somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নতুন রূপে আল কোরানের অতি বিস্ময়কর অলৌকিক গাণিতিক সৌন্দর্য। পর্ব-২

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

بسم الله الرحمن الرحيم

সর্বাবস্থায় সকল প্রশংসা আল্লাহর।আমাকে সুখে রাখলেও প্রশংসা আল্লাহর, আমাকে দুঃখে রাখলেও প্রশংসা আল্লাহর । আর অসংখ্য দরূদ নাযিল হোক তাঁর নবীর উপর বারবার। উম্মতের কল্যাণ চিন্তায় যিনি ছিলেন বেকারার।


এই পর্বটি একটু ভালো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। তা নাহলে বুঝে নাও আসতে পারে। প্রথম দিকে আমার কাছেও তেমন কিছু মনে হয়নি, কিন্তু পরে যখন চিন্তা করে আবার পড়েছি তখন বুঝে এসেছে যে, কত জটিল মিরাকেল এখানে লুকিয়ে আছে।

প্রথম পর্বে আমরা ১১৪ সূরার কোরানিক চার্টে অলৌকিক ১৯ ধাপের সিঁড়ির মন মাতানো, চোখ জুড়ানো কারুকার্য দেখেছি। প্রথম পর্বের শুরুতেই ১১৪ সূরার একটি লম্বা কোরানিক চার্ট ছিলো। সেই চার্টে আমরা দেখেছিলাম যে,
১১৪টি সিরিয়াল নাম্বারের যোগফল- ৬৫৫৫
১১৪টি সূরার আয়াতসমূহের যোগফল-৬২৩৬
সিরিয়াল ও আয়াত নাম্বারের যোগফলগুলোর মধ্যে বেজোড়গুলোর যোগফল- ৬২৩৬
সিরিয়াল ও আয়াত নাম্বারের যোগফলগুলোর মধ্যে জোড়গুলোর যোগফল- ৬৫৫৫

প্রথম দুইটি সংখ্যা আবার কিভাবে ফিরে আসলো পরের দুই লাইনে। যেকোন একটি ফিরে আসতে পারতো, একেবারে দুটোই ঘটনাচক্রে ফিরে আসে কি করে?আবার শুধু কি তাই? এর সাথে ছিলো এটা

৬+৫+৫+৫+৬+২+৩+৬= ৩৮=১৯×২

যাইহোক ১ম পর্বে আমরা এটাকে শুধু গাণিতিক সৌন্দর্য বলেই ক্ষান্ত হয়েছি। কিন্তু এখন আপনারা ১ম পর্বের এই গাণিতিক সৌন্দর্যকে নীচের মিরাকেলের সাথ মিলিয়ে চিন্তা করুন তাহলে বুঝবেন যে, ১ম দুইটি সংখ্যার, পরের দুই লাইনে আবার ফিরে আসাটা কোন ঘটনাচক্র নয়, বরং ঐশী পরিকল্পিত , এবং এটাও বুঝবেন যে, এই ফিরে আসাটা অনেক বিরাট কঠিন একটা কাজ; কেননা এই চার্টের মধ্যে কাজতো শুধু এই একটাই করা হয়নি, বরং ১১৪ টি সূরার ছয়টি ভাগ জুড়ে ৫/৬ দি থেকে জোড় বেজোড়ের অপূর্ব জটিল ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে। চলুন তাহলে আমরা সামনে গিয়ে দেখি জোড় বেজোড়ের কি অপূর্ব মিরাকেল আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। তবে আবারো বলছি একটু বাড়তি ধৈর্য ও মনোযোগের সাথে পড়তে হবে এই পর্বটি।



এবার আমরা ১১৪টি সূরাকে মোট ছয়টি ভাগে ভাগ করবো। প্রতিভাগে পরবে ১৯টি করে সূরা। এরপর দেখবো প্রতিভাগের ১৯টি সূরার মধ্যে জোড় আয়াত বিশিষ্ট সূরা কয়টি আর বেজোড় আয়াত বিশিষ্ট সূরা কয়টি এবং দেখবো ছয়টি ভাগের মোট ১২টি ঘরে জোড় বেজোড়ের মাঝে কি অপূর্ব সমন্বয় ও ছন্দ সৃষ্টি হয়েছে।

