এদেশের কয়েক কবি, লেখকের রাজনৈতিক দলবাজি বেশ পুরনো। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের এবারের নির্বাচন সামনে রেখে কয়েক কবি, লেখক, কলামিস্ট রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে মাঠে নেমেছেন, বিষয়টা এরকম নয়। তাঁদের মধ্যে অনেকে ঘাতক খোন্দকার মোশতাক, জেনারেল জিয়াউর রহমান, এইচ এম এরশাদের সামরিক শাসনের মধ্যেও 'গণতন্ত্রের' সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন!
তাঁদের দলবাজি সংক্রান্ত অনর্থক একটা ধাঁধাঁর মুখোমুখি হওয়া যাক! এইচ এম এরশাদের রাজনৈতিক দলের এক সময় স্লোগান ছিল- 'আটষট্টি হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে'। বলুন তো, স্লোগানটি কার লিখে দেয়া? স্লোগানটি লিখে তিনি তখনকার রাষ্ট্রপতি এরশাদের কাছ থেকে কতো টাকা নিয়েছিলেন? এরশাদের সরকারের পতনের পর থেকে ওই 'স্লোগানওয়ালা' আর এরশাদের রাজনৈতিক দলের পক্ষে ওকালতি করেন না কেন?
এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি। যাকাতের টাকা সরাসরি গরিবদেরকে না দিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার আহবান জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় নাকি সেসব টাকা পরে গরিবদেরকে দেয়া হবে! এদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় দুর্নীতি, লুটপাট, চুরি যেভাবে বিদ্যমান, সেখানে যাকাতের টাকা নিয়ে লুটপাট চলবে না, এমন নিশ্চয়তা কি ধর্মমন্ত্রী দিতে পারবেন? যাঁরা যাকাত দেন, তাঁদের কি আদৌ উচিৎ হবে, ধর্মমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে যাকাতের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া? হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফি, তাঁর ছেলে মাদানি অসংখ্য টাকার মালিক। বিপনি বিতান থেকে শুরু করে নানা ব্যবসা আছে তাঁদের। আছে বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি। অথচ তাঁরা রমজান মাসে কোনো গরিবকে যাকাত দেন বলে আজ পর্যন্ত শুনিনি! তাঁরা কি যাকাত বিধানের উর্দ্ধে?
হা.শা.
ভালোবাসা সড়ক
তেজগাঁও,
ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