারা বিভিন্ন সময় এবং উভয় আদিম এবং উচ্চতর উন্নত সংস্কৃতি সহ বিশ্বব্যাপী সংস্কৃতি এবং ধর্মগুলির মধ্যে বিভিন্ন ধরণের রূপে উপস্থিত বা কেন্দ্রীয় ছিলেন যা আজও এই সকল সংস্কৃত বহু সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।ঐতিহাসিকভাবে পশ্চিমা বিশ্বে জাদুবিদ্যার মূল ধারণাটি ডাইনীবিদ্যার বিরুদ্ধে ওল্ড টেস্টামেন্ট আইন থেকে উদ্ভূত হয়েছিল এবং মূল ধারায় প্রবেশ করেছিল যখন ডাইনিট্র্যাক্টের প্রতি বিশ্বাস আদি আধুনিক যুগে চার্চের অনুমোদন লাভ করেছিল। এটি ভাল এবং মন্দের মধ্যে একটি থিওসফিক্যাল দ্বন্দ্ব পোষণ করে যেখানে ডাইনিট্রাক্ট সাধারণত মন্দ ছিল এবং প্রায়শই শয়তান এবং শয়তানের উপাসনার সাথে জড়িত। মৃত্যুর ঘটনা, নির্যাতন এবং বধ্যভূমি বা দুর্ভাগ্যের জন্য সরাসরি অভিযোগ আছে এবং বিশেষত প্রোটেস্ট্যান্ট ইউরোপে বহু বছর ধরে বিশেষ করে আধুনা ইউরোপীয় যুগ আসার আগ পযন্ত সেখানে এই জাদুবিদ্যার সংস্কৃতি চলতো। আধুনিক যুগে খ্রিস্টীয় দৃষ্টিভঙ্গি বৈচিত্র্যময় এবং তীব্র বিশ্বাস এবং বিরোধিতা বিশেষত খ্রিস্টান মৌলবাদীদের দ্বারা অবিশ্বাস এমনকি কিছু গীর্জার অনুমোদনের পর্যন্ত মতামতের আড়ালে রাখে। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে, ডাইনিট্রাফ্ট এটি কখনও কখনও সমসাময়িক ডাইনোক্রাফ্ট নামে পরিচিত যা এটি পুরানো বিশ্বাস থেকে পরিষ্কারভাবে আলাদা করা, এটি আধুনিক পৌত্তলিকতার একটি শাখার নাম হয়ে যায়। উইক্কান এবং আধুনিক জাদুবিদ্যার traditionsতিহ্যগুলিতে এটি সবচেয়ে বেশি অনুশীলন করা হয় যা আর গোপনীয়তার সাথে চর্চা হয় না।

বিশ্বব্যাপী অনেক সংস্কৃতিতে বিস্তৃত অনুশীলন এবং সাংস্কৃতিক বিশ্বাস রয়েছে যা ইংরেজিতে জাদুকরী হিসাবে আস্তে আস্তে অনুবাদ করা হয়, যদিও তাদের ইংরেজী অনুবাদগুলি তাদের রূপগুলিতে, যাদুকরী বিশ্বাস, অনুশীলন এবং তাদের সমাজগুলিতে এক বিরাট বৈচিত্র্যকে মাস্ক করে। উপনিবেশ বাদের যুগে, বিশ্বজুড়ে বহু সংস্কৃতি উপনিবেশ বাদের মাধ্যমে আধুনিক পশ্চিমা বিশ্বের কাছে প্রকাশিত হয়েছিল, সাধারণত অনুগামী খ্রিস্টান মিশনারী ক্রিয়াকলাপের সাথে প্রায়ই মিলে। এই সংস্কৃতিগুলিতে জাদুকরী ও জাদুবিদ্যার সাথে সম্পর্কিত বিশ্বাসগুলি সে সময়ের প্রচলিত পশ্চিমা ধারণাগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। জাদুকরী-শিকারি, বা বিভিন্ন তন্ত্রমন্ত্র করা যা আজও এই আধুনিক যুগে প্রায়শই দেখা যায়।

এখনও বহু অঞ্চলে মানুষ অসুস্থ হলে তারা বিশ্বাস করেন যে আধুনিক ওষুধের চেয়ে জাদুবিদ্যা দিয়ে দ্রুত রোগী ভালো হয়ে যাবে,যা আসলে পুরই তাদের একটা ভুল ধারনা এবং তার জন্য অসুস্থ রোগীকে মৃত্যুর কোলে নিয়ে যায় । আজও বহু দেশে এ ধরনের কুসংস্কার প্রচালিত আছে যার কারণে স্বাস্থ্যসেবা পরিণতি রয়েছে খুব জুকিপূর্ণ।এমনকি এইচআইভি এইডস এবং ইবোলা ভাইরাসজনিত রোগ বা প্রায়শই মারাত্মক সংক্রামক রোগের মহামারীর দুটি উদাহরণ যাঁর চিকিত্সা এবং জাদুকরী জাদুবিদ্যায় আঞ্চলিক বিশ্বাসের কারনে রোগীদের চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে । অন্যান্য গুরুতর চিকিত্সা অবস্থার মধ্যে যাদের চিকিত্সা এইভাবে বাধাগ্রস্ত হয় তার মধ্যে রয়েছে যক্ষা, কুষ্ঠ, মৃগী এবং সাধারণ মারাত্মক ব্যাকটিরিয়া বুরুলি আলসার ইত্যাদি।