somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মোবাইলম্যানিয়া, ফেসবুকম্যানিয়া, ব্লগম্যানিয়া

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ম্যানিয়া নিয়ে আবারো আসলাম।ম্যানিয়া নিয়ে এর আগেও আমার একটি পোস্ট ছিলো। সেটা হয়ত অনেকেই পড়েননি ব্যাপারটি মাথায় রেখে ম্যানিয়ার সংজ্ঞা আবারও দিলাম (অবশ্যই আমার মত করে)

ম্যানিয়া বা কোনকিছু নিয়ে নেশাগ্রস্ততা বা আসক্তি একই অর্থে বুঝায়। আসক্তি মানে হচ্ছে কোন জিনিসের প্রতি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক অনেক বেশী অনুরাগ, একই জিনিস নিয়ে বারবার ভাবা, এবং নির্দিষ্ট সেই জিনিসের প্রতি অতিরিক্ত অনুরাগের কারনে প্রয়োজনীয় কাজ কে হেলা করার মানসিকতা সৃষ্টি। এবং সেটার ফলাফল অবশ্যই নেগেটিভ।

প্রত্যেক মানুষেরই কিছু না কিছু নিয়ে হয়ত ম্যানিয়া থাকে। তবে আমি সবধরনের ম্যানিয়ার ব্যাপার আমলে নেইনি। আমলে নিয়েছি শুধু সেগুলো যেগুলো সাধারনত মানুষের জন্য নেগেটিভ।
ধরুন, কেউ বইম্যানিয়ায় (বইপাগল) আক্রান্ত, সেটা আমার কাছে মনে হয় খুবই পজেটিভ। সবাই অবশই এটা কে পজিটিভ বলবেন আমি ১০০ ভাগ বিশ্বাসী।
যাইহোক আমার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু মোবাইলম্যানিয়া, ফেসবুকম্যানিয়া আর ব্লগম্যানিয়া

