চাঁদনী রাতে শ্যাওড়া গাছের তলায় বসিয়া প্রতীক্ষা করিতেছিলাম। ভাবিয়াছিলাম যেই শাকচুন্নীই আসুক না কেন তাহার সহিত ভাব জমাইয়া রসালাপ জুড়াইবো।
[যেমন,
আমি শুধাইবো:
'প্রেয়সী,তুমিও কি মেক আপ লও?'
শাকচুন্নীও হয়তো কপোল ফুলাইয়া কপট রাগ দেখাইয়া পাল্টা প্রশ্ন ছুড়িবে:
'তোঁমাঁদেঁরঁ পাঁতিঁলেঁরঁ তঁলাঁরঁ কাঁলিঁ কোঁথাঁয়ঁ যাঁয়ঁ তাঁহাঁ কোঁনোঁদিঁনোঁ কিঁ জাঁনিঁবাঁরঁ চেঁষ্টাঁ কঁরিঁয়াঁছঁ??]
অতঃপর তাহার সুমধুর সঙ্গীত শ্রবণ করিব,
দিঘল কেশে আঙ্গুলি বুলাইয়া দুই একটি ছন্দ মিলাইবো।
প্রয়োজনে দৈত্যের সহিত কুস্তি লড়িয়া তাহাকে চিরতরে আপনার করিয়া লইবো।
চন্দ্র বিদায় হইয়া অন্ধকার নামিলো। আগুন পোকার লন্ঠন জ্বালাইয়া সমস্ত রাত্রি জাগরনের পরেও তাহার দর্শন পাইবার তিলকপরিমাণ আলামতও দেখিতে পাইলাম না।
বুঝিলাম মিনশেদের ওপর তাহাদিগের আস্থাও লোপ পাইয়াছে।
ইহার চাইতে যাহারা বউ লইয়া ভূত এফ এম শুনিতেছেন এইরূপ জোর দাবি করিয়া অনবরত বার্তা পাঠাইতে থাকেন তাহারাই আসলে সার্থক পুরুষ।শেষ অবধি শুকাইয়া যাওয়া রসের হাঁড়িতে ভাগ বসাইতেও পিপীলিকারা কামড়া কামড়ি শুরু করিয়াছে।
ঐ আঁধারে মিলাইয়া থাকা শাকচুন্নীরা সুখে থাকুক;
মানুষেরা যেইরূপ তাহাদের মানসীদের সঙ্গে.....
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৭