somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

...এবং সিনেমা

১৪ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রথমেই বলে নিই... চলচ্চিত্র জগতে আমি অতি সাধারণ একজন দর্শক। সিনেমা বোদ্ধাদের মতো অভিনয় বুঝে, খুব বেছে সিনেমা দেখতে বসি না। যা ইচ্ছে করে তাই দেখি। ববিতার সাদাকালো "বাদী থেকে বেগম" থেকে মুনমুন ময়ুরীর সিনেমাও দেখেছি।
সিনেমার পোস্টার দেখে দেখতে ইচ্ছে করেছিল "ছুঁয়ে দিলে মন"। এর আগেও দেখতে ইচ্ছে করেছে "জিরো ডিগ্রি", "বৃহন্নলা" এমনকি "মোস্ট ওয়েলকাম টু" । দেখতে যেতে পারিনি। হয়তো সময় অথবা সঙ্গী না পেয়ে।


হলে গিয়ে "ছুঁয়ে দিলে মন" দেখার আগে শেষ দেখেছিলাম "মোস্ট ওয়েলকাম"। এবার সঙ্গীর অপেক্ষা না করে একাই গেলাম হলে । একটু যে অস্বস্তি হচ্ছিল না তা নয়। তবে বিষয়টাকে জেদ বা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছিলাম। সিনেমা হলে সম্ভবত আমি একমাত্র নারী ছিলাম যে একা গিয়েছিলাম সিনেমা দেখতে। গতবার দেখেছিলাম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় অনেকেই উঠে দাঁড়াতে গড়িমসি করছিল। এবার তা দেখতে হয়নি। সবাই সাথে সাথে উঠে দাড়ালো। বিষয়টা ভালো লাগছিল। দেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন ।

আরিফিন শুভ আর মম দু'জনকেই ভালো লাগে । তারপরও একটু সন্দিহান ছিলাম সিনেমাতে কেমন লাগবে ।
যতদূর বুঝেছি দেশের মাটিতে পুরো সিনেমা হয়েছে। বেশ সুন্দর লোকেশন। গানগুলোও বেশ ভালো লেগেছে।

যা ভালো লাগেনি তা হলো মম'র শরীর দেখানো। বিশেষ করে বক্ষ দেখানোর জন্যে যে বড় গলার ড্রেস পরানো হয়েছে তাতেই বরং খারাপ লাগছিল। আমরা মম'র অভিনয় দেখতে গেছি (যদিও অভিনয়ের কিছু বুঝিনা) শরীর দেখতে নয়।
খোলামেলা পোশাক পরাকে সাহসী বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে মানতে নারাজ।বাণিজ্যক সিনেমা মানেই কি শরীর দেখাতে হবে ? নারীর অভিনয়ের চেয়ে এই শরীর দেখানোর টেন্ডেন্সি ভালো লাগেনি। যেসব নারীরা অভিনয়ের সাথে জড়িত তারা সচেতন না হলে এসব বন্ধ হবে না।

তবে বলবো হলে গিয়েই সিনেমা দেখুন তারপর দেশীয় সিনেমার পিণ্ডি চটকান।
এই সিনেমা দেখে যা বলতে পারি: প্রথম প্রেম নেভার ডাইস।

অবুঝ বউ ( টিভিতে দেখা)


রবীন্দ্রনাথের "সমাপ্তি" অবলম্বনে শহীদুর রহমানের প্রযোজনায় নার্গিস আক্তারের পরিচালনায় সিনেমা "অবুঝ বউ"।
গ্রামের সহজ সরল চঞ্চল যে নারীকে দেখে মন চঞ্চল হয় তাকে বিয়ে করে ঘরের বউ করে যদি আর সব তথাকথিত বউয়ের মতই সার্ভিস পেতে মন চায় তবে চঞ্চল নারীকে বিয়ে না করে বরং ভালো ঘরকন্না জানে এমন মেয়েকেই কেন বিয়ে করা নয়?
এই সিনেমাটা দেখার পর মনে হয়েছে বিয়ের পর পুরুষ সাধারণত স্বামী (প্রভু) হয়, বন্ধু নয়।

