১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগ ছিল এক মাত্র গণতন্ত্রের পক্ষের দল বাকি সব কটা দল ছিল গণতন্ত্রের বিপক্ষের দল অর্থাৎ সমাজতান্ত্রিক দল যারা মনে করতো পার্লামেন্ট হোল একটা শুয়োরের খামার । এরা জোট পাকালো এবং সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতি বিপ্লব শুরু করলো । যেহেতু সদ্য স্বাধীনদেশের সরকার দুর্বল তাই এখনি মোক্ষম সময় তক্তা উল্টানোর , শুরু হোল সর্বহারাদের অস্ত্র হাতে তৎপরতা, অস্ত্র নিয়ে মাঠে হাজির জাসদের গণবাহিণী, ঐ দিকে ন্যাপ ,একতা পার্টি, সিপিবি, মনিসিং এর কমুনিষ্ঠ পার্টি সবাই রাজ পথে দাবি গণতন্ত্র নহে সমাজতন্ত্র চাই , এদের পিছনে সোভিয়েত ইউনিয়ানের একছত্র সমর্থন , চিনের সমর্থন চিনাপন্থিদের পিছনে কিন্তু আওয়ামী লীগের পিছে আমেরিকার কোন সমর্থন দুরে থাক , আমেরিকা আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথমে বাম প্রতিবিপ্লব প্রতিহত করারা জন্য রক্ষি বাহিণী গঠন করলো এবং বাম অস্ত্রধারিদের কোনঠোষা করে ফেললো , যদি রক্ষিবাহিণী ব্যর্থ হোত তাহোলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন তো হোতই, সেই সাথে সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের সৃষ্ঠ হোত কিন্ত সরকারের তৎপরতায় সেটা ব্যর্থ হয় ।
১৯৭২ সালের একমাত্র গণতন্ত্রের পক্ষের দল আওয়ামী লীগের পিছনে আমেরিকার কোন সমর্থন নেই বরং তাদের ক্ষমতা চূত করার জন্য আমেরিকা এক পায়ে খাড়া , ও দিকে সোভিয়েত ইউনিয়ান এবং চায়না চায় বাংলাদেশে বামপন্থি সরকার, এই টানাপোড়েনের মাঝে আওয়ামী লীগ গঠন করলো বাকশাল , সাথে সাথে সব গণতন্ত্র বিরোধী বাম দল সমূহ এসে বাকশালে যোগ দিল । আমেরিকা যদি আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকতো তাহোল ঐ সরকার বাকশালের পথে যেত না কিন্তু রাজনীতির গ্যাড়াকলে পড়ে এবং পরিস্থিতির চাপে গঠন করতে হোল বাকশাল ।
আফগানিস্থানের মুজাহিদ সরকার প্রতি বিপ্লবি তালেবানদের মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছিল কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার বাম প্রতিবিপ্লবিদের ব্যর্থ করে দেয় রক্ষিবাহিণীর সাহায্যে-- যদি ব্যর্থ হোত তাহোলে আজ হোত সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ -- বিএনপি জামাত পয়দাই হোত না ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