প্রথমেই আসি মোবাইলম্যানিয়া নিয়ে।

মোবাইলের বিভিন্ন নেগেটিভ দিকগুলো নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অনেক লেখা আলোচনা, সমালোচনা এসেছে। বিষয়টি মোটেই নতুন নয়। বরং অনেক পুরনো। তারপরও পুরনো কথাগুলো নতুন করে আবার বলছি আলোচনার খাতিরেই।
মোবাইল বা সেলফোন যোগাযোগব্যবস্হায় নতুন এক মাত্রা। সহজে বহনযোগ্য। একসময় মোবাইল ফোনের দাম চড়া বা কলরেট অত্যন্ত চড়া হলেও, এখন মোবাইল ফোন কিনতে পাওয়া যায় একটা বাচ্চার কয়েকদিনের টিফিনমানির সমান দামে। আর কলরেট যে কারো হাতের মুঠোয়। ১০ টাকাতেই প্রচুর কথা বলে নেয়া যায়।
মোবাইল ফোনে যুক্ত হয়েছে ক্যামেরা, ইন্টারনেট, মিউজিক সিস্টেম সহ অনেক কিছু।
কথা হচ্ছিল মোবাইলম্যানিয়া নিয়।
এ কথা সবারই জানা মোবাইল সম্পর্কিত নেগেটিভ বিষয়গুলোর শিকার আজকালকার তরুন তরুনীরা।
ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলা, সারারাত জেগে কথা বলার বিষয়টি ছাড়াও খুব স হজে বিভিন্ন ক্রাইমে জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ই মোবাইলের সাথে জড়িত।
সারারাত ঘুম না হওয়ার ফলে ক্লাসে এসে ঝিমানো, টাকা নষ্টের বিষয়টি তো আছেই। দেখা যায় বাসার বাইরে যারা পড়তে আসে বাবার পাঠানো কষ্টের টাকার বেশিরভাগ শেষ করে মোবাইলের পিছনে। একটা ভালো জামা না কিনে, হয়ত একটা বই কিনে বা একটা দুধের বা হরলিক্সের কৌটা কিনে একসময় একটা জেনারেশন বাবার টাকার বাড়তি অংশ টা খরচ করতো।কিন্তু এখন কার ছেলেমেয়েরা না খেয়ে হলেও প্রতিদিন টাকা ভরছে মোবাইলে!
একটা সময় ছিলো যখন কোন আত্মীয় স্বজনের কথা মনে হলে একটু সময় বের করে ছুটে যেতাম তাকে একপলক দেখতে। আর আত্মীয় স্বজন অসুস্হ জানলে তো কোন কথাই নেই। অবশ্যই ছুটি নিয়ে হলেও মানুষ তাকে দেখতে গেছে।
কিন্তু মোবাইল এদেশে আসার পর মানুষ আর কষ্ট করে দু'পা বাড়িয়ে কাউকে দেখতে যায়না। মানুষ এখন কথায় কথায় ফোন দেয় এর ওর কাছে।
মনে হতে পারে আত্মীয়ে আত্মীয়ে ঘনিষ্টতা অনেক বেড়েছে। কিন্তু আসলেই কি তাই?
যে আত্মীয়ের কাছে আমি বা আমরা দিনে কয়েকবার ফোন করছি সে যদি বাসায় এসে ৭ দিন থাকে আমরা সবাই বোধহয় বিরক্ত হয়ে উঠবো!!
অবিশ্বাস্য হলেও এখন ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে ব্যাপারগুলো এরকমই হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর একটি ব্যাপার মোবাইলে ইন্টারনেট সুবিধা নিয়ে। মোবাইলে ইন্টারনেট সুবিধা অবশ্যই একটি মাইলফলক। তবে প্রায়ই দেখি উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা এক দৃষ্টিতে ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
কারন কি?
কারন তারা ইন্টারনেট সার্ফ করছে।
মোবাইল এ অতিরিক্ত কথা বলা, বাবার পাঠানো কষ্টার্যিত টাকা মোবাইলে লোড করা, আত্মিক বাঁধনের চেয়ে মোবাইলের বাঁধন বা ঠুনকো একটা বাঁধন, মোবাইলে অপরিচিত লোকের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে নানা ধরনের ঝামেলায় জড়ানো বা মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে পথেঘাটে বসে থাকার মত ব্যাপারগুলো সত্যি এখন আর কাম্য নয়।
একসময় দামী একটা মোবাইল নিয়ে ঘোরা, বা মোবাইলে ফেসবুকিং খুব স্মার্টনেটের পর্যায়ে ধরা হত, আমি চাই তরুন প্রজন্ম এসব সস্তা ইমেজ কে বাদ দিয়ে বিদ্যালয় মহাবিদ্যালয় বা বিশ্ববিদয়ালয়ে নাচ,গান, কবিতা আবৃতি, বিতর্ক, নাটক, বইয়ের আসর আর লাইব্রেরী কে সরগরম করে স্মার্টনেসের সংজ্ঞা টা পাল্টে দিবে।