আমাদের সিনেমা শিল্পে কি ভালো মেকাপ করার কেউ নেই যারা পরিবেশ বুঝে নায়িকার নেচারাল মেকাপ করে দিবে ? "ছুঁয়ে দিলে মন" আর "অবুঝ বউ" এই দুটো সিনেমা দেখে একই কথা মনে হয়েছে। তবে উল্লেখিত দু'টো সিনেমাতেই নায়কের স্বাভাবিক চুল, মেকাপ, পোশাক ভালো লেগেছে।


American Beauty


দোকানে রোমান্টিক সিনেমার কিছু চেয়েছিলাম। তার মধ্যে এটি পড়েছে। না জেনেই কিনে এনেছি।
সিনেমাটির নামের সাথে কাহিনীর সরাসরি সাদৃশ্য খুঁজতে গেলে বৃথা সময় নষ্ট হবে। বরং আমেরিকান মধ্যবিত্ত সমাজকে খুব কাছ থেকে দেখা... মাঝ বয়সে এসে বুড়ো হয়ে যাওয়ার ভীতি যা পরবর্তীতে মেয়ের বান্ধবীর প্রেমে পড়ে নিজের ফিটনেসের দিকে নজর দেয়া । সেক্স ইন দ্য সিটিতেও ব্যাপারটি খেয়াল করেছি-মন খারাপ , ডিপ্রেসড থাকলে মানুষকে আরো বেশি মলিন, বয়স্ক লাগে ।
অনেক বাবা-মাকেই সন্তানের প্রতি নজরদারী, মাত্রাতিরিক্ত শাসন করতে দেখা যায়। যার ফলাফল কখনোই শুভ হয়না। সন্তানের অভিভাবকের চেয়ে বন্ধু হলে বরং সন্তান সঠিক পথে আগাতে পারে । পেশায় সাবেক নেভাল কর্নেল ফ্রাঙ্ক ফিটস তার ছেলে রিকিকে তেমন ভাবেই শেষ পর্যন্ত হারিয়েছে।
এই সিনেমা দেখে যা বলতে পারি- প্রেমে পড়ুন যে বয়সেই হোক...তবে বিপদে পড়লে কিন্তু আমি জানিনা ।

Sleeping Beauty


না, এ কোন রূপকথার ঘুমন্ত রাজকন্যা নয়। তেতো বাস্তবেরই এক সুন্দরী। যাকে জীবনের প্রয়োজনে করতে হয় বেশ কিছু অড জব। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অস্ট্রেলিয়ান সিনেমা Sleeping Beauty ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া লুসি যে কফি শপে কাজ করে, ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল ল্যাবের রিসার্চ সাবজেক্ট এবং বারের আগতদের কারো কারো সেক্স পার্টনার হিসেবে পুরো সিনেমা জুড়ে শান্ত, চুপচাপ, নির্বিকার একটি চরিত্রকে দেখানো হয়েছে । কিন্তু যখন সে তার শয্যাপাশে একজন মৃত বুড়োকে দেখতে পায় তখনই কেবল তাকে ইমোশনাল হতে দেখা যায় বিশেষভাবে। যা ঘুমন্ত সুন্দরীকে জাগিয়ে তোলার রূপক হিসেবে কাজ করেছে।

সিনেমাটা দেখে যা মনে হয়েছে কর্পোরেট পুরুষদের কাছে নারী অতি সহজলভ্য। যদিও পাঠক বলতে পারেন সব পুরুষদের কাছেই নারী সহজলভ্য। কিন্তু যখন আপনি ক্লাস মেইনটেইন করবেন তখন সব ক্লাসের নারী কিন্তু সহজলভ্য নাও হতে পারে। কিন্তু অনেক সময়ই আপার ক্লাসের নারীরা সহজলভ্য হয়ে যায় কর্পোরেট পুরুষদের কাছে। আমাদের বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকা শহরে এই বিষয়টির কথা শুনেছি। কলেজ, ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েরা সহজে অর্থ উপার্জনের এক পথ হিসেবে কর্পোরেট পুরুষদের সাথে ডেট করা বা বিছানা সঙ্গী হওয়াকে বেছে নিচ্ছে। অনেক সময় প্রমোশনের লোভে বা বিদেশ ভ্রমনের সুযোগ পেতে অনেক সাবোর্ডিনেট নারীও বিভিন্ন পন্থায় বসদেরকে খুশি করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ।

