somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসঙ্গঃ পেইড নাস্তিক, পেইড নাস্তিকতা, ইসলামোফোবিয়া, বাংলাদেশ

২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের তথাকথিত মুক্তমনা সম্প্রদায়ের চরিত্রের কিছু বৈশিষ্ট্য, তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণসহ, কেন তাদের থেকে অনলাইন, এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা উচিৎ বলে আমি মনে করে, তা সংক্রান্ত বিষদ এ লেখা যখন আমি আমার ব্লগে শেয়ার করছি, আমার একটা ভারমুক্তির অনুভূতি হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বাঙ্গালী মুসলমানের বিরুদ্ধে যে পরিচয়সন্ত্রাস একটি সংঘবদ্ধ দল করে চলেছে, তাদের পরিচয়, তাদের কর্মপন্থা নিয়ে যৌক্তিকভাবে কিছু পর্যালোচনার প্রয়োজন ছিল।

এ বিষয়ে আমার পূর্ববর্তি "বাঙ্গাল মস্তিষ্কের বিউপনিবেশায়ন" সিরিজের লেখাগুলো সংশ্লেষণ করে একটি বই হয়তো শীঘ্রই প্রকাশ করবো, বাংলা এবং ইংরাজিতে। "মুক্তমনা" ছদ্মনামের আড়ালে তাঁরা কীভাবে বাংলাদেশে ইসলামবিদ্বেষ, ইসলামোফোবিয়া ছড়িয়েছে, এবং ক্ষেত্রবিশেষে বিবিধ বাংলা ব্লগ কর্তৃপক্ষ সচেতন বা অচেতনভাবে তাদের প্রোপ্যাগান্ডা ছড়ানোয় সাহায্য করেছে, তার বিরুদ্ধে এক প্রামাণ্য দলিল আকারে থেকে যাবে বইটি, আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। ইসলামোফবিয়া একটা বৈশ্বিক গবেষণার বিষয়, এবং কীভাবে ইসলামোফোবিয়া বৈশ্বিক মুসলিমদের উপর একটি নেতিবাচক প্রভাবে তৈরি করছে - তা নিয়ে প্রচুর অ্যাকাডেমিক গবেষণা আছে। বাংলাদেশে এমন একটা গবেষণা, হয়তো সময়েরই দাবী।

কেউ যদি নিজেকে গর্বিত ইসলামোফোব বলে দাবী করে, তা সে করতেই পারে, যেহেতু বাংলার ব্লগে "মতপ্রকাশের স্বাধীনতা" আছে। কিন্তু আপনি, একজন আম আদমি যে আজ তার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাচ্ছেন, তারসঙ্গে খেজুরে আলাপ চালাচ্ছেন, এবং এই করে মনে করছেন - জাতিকে আধুনিকতার চুড়ায় তুলে দিচ্ছেন, আসলেই কি তাই?

প্রশ্ন করি - কেউ যদি নিজেকে হিন্দুফোব বলে গর্বিত ভাবে প্রচার করে, বা পাহাড়িফোব বলে দাবী করে, তবে তার সাথেও কি আপনি এই তুলুমুলু সম্পর্ক বজায় রাখতেন? তবে ইসলামোফোব বলে যারা নিজেদের প্রচার করে, তাদের সাথে আপনার সুসম্পর্কের ব্যাপারে আপনার নৈতিক অবস্থান কী প্রশ্নবিদ্ধ নয়?

আয়নার সামনে যখন দাঁড়ান, নিজের চেহারা দেখে আপনার কষ্ট হয় না?

যাক, আমার নীচের যে দশটি পয়েন্ট, এগুলো খুব শক্তভাবে প্রমাণ করে যে - "মুক্তমনা" হওয়ার দাবীদার এ গোষ্ঠী মূলত বুদ্ধিবৃত্তিক একটি অসৎ জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে সচেতনভাবে ইসলামবিদ্বেষ ছড়ায়, এবং কি কারণে তাদের সাথে যেকোনোরূপের ব্লগিয়/ সামাজিক ইন্টার‍্যাকশন থেকে ধর্ম - বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের বিরত থাকা উচিৎ।

১। ব্লগিয় ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকেরা মূলত রিডাকশনিস্ট। তাঁরা ১৫০০ বছরের ইতিহাসওয়ালা একটা ধর্ম, যা পৃথিবীর এই মুহূর্তে সবচে দ্রুতগতিতে বর্ধমানশীল জীবনদর্শন - তাঁকে রিডিউস করে একটা জঙ্গিবাদী, অনাধুনিক ধর্ম হিসেবে একপেশে প্রচারণা চালায়। কখনোই ইসলামকে জাস্টিফাই বা ইসলাম সংক্রান্ত কোন ভালো কথা এদের মুখে শুনবেন না।

একপেশে কোন বর্ণনাই বুদ্ধিবৃত্তিক সততার পরিচায়ক না। নিজের বিবেকের দায়েই এই অসৎ গোষ্ঠীর সঙ্গে সকল রকম যোগাযোগ বন্ধ রাখা উচিৎ।

২। এরা মূলত অ্যাটেনশন সিকারের দল। ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোর মত খুব ক্ষুদ্র - নোংরা একটা গণ্ডির মধ্যে এরা সারাজীবন ঘুরপাক খেয়ে মরে। ধর্মবিশ্বাসীদের পশ্চাৎপদ, মধ্যযুগীয় ধ্যানধারণার অধিকারী বলে প্রচার করে। এই ধর্মবিদ্বেষী নেতিবাচকতা ছাড়া এদের আর কি পরিচয় আছে? নেতিবাচক জীবনদর্শনে বিশ্বাসী মানুষের সংস্পর্শ আপনাকে ইতিবাচক মানুষে পরিণত করবে, না আপাদমস্তক নেতিবাচক মানুষে?