ফেসবুকম্যানিয়া

ফেসবুক নিয়েও অনেক কথা অনেক লেখা বিভিন্ন জায়গায় এসেছে। তাই এ বিষয়টিও নতুন নয়।
ফেসবুক অনেকেরই নিত্যদিনের সঙ্গী। প্রতিদিন কয়েকবার করে সবাই ই ফেসবুকে যায়। আমার কথা হচ্ছে ফেসবুকে কয়েকবার করে লগইন করুন সমস্যা নাই। কিন্তু প্লিজ ফেসবুক ম্যানিয়াক হবেন না।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর নাম করে আমরা যতই চিল্লাফাল্লা করিনা কেনো আমরা আসলে এসব নেটওয়ার্কিংয়ের নামে ঠিক ততটাই সমাজবিচ্যুত হচ্ছি।
একসময় আমিও ঘন্টার পর ঘন্টা ফেসবুকে দিয়েছি। কিন্তু পরবর্তিতে দেখেছি, ফেসবুক আসলে আমার একবিন্দু পরিমান উপকার তো করে নাই বরং নিয়ে নিয়েছে আমার মূল্যবান কিছু সময়।
কিছু প্রিয় আর কাছের মানুষ ছাড়া এখন আমি ফেসবুক চ্যাটিং এ থাকিনা।
যাইহোক, ফেসবুক চ্যআটিং আমার কাছে মনে হয় সবার আগে পরিহার করা উচিৎ। অযথা ঘন্টার পর ঘন্টা চ্যাটিং ভেবে দেখুন কিভাবে আপনার জীবন থেকে কেড়ে নিচ্ছে মহামূল্যবান সময়গুলো!
ক্লাসের পড়ার চাপ, পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ট অনেকে নাকি ফেসবুকে না এসে থাকতে পারেনা।
এটা কি অদ্ভুত এক ম্যানিয়া!
এ এক এমন ম্যানিয়া যে মা হয়ত খাবার সময় ডেকে যাচ্ছে খোকা আয় আয় খাবি, আয়!
এদিকে খোকা আসছি আসছি করে আর আসেনা!
কারন তার ফেসবুকে নতুন এক সুন্দরী মেয়ে বন্ধু হয়েছে, খোকা হাই হাই করে যাচ্ছে, মেয়েটি এখণও জবাব দেয়নি!
খোকার খাওয়ার প্রতি কোন আকর্ষন নেই। জবাব না পেলে সে উঠবেনা।


ফেসবুকের শেয়ার করা ছবিগুলো খুব সহজে অপরিচিত কারো কাছে চলে যাওয়া এবং সেসব ছবির মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইলিং, ফেইক আইডি খোলা সত্যি খুব বিড়ম্বনার বিষয়। ছেলে মেয়ে সেজে এবং মেয়ে ছেলে সেজে গোপন খবর কথাচ্ছলে আদায় করা আরেক বিড়ম্বনার ঘটনা!


আমার ধারনা ফেসবুকের ব্যাপারগুলো সচেতন পাঠকরা অনেকেই জানেন, তাই কথা না বড়িয়ে এখনকার টিনএজার ছেলেমেয়েদের উদ্দেশ্য করে বলছি ফেসবুক ছাড়তে বলছি না কিন্তু বলছি যেকোন নেগেটিভ বিষয় নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে। অপরিচিত কাউকে অ্যাড করা বা হতাশায় নিমজ্জিত থাকলে না চিনেই একজন নতুন ফেসবুক বন্ধুকে নিজের গোপন কথা বলা ছবি শেয়ার থেকে সতর্ক থাকা উচিৎ। আর ঘন্টার পর ঘন্টা ফেসবুকে না দেওয়াই বোধহয় ভালো।এরচেয়ে বরং বই না পড়লেও একটু বাহির থেকে ঘুরে হাঁটাহাঁটি করে আসা ভালো:)

ব্লগম্যানিয়া
সবশেষে আসছি ব্লগম্যানিয়া নিয়ে । এবং একমাত্র এখানেই আগের দুটি টপিকের তুলনায় জোরালোভাবে আমার কিছু বলার ইচ্ছা রয়েছে। বলতে গেলে এই টপিকটি লেখার মধ্যমনি! আর ব্লগেই যেহেতু লেখাটা প্রকাশ করছি তাই স্বাভাবিক ব্লগারদের এই টপিকেই হয়ত আগ্রহ থাকবে।
ব্লগম্যানিয়া বলতে আমি কিন্তু আগের দুটো টপিকের মতো কেনো এতো সময় ব্লগে নষ্ট করছি বা অমুক তমুক এইসব বলছি না আবার।
ব্লগাররা এখানে বেশীরভাগই ম্যাচিউরড। এখানে কে কতক্ষন কেনো থাকবেন এটা যার যার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার।