নীচের চার্টে
১ম সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার সিরিয়াল নাম্বার।
২য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার নাম।
৩য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার আয়াত সংখ্যা।
৪র্থ সারিতে দেয়া হয়েছে বেজোড় আয়াত বিশিষ্ট সূরাসমূহের সংখ্যা।
৫ম সারিতে দেয়া হয়েছে জোড় আয়াত বিশীষ্ট সূরাসমূহের সংখ্যা।
(ছবি কিছুটা ছোট দেখালে কি বোর্ডের ctrl বাটন চেপে ধরে উপরের ডান দিকে যেই বাটনে যোগ চিহ্ন আছে সেটা দু'তিনবার চাপুন তাহলে ওয়েব পেজটি আকারে বড় হয়ে যাবে। তাতেও কাজ না হলে এই লিংকে গিয়ে পোষ্টটি পড়ুন। )





সত্যিই অপূর্ব! ছয় ভাগের ১২টি ঘরের কোথাও ছন্দ পতন হয়নি। প্রত্যেক ঘরেই বেজোড় আয়াত বিশিষ্ট সূরার মোট সংখ্যা একটি জোড় সংখ্যা, আর প্রত্যেক ঘরেই জোড় আয়াত বিশিষ্ট সূরার মোট সংখ্যা একটি বেজোড় সংখ্যা। জানি আপনি এখন বলবেন যে, যদিও জোড় ও বেজোড় আয়াত বিশিষ্ট সূরাগুলোর মাঝে সুন্দর গাণিতিক ছন্দ পাওয়া গেছে কিন্তু এটাকে মিরাকেল বলা যায়না;কেননা এরকম মানুষের পক্ষেও করা সম্ভব। আপনার একথার জবাবে, আমি বলবো যে, হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, এরকম মানুষের পক্ষে করা সম্ভব। কিন্তু সম্ভব থাকলেও বাস্তবে কোন মানুষ আসলে এটা করেনি।ঐ সময়কার ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য থেকে এটাই পরিষ্কার বুঝে আসে। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি ১ম পর্বের ২নং কমেন্টের জবাবে আলোচনা করেছি, সেখানে দেখে নিন। এখানে, আমি এখন সামনে এই চার্টের মধ্যে আরো গাণিতিক ছন্দ , জোড় বেজোড়ের আরো জটিল তাল বা সিমেট্রি বা ভারসাম্য প্রদর্শন করে এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করবো যে, এরকম করা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়, কমপক্ষে ঐ জামানায় যখন কোন ক্যালকুলেটর বা কম্পিউটার ছিলোনা। চলুন সামনে অগ্রসর হই।


আমরা জানি, জোড় আর বেজোড়কে চার রকমে সাজানো যায়
জোড়-জোড়,
জোড়-বেজোড়,
বেজোড়-বেজোড়,
বেজোড়-জোড়।


এবার আমরা আমাদের কোরানিক চার্টের ছয় ভাগের প্রতিভাগের ১৯ টি সূরার মাঝে এমন সব সূরাগুলো চিহ্নিত করবো যাদের সিরিয়াল নাম্বারও জোড় এবং আয়াত নাম্বারও জোড়। এরপর দেখবো প্রতিভাগে এই সূরাগুলোর মাঝে কোন গাণিতিক ছন্দ পাওয়া যায় কিনা।

নীচের চার্টে
১ম সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার সিরিয়াল নাম্বার।
২য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার নাম।
৩য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার আয়াত সংখ্যা।
৪র্থ সারিতে দেয়া হয়েছে সিরিয়াল নাম্বার ও আয়াত নাম্বার দুটোই জোড় এমন সূরাসমূহের মোট সংখ্যা।
৫ম সারিতে দেয়া হয়েছে ঐ সূরাগুলোর আয়াতসমূহের মোট যোগফল।





