somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগারদের মানববন্ধন ও কিছু সাধারণ কথা!!!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত শনিবার ১২ই জানুয়ারী(২৮শে পৌষ) সামু ব্লগারদের মানব বন্ধন কর্মসূচী ছিল ধর্ষণের প্রতিবাদ স্বরূপ। ব্যক্তিগত কাজের জন্য আমি ওই কর্মসূচীতে অংশ নিতে পারিনি। ওই দিন রাজশাহীতে থাকায় আমি নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদরত ব্লগারদের দেখতে পাই।


সামুকে এবং উপস্থিত ব্লগারদের আমি ধন্যবাদ জানাই। একই সাথে আমি এটাও বলতে চাই যে, ধর্ষণ বিষয়টা আমাদের সমাজের রন্ধ্রে প্রবেশ করে ফেলেছে। এর জন্য দায়ী কে, তা বের করার জন্য অনেক ব্লগারই অনেক রকম যুক্তি দেবার চেস্তা করেছেন। তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেই আমি বলতে চাই যে, আমরাই কি আমাদের এই সমাজ বাবস্থার জন্য দায়ী নই? প্রতিদিন খবরের কাগজ খুলেই তো আমরা দেখি কোনও এক হতভাগিনী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দিনের পর দিন আমরা মুখ বন্ধ করে থেকেছি। ততদিন পর্যন্ত আমরা মুখ খুলিনি যতক্ষণ না দিল্লিতে পারামেডিক্যালের ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয় আর ভারতের গণমাধ্যম ও জনতা সোচ্চার হয়। আমাদের টনক নড়ে যখন টাঙ্গাইলে আরেকটি ধর্ষণ সংঘটিত হয়। অথচ এক ডাক্তার কর্মরত অবস্থায় ধর্ষণের শিকার হলেও আমরা চুপ থেকেছি। আর গত কয়েক সপ্তাহে ধর্ষণের খবর যতগুলি বেরিয়েছে তার অধিকাংশই পুরনো যা এতদিন লোকলজ্জার ভয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিল। সবাই কি একবার ভাবে দেখেছি যে আমরা- “হুজুগে বাঙালী” কথাটাকে আবারো উস্কে দিচ্ছি। আমরা যদি আগে থেকেই সোচ্চার হতাম তবে কি রসু মিয়ারা এই বাংলায় জন্ম নিতে পারত? দোষটা কী আমাদের কিছুই নেই?

ধর্ষণের কারন হিসাবে কেউ দায়ী করে আসছেন মেয়েদের শালীনতাহীন পোশাককে, কেউবা দোষ দিচ্ছেন পুরুষকে তার অবাধ্যতার জন্য। আমি দুই পক্ষেই সমান বিশ্বাসী, কারন আমার মতে এক হাতে কখনো তালি বাজে না। তবে আমি একই সাথে এটাও বলতে চাই যে, সামগ্রিকভাবে আমরা কি ব্যর্থ নই? আমরা কি আমাদের মূল্যবোধের পরিমাপকে পিছিয়ে যাইনি?

আজ আমাদের ফ্যাশান দুনিয়ার দিকে তাকালে আমরা কী পাশ্চাত্যের প্রভাব লক্ষ্য করিনা? টিভি চ্যানেলের দৌরাত্যের কথাতো বলাই হচ্ছে। কিন্তু তবু কি আমরা বিদেশি চ্যানেলের বস্তা পচা সিরিয়াল দেখা বন্ধ করতে পেরেছি? উল্টো নতুন চ্যানেলতো সংযুক্ত হচ্ছেই, উপরন্তু আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়িকে বিকৃত করে ফেলছি। এইখানে একটা ছবি দিলে হয়ত ভালো হত, কিন্তু সেটা কি পাঠক কল্পনা করতে পারছেন না?

বিষয়টা এমন আকার ধারণ করেছে যে, “সর্বাঙ্গে ব্যাথা ঔষধ দেবো কোথা?”
কিন্তু আমি বলতে চাই যে, দেহের রোগ ঔষধে নিরাময় যোগ্য, কিন্তু মনের রোগের ঔষধ পাব কোথায়? আমরা যদি নিজেরাই সতর্ক না হই তবে এমনটা চলতেই থাকবে। যেন কোনও পর্বের হিসাব বিহীন কোনও ধারাবাহিক। আজ যদি আমরা আবারো এই প্রতিবাদের পর থেমে যাই তবে যা ছিল তাই থাকবে। আবার একটা ধর্ষণ ঘটনার পর আবার আমরা লিখব। কিন্তু তাতে কী কোনও ফল হবে?
আমাদের কোথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হতে হবে। তবেই সমাজ থেকে ধর্ষণের মূলোৎপাটন সম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৮
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×