পৃথিবীতে হিজড়ার কবে হতে আর্বিভাব তার কোন সঠিক তথ্য নাই,তবে মনে করা হয় পৃথিবীতে যখন হতে মানুষের আর্বিভাব ঘটে তখন হতেই হিজড়ারও আর্বিভাব হয়।হিজড়াদের প্রতি ছোট বেলা থেকেই বিরূপ ধারণা বা মনোভাব নিয়ে আমরা বেড়ে উঠি। এদের সম্পর্কে কোন প্রকার সঠিক তথ্য আমাদের দেশের উচ্চ শিক্ষিতরা এমনকি অনেক ডাক্তার পর্যন্ত দিতে পারেন না। আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত প্রজনন এবং লিঙ্গ নির্ধারণ ভিত্তিক কথাবার্তা খুব ভীতি সহকারে এবং গোপনে আলোচনা করা হয় যার কারণে এরকম ব্যাপার গুলা খুবই স্পর্শকাতর বলে ভাবা হয়।
এসবের ফলে আমরা দ্বিধাদ্বন্ধে থাকি এরকম ব্যাপারে।স্বপ্ননীলকে নিয়ে তার মা বাপ ডাক্তারের দ্বারস্ত কারণ স্বপ্ননীল ছেলে না মেয়ে জন্মের তিন দিনেও নির্ধারন হয়নি চিকিৎসা শেষে হয়তো নির্ধারন হবে ছেলে না মেয়ে।ডাক্তার বলেন এই ধরনের বাচ্চা যদি জন্মের পর পরই হাসপাতালে নিয়ে আসে তাহলে সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনের একটা নিশ্চয়তা দেওয়া যায়।তাই বাচ্চার মা বাপকে সচেতন হতে হবে,আর মা বাপ সচেতন হলে পরিবারের একটা সম্পদ নষ্ট হয়ে হিজড়া হবে না।হিজড়া না হলে স্বাভাবিক সমাজের ত্রাসও বাড়ত না সাধারণ হতে চাঁদাবাজিও কম হতো।আসলে আশির দশকে হিজড়ারা এমন ছিল না,যখন হতে ভারতীয় হিজড়ার এদেশে অনুপ্রবেশ শুরু করে তখন হতে তাদের সাথে মিলে এদেশের হিজড়ারা অপরাধমূলক কাজের প্রসার করে।
অস্বাভাবিক চালচলনের কারণে কুল হতে নিগৃত হওয়ার পর তাদের জীবনের তাগিদে ও সঙ্গদোষে প্রমত্ত হয়ে উঠে।তারা যেসব কাজ করে তার কারণে নিস্তেজ মানুষ শঙ্কায় পড়ে।তবে রুপালী অন্যদের চেয়ে আলাদা,সে সাধারণ মানুষের সমাজে বাস করতে চায়।কিন্তু পরিবার হতে তাড়িত হওয়ার দুঃসহ স্মৃতি ব্যাথা দেয় ক্ষনে ক্ষনে।আরমানকে অন্য হিজড়াদের সাথে মিলিত হতে তার প্রচন্ড আপত্তি থাকে তবুও আরমান শুনে না রুপালীর কথা।আরমান হিজাড়াদের সহযোগিতায় লোকের পাওনা আদায় করে কমিশন ভিত্তীতে।ঢাকাতেই হিজড়াদের বিভিন্ন গ্রুপ নানা রকম অপরাধে জড়িত।
লায়লা,হামিদা,মনু,আবুল,নাজমা,হায়দার,রাখী,পিংকি ও স্বপ্না হিজড়া পুরা ঢাকাকে ভাগ করে নিয়ন্ত্রন করে।ডেমরা,শ্যামপুর ও ফতুল্লা নিয়ন্ত্রণ করে লায়লা হিজড়া।শ্যামলী ও মোহাম্মদপুর দখলে হামিদার।সাভার ও ধামরাই শাসন মনু হিজড়ার হাতে।সায়দাবাদ ও মতিঝিল নিয়ন্ত্রণ আবুল হিজড়া।দিপালী হিজড়া নিয়ন্ত্রণ করে পুরান ঢাকা। উত্তরা দখল করে আছে নাজমা হিজড়া,এখন আবার মিরপুর রাখীর আয়াত্তে।
এবং গুলশান,ফার্মগেট ও সংসদ ভবন এলাকা দখলে রেখেছে হায়দার ও সপ্না হিজড়া।আবার এরা এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের মুখামুখিও হয়,এক দল আরেক দলের হিজড়াকে ধরে নিয়েও যায়।সুইটি হিজড়ার লোক ধরে নিয়ে যায় পিংকি হিজড়ার লোকেরা মূলত ফকিরাপোল এলাকায় টাকা উঠানো কে কেন্দ্র করে এই বিরোধ বাঁধে।পিংকি আবার বাঁধন হিজড়া সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক।হিজড়াদের কাজের বিস্তৃতি আপনার কল্পনাকেও হার মানাবে,রাত বাড়ার সাথে সাথে তাদের অপকর্ম বাড়াতে থাকে এরা নারী না হিজড়া তখন বুঝাও মুশকিল।মজার ব্যাপার হিজড়ার ভিতর আবার নকলও আছে।এরা সবাই মিলে করে অপরাধ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১