প্রথমে বলে নি , মালোয়েশিয়ার মত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে লাউড স্পিকারে মসজিদ থেকে আজান দেওয়া যায় না বা নিষিদ্ধ । আমাদের দেশে ৫০ বৎসর আগে মাত্র সামান্য সংখ্যক মসজিদ হতে মাইকে আজান দেওয়া হোত । এখন কার চিত্র ভিন্ন । কোন কিছু ইসলামের নামে ব্যবহার করার আগে আমাদের মমিন হুজুররা প্রথমে দেখে , ঐ সমস্ত জিনিস গুলো আমাদের রসুল(সা: ) বা সাহাবারা ব্যবহার করেছেন কিনা ইত্যাদি । এই হিসাবে তারা কেহই মসজিদে মাইক ব্যবহার করেন নি আজান দেওয়ার জন্য । তার মানি এইটাই হয় আজান দেওয়াটা ইসলামে বাধ্যতা মুলক কিন্তু আজানের জন্য মাইক ব্যবহার বাধ্যতা মুলক নহে ।
এখন যেহেতু অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে, তাই আজানের জন্য মাইকের ব্যবহার অবশ্যই দরকার আছে এবং সেই সাথে মাইকে আজান দেওয়ার কিছু নীতিমালার অবশ্য প্রয়োজন আছে । এই ব্যপারে আমার মহানবী (সা: ) একটি হাদিস ব্যবহার করতে পারি । তিনি বলেছিলেন একটা মসজিদ হতে যে পর্যন্ত আজান শুনা যায় সে পর্যন্ত যেন কোন মসজিদ নির্মান করা না হয় । এখন মাইকে আজান দিলে বহু দুর পর্যন্ত শুনা যায় কিন্তু এখন জন সংখ্যার বৃদ্ধির কারনে একাধিক মসজিদের প্রয়োজন হয় একটি এলাকার ভিতরে ।
যদি কোন এলাকাতে ৭ টা মসজিদ থাকে তাহোলে পালা ক্রমে সপ্তাহের বিভিন্ন দিন মসজিদ থেকে আজান দেওয়ার রোস্টার করা যেতে পারে । মনে করুন একটি মসজিদকে অনুমুতি দেওয়া হোল শুধু সোমবারে তাদের মসজিদ থেকে আজান দেওয়া হবে এবং সোমবার দিন বাকি ছয়টা মসজিদ হতে মাইক ছাড়া আজান দেওয়া হবে । তারপর আরেকটা মসজিদকে শুধু মঙ্গলবার , আরেকটাকে বুধবার , এই ভাবে সাতটা দিনে সাতটা মসজিদকে আজান দেওয়ার অনুমুতি দেওয়া হোল । ব্যপারটা হোল শুধু মাত্র একটি মসজিদ অনুমুতি পাবে রোস্টার অনুসারে মাইকে আজান দেওয়ার জন্য এবং বাকি ছয়টা মসজিদ মাইক ছাড়া আজান দিবে । এই ভাবে প্রত্যেক মসজিদ সাপ্তাহে একদিন মাইকে আজান দেওয়ার সুযোগ পাবে ।
আমার মনে হয় সরকারকে এই ব্যপারে আগিয়ে আসবে এবং মাইক ব্যবহারর নীতি মালা অচিরে প্রনোয়ন করবে ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৮