যে কোনো বাবা মায়ের উদ্ধেছেই আমি বলছি, দয়া করে আপনার শিশুর প্রতি কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে, আপনার
শিশুর মনযোগ সম্পর্কে জানুন বা তার ইচ্ছেটা জানুন এবং তার মতামত বুঝার চেষ্টা করুন।হয়ত আপনি চাচ্ছেন আপনার
শিশুটিকে কোনো ভালো মাদ্রাসা বা আরবি অথবা হাফেজি লাইনে পড়াতে,কিন্তু সে চায় জেনারেল বা ইংলিশ মিডিয়ামে
পড়তে,দেখা গেল আপনি আপনার শিশুর মনযোগকে মূল্যয়ান না করে আপনার মত করে তাকে মাদ্রাসা দিলেন পড়তে,
কিন্ত সে মাদ্রাসা যেতে চাইবে না আর কোনো মত গেলেও হয়ত সেখান থেকে পালিয়ে আসবে আর তখন আপনি রাগে বা
জিদ্দে তার শরীরে টরচার শুরু করে দিলেন,একবার ভেবে দেখেছেন এতে করে লাভের পরিবর্তে এক দিকে আপনার শিশুটা
শরীরে আঘার্ত প্রাপ্ত হলো,অন্যদিকে তার মনের বা ইচ্ছে শক্তির উপরেও বিশাল একটা প্রভাব পড়বে ।আসলে প্রতিটা
মানুষেরই শিক্ষাজীবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা।তবে সেটা হতে হবে অন্তত তার নিজের ইচ্ছে মত বা তার আগ্রহের
মাধ্যমে ।
আমাদের প্রতিটা মা,বাবাকে বুঝতে হবে যে তার সন্তানের আগ্রহ আসলে কোন দিকে ? আমাদের সমাজের
চারোপাশে তাকালে যেটি আমরা স্বচোখে দেখতে পারি বা অনেক সময় দেখা যায় আমাদের সন্তানের আগ্রহ একদিকে
আর আমাদের অর্থাৎ সেই সন্তানের মা,বাবাদের আগ্রহ আরেকদিকে।আর এসব জটিলতার কারনে যেমন চাপ প্রয়োগ হয়
শিশুটির মনের উপরে তেমন সে ধীরে ধীরে হতাশাগ্রস্তের ভুক্তভুগি হয়।অবশেষে একটা সময় এসে দেখা যায় সেই শিশু সন্তানটি
লেখা পড়ার দিক থেকে তার মনযোগ এবং আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন ।একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে সন্তানকে সঠিকভাবে মানুষ করতে হলে,প্রতিটা অভিভাবকদের উচিৎ সন্তানের বন্ধু হয়ে উঠা এবং খুব কাছ থেকে মিশতে হবে সন্তানের সাথে,তবে সন্তানের মনোভাব বুঝতে সহজ হবে।তাই আসুন আমরা আমাদের সন্তানদের মনের উপরে চাপ দেয়া এবং সকল প্রকার মানষিক নির্যাতন থেকে বিরত থাকি আর তাদেরকে তাদের মত করে গড়ে উঠতে সাহায্য করি ।
ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৯