Snow girls
সাজেস্ট করছিনা। পুরো শরীর সর্বস্ব পোস্ট। আর কোন মেসেজ থাকুক বা না থাকুক আমার কাছে ভালো লাগেনি একেবারেই ...।

Perfume


সিরিয়াল কিলার...একের পর এক নারীকে খুন করছে। ভাবনায় আসতেই পারে নিশ্চয়ই খুন করার আগে রেপ করছে... নাহ ব্যাপারটা মোটেই তা নয়। শুধুমাত্র শরীরের গন্ধ সংগ্রহ করার জন্যেই এই খুন । কোন নারীর প্রতি কোন রকমের যৌন কামনার কোন আবেগী চরিত্র নয়...অসাধারণ এক ম্যুভি PERFUME । হয়তো অনেকেই দেখেছেন হয়তো কেউ কেউ দেখেননি । Ben Whishaw এর অসাধারণ অভিনয় আপনাকে মুগ্ধ করবেই ।

The Notebook


অনেকের বিদেশী সিনেমা দেখার লিস্টে হয়তো শতেক/হাজার ম্যুভি থাকতে পারে। আমার সেই তুলনায় দেখা সিনেমার সংখ্যা অতি নগন্য। হাতের আঙ্গুলে গোনা যাবে। কিন্তু তারপরও এযাবৎ যতগুলি সিনেমা দেখেছি তার মধ্যে এই মুহূর্তে যদি জিজ্ঞেস করা হয় বেস্ট রোমান্টিক ম্যুভির নাম কী? তবে বলতে বাধ্য হবো The Notebook এর কথা। আজ থেকে এগার বছর আগে রিলিজ হওয়া সিনেমাটি নিশ্চয় সিনেমাখোররা দেখে ফেলেছেন। যারা শখ করে মাঝে মধ্যে সিনেমা দেখেন তাদেরও নিশ্চয়ই দেখা সারা। আমি অনেকদিন দেখবো আশায় ছিলাম। অনলাইন থেকে বা কারো কাছ থেকে পাইনি। তাই অবশেষে কিনে দেখলাম। কেউ যদি এখন পর্যন্ত না দেখে থাকেন তবে বলবো নির্দ্বিধায় দেখে ফেলতে ।
যারা দেখেছেন তারা হয়তো কেউ কেউ বলতে পারেন সম্পর্কের বিশ্বস্ততা নিয়ে...কিন্তু তেমন পরিস্থিতিতে হলে আপনার মনও হুহু করে উঠতো...কাছে গিয়ে কাটিয়ে আসতেন সময়। প্রথম প্রেম...অথবা জীবনে এমন কেউ আসে যে রাঙিয়ে দিতে যায় জীবনের বিশেষ কিছু সময়। তাকে তো ভোলা যায় না। সে কাছে থাকুক...তেমন চাওয়া থাকে সবসময়ই ।

The last song


পিতা কন্যার সম্পর্ক নিয়ে খুব সুন্দর একটা সিনেমা।
সিনেমার একটা জায়গায় নিজের দেশের পিতার সাথে বেশ মিল পেয়েছি যখন রাতে কচ্ছপের ডিমগুলোকে পাহারা দেয়ার সময় বাবা এসে নায়িকা আর নায়কের মধ্যে দাগ টেনে যায় যেন নায়ক সেইই দাগের সীমানা অতিক্রম করে নায়িকার কাছে না আসে ;)