ব্লগ একটি মুক্ত এবং এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে একজন সাধারন মানুষ তার মনের ভাব পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
ব্লগ সারা পৃথিবী জুড়ে যেমন সাড়া ফেলেছে তেমন সাড়া ফেলেছে বাংলা ব্লগ কমিউনিটি জগতেও।
উইকির সংজ্ঞা টাও দিলাম
Click This Link
ব্লগ আজ আমাদের প্রতিবাদের জায়গা, আমাদের কবিতার জায়গা, আমাদের সাহিত্যের জায়গা, ব্লগ এমনকি আমাদের একেকটি মানুষের ডায়েরীও বটে।
আমি একথা জোর দিয়ে বলতে পারি, ব্লগে এসেছিলাম বলে আমি কিছু লেখা লিখেছি যা ব্লগের মত কোন মাধ্যম না থাকলে হয়ত আমার লেখাই হতো না।
আমরা যারা ব্লগার আমাদের প্রতিদিনের জীবনে হয়ত ব্লগ জড়িয়ে আছে।
বেশ কিছুদিন হলো ব্লগে আসা না হলে হাপিয়ে উঠি এই ভেবে যে কবে আসবো ব্লগে।
আমি যা বলতে চাই
একমাত্র বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো নাকি রাজনৈতিক হানাহানিতে পরিপূর্ণ। এমন লীগ, শিবির, দল ওমুক তমুক এসব কূৎসিত ব্যাপারগুলো বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপশ্হিত।
আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে পড়াশোনার মান নেমে যাচ্ছে নিচের দিকে সেরকম বাংলা জনপ্রিয় ব্লগসাইটগুলো আক্রান্ত হয়েছে এসব রাজনীতিতে!
আপনারা কি ব্লগ কেও রেহাই দেবেন না?
ব্লগে কি ভার্চুয়াল দা , বটি নিয়ে না দৌড়াদৌড়ি করলে আপনাদের নয়?
অসভ্যতম এবং করুচিপূর্ণ গালাগাল, গালাগালিতে পরিপূর্ণ পোস্ট দেয়া টাও বোধহয় একধরনের ম্যানিয়া। এসব ম্যানিয়াটিকের কি চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে? (!)
আরও একটি ব্যাপার আমাকে চরমভাবে হতাশ এবং ক্ষুব্ধ করে তোলে সেটা হলো নারী ব্লগারদের উক্ত্যক্ত করা।
শরীরটা ঘিন ঘিনে যন্ত্রনায় ভরে ওঠে যখন দেখি একদল ব্লগার কি জঘন্য উপায়ে ব্লগের মত জায়গাকেও করে তোলে দূষিত।

অযথা ট্যাগিং, ইভটিজিং, গালিগালাজ, রাজনীতি করতে বেশ বিরাট সংখ্যক একটা ব্লগার আসেন বাংলা ব্লগ সাইটগুলোতে। প্রায়ই ভালো পোস্ট গুলো চোখের আড়ালে চলে যায়। আরেক ধরনের ব্লগার আছে, যাদের বলা হয় হিটখোর ব্লগার! ব্লগে হিটের জন্য সিন্ডিকেটিং, টেন্ডারবাজী, গ্রুপিং, লবিং চলছে চর দখলের মত। এ যেন বাঙালী যেখানেই যায় স্বভাব ছাড়তে পারেনা এমন। এদের অত্যাচারে জান পিস্ট হয় সাধারন নির্দলীয় ব্লগারদের। এটা আমাদের মত সাধারন কোন ব্লগারেরই কাম্য নয়।