প্রিয় পাঠক! আমরা আবারো দেখতে পেলাম জোড় বেজোরের অপূর্ব ছন্দায়ন। ৬টি ভাগের ১২টি ঘরের কোন একটি ঘরেও ছন্দ পতন হয়নি। প্রতি ক্ষেত্রেই জোড় সিরিয়াল নাম্বার ও জোড় আয়াত নাম্বার বিশিষ্ট সূরাগুলোর মোট সংখ্যা একটি বেজোড় সংখ্যা। পাঠক! এবার এটাকে আগেরটার সাথে মিলিয়ে চিন্তা করুন। একই চার্টে দুই দিক থেকে ছয়টা বা বারোটা ঘরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা, ছন্দ রক্ষা করা কিন্তু বেশ কঠিন। যাইহোক এখনো আমি মিরাকেল বলে দাবী করছিনা। চলুন সামনে অগ্রসর হই। দেখা যাক আমাদের জন্য আরো কি ছন্দ অপেক্ষা করছে।

এবার আমরা এই একই চার্টে এমন সব সূরাসমূহকে চিহ্নিত করবো, যেগুলোর সিরিয়াল নাম্বার জোড় কিন্তু আয়াত নাম্বার বেজোড়, এরপর দেখবো প্রতিভাগে এরকম সূরা মোট কয়টি আছে এবং এগুলোর মাঝে জোড় বেজোড়ের কোন ছন্দ পাওয়া যায় কিনা তাও দেখবো।

নীচের চার্টে
১ম সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার সিরিয়াল নাম্বার।
২য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার নাম।
৩য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার আয়াত সংখ্যা।
৪র্থ সারিতে দেয়া হয়েছে এমন সূরাসমূহের মোট সংখ্যা যেগুলোর সিরিয়াল নাম্বার জোড় আর আয়াত নাম্বার বেজোড়।
৫ম সারিতে দেয়া হয়েছে ঐ সূরাগুলোর আয়াতসমূহের মোট যোগফল।





আবারো আমরা দেখতে পেলাম দারুণ ছন্দের মিল। একবার জোড় আরেকবার বেজোড়। কোন একটি ঘরেও ছন্দ রক্ষা না হলে কিন্তু ভেঙ্গে যেতো এই গাণিতিক সিস্টেম। তখন আগের দুইবার যেই গাণিতিক ছন্দ পাওয়া গিয়েছিলো সেটারও কোন মূল্য থাকতো না। প্রিয় পাঠক! এখন আপনি কি বলবেন? একই চার্টে তিন দিক থেকে ছয়টি বা বারোটি ঘরে জোড় বেজোড়ের গাণিতিক ছন্দ রক্ষা করা কিন্তু বিরাট কঠিন কাজ। কোন মানুষ যদি তার বইয়ের মাঝে কোন গাণিতিক মিল রাখতে চায়, তাহলে নিশ্চয়ই সে এত কঠিন রাস্তা অবলম্বন করবেনা বরং আরো অনেক সহজ রাস্তা বেছে নিবে। কাজটি যে কত কঠিন , ঝামেলাপূর্ণ আর সময়সাপেক্ষ এটা আপনার তখনই বুঝে আসবে যখন আপনি নিজে এমন ছন্দ রক্ষা করে কোন কিতাব বা বই লিখতে যাবেন। কিতাব আর মনে হয় লেখা হবেনা,গাণিতিক ছন্দ রক্ষা করতে গিয়েই জীবন পার হয়ে যাবে। যাইহোক আমি এখনো মিরাকেল দাবী করছিনা। চলুন সামনে চলুন। আপনিই বলবেন মিরাকেল হয়েছে কি হয়নি।


এবার আমরা এই একই চার্টে এমন সব সূরাসমূহকে চিহ্নিত করবো, যেগুলোর সিরিয়াল নাম্বার ও আয়াত নাম্বার দুটোই বেজোড়,এরপর দেখবো প্রতিভাগে এরকম সূরা মোট কয়টি আছে এবং এগুলোর মাঝে জোড় বেজোড়ের কোন ছন্দ পাওয়া যায় কিনা তাও দেখবো।

নীচের চার্টে
১ম সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার সিরিয়াল নাম্বার।
২য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার নাম।
৩য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার আয়াত সংখ্যা।
৪র্থ সারিতে দেয়া হয়েছে এমন সূরাসমূহের মোট সংখ্যা যেগুলোর সিরিয়াল নাম্বার ও আয়াত নাম্বার দুটোই বেজোড় ।
৫ম সারিতে দেয়া হয়েছে ঐ সূরাগুলোর আয়াতসমূহের মোট যোগফল।