Remember me


রোমান্টিক সিনেমা হলেও পিতা পিয়ার্স ব্রসনান এর সাথে পুত্র রাবর্ট প্যাটিনসন এর মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই সিনেমায় । কিন্তু পিতা তো সন্তানকে ভালোবাসেই তা সে যেমনই হোক...সন্তানের প্রতি পিতার সেই মমত্ববোধকেই দেখিয়ে টুইন টাওয়ার এর ধ্বংস দেখিয়ে মনে রাখতে বলেছে।
ক্লাসে ছোট বোনকে টিজ করা হলে বড় ভাইয়ের (রবার্ট প্যাটিনসন) রিএ্যাকশনে দারুণ মুগ্ধ আমি।

Sex and the city


এই সিনেমাতে চার নারীর বন্ধুত্ব আমাকে দারুণ মুগ্ধ করেছে।
দাম্পত্য জীবনে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দরকার রয়েছে বটে । (এই অংশটা মনে হলে এখনও হাসি পায়) ।
তবে ভালোবাসায় আঘাত পেলে মানুষ যে কতোটা মুষড়ে পড়ে তা এই সিনেমা থেকে খুব ভালো উপলব্ধি করেছি। সেই সাথে আমার লেখা "নিজেকে হারায়ে খুঁজি"র কথাও বেশ মনে পড়েছে।

Pretty Women


প্রস্টিটিউটের চরিত্রে জুলিয়া রবার্টস আর রিচার্ড গিয়ারের এই দারুণ সিনেমাটি খুব কম জনই নিশ্চয়ই দেখতে বাকী রেখেছেন। এই সিনেমাতে পশ্চিমা দেশেও পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থাকে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।

Sleeping with the enemy


শুচিবায়ুগ্রস্থ অবসেসিভ কমপালসিভ পারসোনালি ডিজঅর্ডারে ভোগা মার্টিনকে সুখি করা সত্যি খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার বেচারী লরার (জুলিয়া রবার্টস) জন্যে। মানসিক অত্যাচারতো বটেই আকর্ষনীয়
প্রতিবেশীর প্রতি স্ত্রীর আকর্ষণের মিথ্যে সন্দেহে শারীরিক অত্যাচার একজন দাসের স্বাধীনতাকেও হার মানায় ।

স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে কে বাচিতেঁ চায়?

আর তাই নতুন জীবন পেতেই লরা নিজেকে হারিয়ে ফেলে। স্বামী মার্টিনের কাছে মৃত লরা নতুন জীবন গ্রহণ করে "সারা" নামে এবং নতুন পরিবেশে নতুন প্রতিবেশী বেন এর সাহচর্যে নতুন জীবনের স্বাদে যখন সুখের মুখ দেখতে শুরু করলো ততদিনে মার্টিন জেনে গেছে তার স্ত্রী লরা জীবিত। We will always be one. Nothing can keep us apart. মার্টিনের যতই ভালোবাসা থাকুক লরার প্রতি কিন্তু বেশি চিপলে লেবু তেতো হয়ে যায়...তেমনি লরাও স্বামী মার্টিনের অত্যাচারে ভালোবাসাকে তুচ্ছ করতে পেরেছিল। I can't live without you. And I won't let you live without me. মার্টিন কথাটা ভালোবাসা থেকে বললেও আদতে পৃথিবীতে অত্যাচারীরা শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেনা। স্বামী মার্টিনও পারেনি। টিকে থাকে শান্তি প্রিয়রাই। অতঃপর তাহার সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল... কাহারা ? লরা মানে সারা এবং বেন ।

---------------------------------
এই হলিউড সিনেমাটি ১৯৯১ সালে মুক্তি পায়। পরবর্তীতে একই ঘটনার একটা বলিউড সিনেমা মুক্তি পায় "অগ্নিসাক্ষী" নামে । যা নানা পাটেকর, মণিষা কেরালা এবং জ্যাকিশ্রফ অভিনীত। ----------------------------------- সিনেমার নাম Sleeping with the enemy-ই কেন রাখা হলো ? এমন প্রশ্ন যখন মাথায় ঘুরছিল তখন একটা ইমেজ চোখে পড়লো যার ক্যাপশনে লেখাছিল Marriage is the only war, during which you sleep with your enemy ...বাহ বেশ জবাব তো !