একটা কথা আমি প্রায়ই ভাবি , যে ব্লগে প্রায়ই যেভাবে একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে এট্যাক করে, এইরকম অদ্ভুত এবং এতটা প্রকট আক্রমন বাস্তব জীবনে কি কোন মানুষ কাউকে করে?
ব্লগে যেমন আমাদের সিনিয়র রা রয়েছেন তেমন রয়েছে জুনিয়ররা। এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ রয়েছে। ব্লগ ফেসবুকের মত নয় যে আমি কি লিখছি তা শুধু আমার বন্ধুরা দেখতে পাবে। এখানে আমি কি করছি কি লেখছি সবকিছুই সবাই দেখছে জানছে। পার্থক্য শুধু এটুকু যে আমার নাম টা এখানে কেউ জানেনা। তাই আমি বা আমরা যতই নোংরা বা অশ্রাব্য গালিগালাজ করি না কেনো কেউতো আমাকে বা আমাদেরকে আইডেন্টিফাই করতে পারছেনা। আর এ সুযোগই গালিবাজরা লাগাচ্ছেন।
কিন্তু এমনও তো হতে পারে আমি যাকে ব্লগে নিম্নশ্রেনীর সব ভাষায় গালিগালাজ করলাম, সে হয়ত আমারই ছোট ভাই বা বোন, বা আমার পাশের বাসার প্রতিবেশী, বা আমার পরিচিত কোন আংকেল বা আন্টি!
এটা কিন্তু হতেই পারে। এবং খুব স্বাভাবিক সেটা হতে পারা।
ভাবুন দেখি কখনও ঘটনাক্রমে যদি জানেন এইরকম কোনকিছু, তাহলে কি আপনি নিজেকে কখনও ক্ষমা করতে পারবেন?
আমার মনে হয় না গালিগালাজ বাংলা ব্লগ গুলোতে আমি করতে দেখেছি তাতে কোনদিন যদি কেউ কোনভাবে জানে সে তারই বন্ধুকে বা পরিচিত কোন ছোটভাই বা বোনকে দিয়েছে জানলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবে।


যাইহোক,
যদিও আমি আগেই বলে ফেলেছি যে ব্লগে কে কতক্ষন থাকবেন এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তারপারও নিজেকে একটু কনট্রডিক্ট করে একটা উপদেশ আমি দিতে চাই, তবে সেই উপদেশটা শুধুমাত্র যারা ছাত্র ছাত্রী তাদের জন্য।
ব্লগ এই ডিজিটাল যুগে কতটা গুরুত্ব ব হন করে তা তো আমরা সবাই জানি, তারপরও বলবো ব্লগ লেখালেখির জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম হলেও জানার জন্য খুব ভালো সোর্স যে তা নয়। জানার জন্য সবসময়ই এবং আজও খুব ভালো সোর্স, ভালো বন্ধু হলো বই। এবং আজও বইয়ের মত সুন্দর বিকল্প আসেনি বলেই আমার মনে হয়।
ব্লগে একটা নির্দিষ্ট সময় দিলেও সবচেয়ে বেশী সময়টা বই এর মাঝে কাটাবেন আশা করি।

আর পরিশেষে এটাই বলবো সময়ের সাথে সাথে অনেক প্রযুক্তিই আমাদের অঙ্গনে যুক্ত হবে। আমরা চাই সবকিছুর মাঝে ভালোটাই আমাদের ভাইবোন বা ছেলেমেয়েরা খুঁজে নেবে। আর নেগেটিভ বিষয়গুলো সরিয়ে দিবে।
অতিরিক্ত অপ্রয়োজন কথা, টাকার অপচয় বা ঘন্টার পর ঘন্টা চ্যাটিং বা ব্লগে এসে গালাগালী আর নোংরামী অবশ্যই স্মার্টনেস নয়।
মোবাইল হোক বা ফেসবুক বা সেটা ব্লগই হোক না কেনো সবজায়গায় একটা সুস্হ অবস্হান সবারই কাম্য।


ম্যানিয়া নিয়ে আগের লেখা একটা পোস্ট এখানে
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৫
৫৪টি মন্তব্য ৫২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×