রূপগঞ্জ'র সমস্যাটিকে আমাদের রাজনীতিবিদেরা দেশের স্বার্থে সমাধানে না গিয়ে দলীয় স্বার্ধ দেখলেন। শুয়রের বাচ্চা বালেগ হলে নাকি প্রথমেই তার পৌরষ যাচাই করে নিজেরই মায়ের উপর। আমাদের রাজনীতিতেও কি এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে !
যেখানে দেশের স্বার্থে শক্তিশালী সেনাবাহিনী অতীব জরুরী। সেখানে আছে বহি প্রভাব দুষ্ট প্রত্রিকা+বুদ্ধিজীবি'র বিরোধীতা। এটা এমন পর্যায় যে অনেক গর্ধভ বলছে যে সেনাবাহিনী'র দরকারই নেই। বর্তমান সভ্যতার রাষ্ট্র ব্যবস্থা, আন্ত সম্পর্ক ইত্যাদির ইতিহাস এবং বর্তমান বিশ্লেষণ জ্ঞান এদর নাই, থাকলে টাকার বিনিময়ে এরা বাজে কথা ছড়ায় হালকা তত্ত্বের মোড়কে।
উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে আমাদের অবস্থা আরো ভঝঘট। চক্রান্ত চলে বিভিন্ন ভাবে। বারবার সেনা শাসন ফিরে আসার জন্য জনগণও এদের উপর অনেকটা বিরক্ত। এ সুযোগ নিয়ে সকলেই ফায়দা লুটছে।
রূপগঞ্জের জায়গা অধিগ্রহন চলছিলো কেন ? আদৌ অধিগ্রহন ছিলো ?
সেখানে কি নিয়মিত বাহিনীর আবাসন প্রকল্প তৈরীর জন্য কাজ হচ্ছিলো ? নাকি অবসর প্রাপ্তদের আবাসন প্রকল্প ? যদি নিয়মিত বাহিনীর হয় তাহলে এ বিষয়টি অবশ্য একটু বাস্তবতায় বিবেচনা করতে হবে। প্রতিরক্ষার প্রয়োজনে রাষ্ট্রর যেকোন স্থান অধিগ্রহন করা যায়। দেশের বৃহৎ স্বার্থে তা ছাড়তেও হবে। কিন্তু সে সাথে সরকারের এটাও মাথায় থাকা জরুরী কম ক্ষতিগ্রস্থ যাতে তৈরী হয়। নিজের বাব দাদার দিনের জায়গা ছেড়ে দিতে কার মন চায় ? এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ঠদের ৪ গুণ বেশী দাম দেয়া উচিত, কোন হয়রানী না করে।
রূপগঞ্জে সেনাবাহিনী অল্প দামে জায়গা নেবার চেষ্টা, আবার দালাল ধরা- এসব কেমন যেন ! জনগণকে কনভিন্স করতে ব্যার্থ হয়ে তাদের উপর গুলিচালিয়ে হত্যা নিশ্চয় কাম্য নয়। কারণ এসব জনগণের স্বার্থেই সেনাবাহিনী। দূর দৃষ্টি আর প্রজ্ঞার অভাবে অনেক বাজে ভাবে সমস্যার সৃষ্টি হলো সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখী করে দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হলো। এ জন্য সেনা ক্যাম্প পোড়া বা গাড়ি পোড়ার কাজটিও জঘন্য হয়েছে। মনে রাখতে হবে জনগণকে উত্তেজিত করে এ কাজে প্রাণিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রের শেষ আশ্রয় স্থল কারা নষ্ট করতে চায় ? যখনই এধরনের সমস্যা আসে সকলেই ইরেজার দিয়ে সেনাবাহিনী মুছেফেলার বাল সুলভ দাবীতে মেতে উঠে, আর দাবী যোগানের খানিক রশদ দেয় কিছু মাথা মোটা সেনা কর্মকর্তা।
আবেগী নয় বাস্তব চিন্তা চাই, শুয়রপ্রজাতির নয় মনুষ্যা প্রজাতির রাজনীতিবিদ চাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২২