The boy next door


আমরা অন্তর্জালে কতো ফেইক মানুষের সাথে কথা বলি। হৃদয়ে স্থান দিই। হ্যাঁ, হৃদয়ে স্থান দিই। তার মানে সবসময় এই নয় যে প্রেমে পড়ে যাওয়া। হতে পারে কথা বলতে বলতে একটা আত্মিক টান চলে আসে । কখনো কখনো মিস করি । কিন্তু তা ওই পর্যন্তই। কিন্তু সেটাই কখনো কখনো অপরপক্ষ থেকে বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। হতে পারে কখনো কখনো নিজের দূর্বল সময়ের ছোট কিছু ভুলের জন্যে বড় ধরনের মাসুল ।
যারা শাহরুখ, যুহির "ডর" দেখেছেন তারা এই সিনেমার সাথে মিল পাবেন । (মিলটা কোথায় যারা দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন।)
পুটলকারে ম্যুভি দেখতে বসে কী দেখবো বুঝতে না পেরে জেনিফার লোপেজ-এর কারণেই দেখা শুরু করলাম...সাথে আইএমডিবিতে সার্চ লাগালাম। রেটিং ৪.৫ (চার পয়েন্ট পাঁচ) । আপনি নির্ঘাত বলবেন যাচ্ছেতাই ম্যুভি। আমি দেখতে দেখতে ভাবছিলাম অনলাইন থেকে কিছু মেয়ে নিশ্চয়ই এভাবেই বিপদে পড়ে। অথবা বাস্তব জীবনেও। কিছু সময় যার সাথে হেসে কথা বললেন সেই যে আপনার জন্যে কতো বড় অশনি সংকেত হয়ে জীবনে দেখা দিতে পারে তা আগেই ভেবে নিতে পারো হে "নারী" ।




পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখার মতো দারুন কিছু সিনেমা।
---------------------------------------------------------------------
Life is beautiful


এক কথায় অসাধারণ সিনেমা। আমি দেখতেই দেরী করে ফেললাম। এর আগে একবার দেখা শুরু করেছিলাম। ভালো প্রিন্ট পাইনি তাই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। তবে এবার দেখা হয়ে গেল। জীবনটাকে কতো দারুনভাবে পজিটিভলি উপস্থাপন করা যায় তা এই সিনেমা থেকে শিক্ষণীয়।

Peddington


ডার্ক পেরুর এক ভালুককে নিয়ে যা এক পরিবারের সাথে জড়িয়ে কাহিনী গড়ায়।
বাচ্চাদের জন্যে দারুন এক সিনেমা। বড়রাও দেখে আনন্দ পাবেন নির্ঘাত। সেইসাথে সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের দায়িত্বও একটা শিক্ষণীয় বিষয় যা এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে।

Nightcrawler


ক্রাইম জার্নালিজম নিয়ে পুরো সিনেমা জুড়ে উত্তেজনা যা শেষের দিকে রীতিমতো তুঙ্গে উঠাবে আপনাকে । এই সিনেমাতে বিশেষ একটা ব্যাপার আবিষ্কার করেছি...আপনি নিশ্চিন্তে আপনার পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখতে পারবেন সেই গ্যারান্টি দিতে পারি ;)


Portrait of Love


চেহারায় এতো মিল যে Bree Williamson কে আমার কাছে ঐশ্বরিয়া রায়ের বোন মনে হয়েছে। এটা টিভি সিনেমা হওয়ায় কিছুটা ধীর গতির কিন্তু আপনার ভালো লাগবে ।

বাংলা সিনেমার খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন বিএমডিবিতে ।

একটি পরামর্শ:
মন খারাপ থাকলে সিনেমা দেখুন । সময় ভালো কাটবে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:০২
৬৯টি মন্তব্য ৬৯টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×