হামলা যেভাবে শুরু হয়েছিল
......
নাসিরনগরের এমপির নির্দেশে
সেখানে নতুন প্রতিষ্ঠিত হওয়া
মাদ্রাসা বন্ধ করা নিয়ে। এর
প্রতিবাদে দু'দিন যাবত
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রতিবাদ
চলছিলো আলেম-ওলামা,
দ্বীনদার মুসলমান এবং ছাত্র
সমাজের পক্ষ থেকে।
কাল বিকেলে জামিয়া
ইউনুসিয়ার এক ছাত্র জেলা
পরিষদ মার্কেটে মোবাইল
কিনতে যায়। সেখানে কোন
কারণে কথা কাটাকাটির এক
পর্যায়ে দোকানের একটি ছেলে
(রনি) জামিয়ার ছাত্রকে চড়
মারে। এর প্রতিবাদে মাদ্রাসার
বেশকিছু ছাত্র আবার সেই
দোকানে যায় এবং কথা
কাটাকাটির এক পর্যায়ে রনিকেও
মারা হয়। তারপরই পার্শ্ববর্তী
শিমরাইলকান্দির লোকজন অস্ত্র-
শস্ত্র নিয়ে মাদ্রাসা ঘেরাও
করে গুলি ও ককটেল ছুড়তে থাকে৷
সন্ত্রাসী হামলার শিকার
মাদ্রাসার মাইক থেকে
এলাকাবাসীর সাহায্য চাওয়া
হলে কান্দিপাড়ার লোকজন
মাদ্রাসার সাহায্যার্থে ছুটে
আসে।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের এমপি
মুক্তাদির চৌধুরী নির্দেশে
ছাত্রলীগ এই ঘটনায় সম্পৃক্ত হয়
মূলত ওবায়দুল মুক্তাদীর চৌধুরীর
কথায়৷ সে ছাত্রলীগকে নির্দেশ
দিয়েছে মাদ্রাসার বিরুদ্ধে
অবস্থান নিতে।
ইতোমধ্যে এই ঘটনাকে
রাজনৈতিক রূপ দেয়া হয়েছে । কারণ কালই
ব্রাহ্মণবাড়িয়
া বিএনপির শীর্ষ নেতারা জেল
থেকে মুক্তি পেয়েছে। এই
মারামারিকে এখন বিএনপি এবং
আলেমদের উপর চাপানোর চেষ্টা
চলছে।
যদিও পুলিশ বিশৃংখলা
থামানোর পরিবর্তে উল্টো
জামিয়া ইউনুসিয়ার ছাত্রদের
দিকেই গুলি ছুড়ছিল।