এবার কিন্তু আমার মনে হয় কোন নাস্তিকও আশ্চর্য না হয়ে পারবে না। আবারো সেই ছন্দের হিল্লোল বয়ে গেলো পুরো ছয়টি ভাগ জুড়ে। এই নিয়ে আমরা চতুর্থবার জোড় বেজোড়ের ছন্দ রক্ষা পেতে দেখলাম। এবারও কোন একটি ঘরেও ছন্দের ব্যাঘাত ঘটলো না। প্রিয় পাঠক আপনি কি চিন্তা করতে পারছেন যে, শুরুর দিকের সহজ কাজটি এখন কত জটিল আর কঠিন হয়ে গেলো। একই চার্টে চার দিক থেকে, সিরিয়াল ও আয়াত নাম্বারের মাঝে, জোড় আর বেজোড়ের অটুট ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে । খুবই আশ্চর্যজনক ব্যাপার! তাই না? এর চেয়েও আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো এখনো এমন কাউকে পাওয়া যাবে, যারা বলবে যে এটা এমনি এমনি হয়ে গেছে বা কোন মানুষ করেছে। ঠিক আছে, দেখা যাক আমরা তাদের জন্য সামনে আরো কিছু পাই কিনা?

এবার আমরা এই একই চার্টে এমন সব সূরাসমূহকে চিহ্নিত করবো, যেগুলোর সিরিয়াল নাম্বার বেজোড় কিন্তু আয়াত নাম্বার জোড়,এরপর দেখবো প্রতিভাগে এরকম সূরা মোট কয়টি আছে এবং এগুলোর মাঝে জোড় বেজোড়ের কোন ছন্দ পাওয়া যায় কিনা তাও দেখবো।

নীচের চার্টে
১ম সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার সিরিয়াল নাম্বার।
২য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার নাম।
৩য় সারিতে দেয়া হয়েছে সূরার আয়াত সংখ্যা।
৪র্থ সারিতে দেয়া হয়েছে এমন সূরাসমূহের মোট সংখ্যা যেগুলোর সিরিয়াল নাম্বার বেজোড় কিন্তু আয়াত নাম্বার জোড় ।
৫ম সারিতে দেয়া হয়েছে ঐ সূরাগুলোর আয়াতসমূহের মোট যোগফল।





সত্যিই বিস্ময়কর! কিভাবে সম্ভব!! কমপক্ষে একটা ঘরে হলেও তো ছন্দ পতন হতে পারতো। কিন্তু না, হয়নি। কেননা এই সিস্টেম কোন মানুষ করেনি, করেছেন সর্বজ্ঞানী আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। এই নিয়ে পঞ্চমবার হলো। মোট পাঁচটি দিক থেকে একই চার্টে জোড় বেজোড়ের অপূর্ব ছন্দায়ন আমরা দেখতে পেলাম।

উপরে এতক্ষণ যা হয়েছে এতটুকু করাই নিঃসন্দেহে অতি কঠিন ও সময়সাপেক্ষ কাজ, এর উপর আমরা এখন নীচে এমন একটি চার্ট নিয়ে আসবো যেটা চুড়ান্তভাবে প্রমাণ করবে যে, জোড় বেজোড়ের এই অপূর্ব গাণিতিক ছন্দ কোন মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়। এটা শুধুমাত্র মহাজ্ঞানী, মহা ক্ষমতাবান এক আল্লাহ পাকের পক্ষেই সম্ভব।

এবার আমরা উপরের চার্টটিকে দুই ভাগ করবো। বাম দিকে থাকবে শুধু বেজোড় সিরিয়ালের ৫৭টি সূরা আর ডান দিকে থাকবে শুধু জোড় সিরিয়ালের ৫৭টি সূরা। এরপর আবার আগের মত চার্টটিকে মোট ছয়টি ভাগে ভাগ করবো ,প্রতিভাগে থাকবে ১৯টি করে সূরা। এরপর দেখবো প্রতিভাগে বেজোড় আয়াত বিশিষ্ট সূরা কয়টি আর জোড় আয়াত বিশিষ্ট সূরা কয়টি।

নীচের চার্টে দুইটি ভাগ আছে। উভয় ভাগেই
১ম কলামে আছে সূরার সিরিয়াল নাম্বার
২য় কলামে আছে সূরার আয়াত নাম্বার
৩য় কলামে আছে বেজোড় আয়াতবিশিষ্ট সূরাসমূহের মোট সংখ্যা
৪র্থ কলামে আছে জোড় আয়াতবিশিষ্ট সূরাসমূহের মোট সংখ্যা



১১৪ সূরার কোরানিক চার্টের উপর দিয়ে জোড় বেজোড়ের ঢেউ খেলিয়ে আবারো বয়ে গেলো মন জুড়ানো হিমেল মিরাকেল।প্রতিভাগেই বেজোড় আয়াতবিশিষ্ট সূরা সমুহের মোট সংখ্যা একটি জোড় সংখ্যা আর জোড় আয়াতবিশিষ্ট সূরাসমূহের মোট সংখ্যা একটি বেজোড় সংখ্যা।কোথাও কোন ব্যতিক্রম হয়নি।

চাক্ষুষ গাণিতিক প্রমাণের আলোকে এখন এটা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হলো যে, কোরআনের এই গাণিতিক সিস্টেম কোন মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়, এটা শুধুমাত্র গণিতের যিনি স্রষ্টা,সেই মহাজ্ঞানী আল্লাহ পাকের পক্ষেই সম্ভব। আরো প্রমাণ হলো যে, কোরআনের সূরা সমূহের সিরিয়াল এবং আয়াত নাম্বার সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত। এবং আরো প্রমাণ হলো যে, এই জটিল গাণিতিক সিস্টেম যেহেতু অক্ষুন্ন আছে, অতএব কোরআনে ১৪০০ বছরেও কোন পরিবর্তন হয়নি। কেননা যিনি সিস্টেম করেছেন, তার পরে যদি অন্য কারো হাত এতে লাগতো তাহলে ভেঙ্গে যেতো এই অপূর্ব জটিল সিস্টেম। এসবই প্রমাণিত হলো চাক্ষুষ গাণিতিক ভিত্তির আলোকে। এখন যদি কেউ এসে অদেখা, অস্পষ্ট ইতিহাসের আলোকে প্রমাণ করতে চায় যে, কোরআনে পরিবর্তন হয়েছে , তাহলে এটাই বুঝা যাবে যে, এই ইতিহাস মিথ্যা বা ভুল বা অসম্পূর্ণ বা ইতিহাস যদি কিছু ঠিক হয়েও থাকে, তাহলে ইতিহাস বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ভুল হয়েছে বা সঠিক ইতিহাস থেকে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চাক্ষুষ প্রমাণের সামনে অদেখা প্রমাণ কোন মূল্যই রাখেনা। প্রিয় পাঠক! এখন আপনি একটু আরেকবার ১ম পর্বের উপর চোখ বুলিয়ে নিন এবং দুই পর্ব নিয়ে একসাথে চিন্তা করুন, তাহলেই বুঝতে পারবেন যে কত বিরাট অলৌকিক আর অকল্পনীয় জটিল গাণিতিক মিরাকেল আল্লাহ পাক এই কোরআনের মধ্যে রেখে দিয়েছেন। আর এই দুই পর্বেইতো শেষ নয় আরো আছে অনেক। এখান থেকে নেয়া হয়েছে।

কিছু অতীব জরুরী পোষ্টঃ মাথা খুব ঠান্ডা রেখে পড়তে হবে

ইসলামের নবী (সল্লাল্লহু আলাইহিওয়আ সাল্লাম) এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের উত্থাপিত প্রায় সকল প্রশ্নের দাঁতভাঙ্গা জবাব । হুমায়ূন আহমেদের ২য় বিবাহ - পর্ব ৩

আর বিজ্ঞান দিয়ে যারা ইসলামকে মোকাবেলা করতে চায় তাদের জবাব দিতে নীচের পোষ্টগুলো পড়ুন।

যারা বিজ্ঞান দিয়ে কোরআনের ভুল ধরেন তারা সবাই একটু দেখুন। সাইন্টিফিক মেথড সম্পর্কে আগে জানুন।

দু'টি চুরির মামলা এবং সেই আলোকে বিবর্তনবাদ, পৃথিবীর স্থিরতা, আস্তিকতা- নাস্তিকতা এবং নাসার চাঁদে যাওয়ার প্রমাণ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১১
৬টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×