ব্লগে যারা ইসলামবিদ্বেষ ছড়ায় - তাঁরা কোন পরিবার থেকে আসা? তাঁরা কোথায় পড়াশোনা করেছে? ব্লগে তাদের তির্যক মন্তব্যের প্রত্যুত্তর না করলে তাঁরা আপনাকে মাথামোটা বলে বাঁকা হাসি হাসছে, কিন্তু ব্যক্তিজীবনে তাদের কারো কি সক্ষমতা আছে তাদের স্বপরিচয়ে এসে আপনার সাথে কথা মুখোমুখি কথা বলবার? যদি উত্তর 'না' হয়ে থাকে, তবে তাদের নিয়ে কেন চিন্তা করা, মাথাব্যাথা করা? এই ইসলামবিদ্বেষীদের মধ্যে কয়জন প্রতিষ্ঠিত - ফিল্মমেকার? মিউজিশিয়ান? ঔপন্যাসিক? ইতিহাসবিদ? বিজ্ঞানী? সমাজহিতৈষী?

শুধু ইসলামবিদ্বেষ ছাড়া - এদের আপনাকে দেয়ার মত, শেখানোর মত আর কিছু আছে কী?


৩। ব্লগিয় ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের প্রায়ই দেখবেন একটা কথা বলতে - ঈশ্বর থাকলে প্রমাণ কইরা দেখাও।

ঈশ্বর আছে, নাকি নাই এটা নিয়ে শেষ বাক্য কারো পক্ষে, কোনদিনও, সর্বজনীন অর্থে উচ্চারণ করা সম্ভব না। এই তর্ক বহু পুরনো, এবং অসমাধানযোগ্য। বাংলা ব্লগের ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক গোষ্ঠী এটা জেনেই ক্রমাগত - "যেভাবে আমি ঈশ্বরকে খতম করিলাম", বা "ঈশ্বর নাই তার প্রমাণ" , বা "ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয়ে থাকলে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে আপনার ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করে যান" - এই সমস্ত শিরোনামে ক্রমাগত লিখতে থাকে, যেটা তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক অসততার প্রমাণ।

কাজেই ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের এড়িয়ে চলেন।


৪। ঈশ্বর আছে কি নাই - এটা নিয়ে যেমন কোন সর্বজনীন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব না, তেমনি থাকলে কীভাবে আছে , আর না থাকলে কতদিনের জন্যে থাকবে না - এটা নিয়েও, মৃত্যুর আগপর্যন্ত কারো পক্ষে শেষ কথা বলা সম্ভব না।

বিশ্বাসীর ঈশ্বর সংক্রান্ত ধারণা বয়স এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টায়।নাস্তিক্য, বা ঈশ্বরে অবিশ্বাসের মাত্রাও স্থির কিছু নয়, বয়স ও অভিজ্ঞতার সাথে সে অবিশ্বাস বাড়ে বা কমে। কাজেই, আমার আপনার মত কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে মৃত্যুর আগ মুহূর্তেও ঈশ্বর বিশ্বাসী হওয়া বা নাস্তিক হওয়ার ব্যাপারে সর্বজনীন কোন দলিল দিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কেননা, একজন মানুষ কেবল নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথাই শেয়ার করতে পারে, এবং বলতে পারে যে - আমার জীবনে ঈশ্বরে বিশ্বাস/অবিশ্বাস করার সুফল/কুফল হয়েছে এই ... এই ...

কাজেই মানুষের ইতিহাসের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে চলে আসা বিশ্বাস/ অবিশ্বাসের ব্যাপারে অকালপক্কের মত ক্ষুদ্র একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং নিয়ে, বা অন্ধের হাতী দেখার মত হাতী দেখে ধর্মবিশ্বাস, বা নাস্তিকতা নিয়ে শেষ কথা বলার চেষ্টা করা একটা বুদ্ধিবৃত্তিক অসততা। যদি কারো সৎউদ্দেশ্য থাকে, তবে সে নিজের পরিচিত আত্মীয়স্বজন, বা বন্ধুবান্ধবের একটা গণ্ডির মধ্যে যারা কেয়ারিং, যারা তাঁকে আগে থেকেই চিনে, এবং তার সমস্যার কথা শুনতে চায় - এমন কারো কাছ থেকে ফিডব্যাক নেয়াটা মানা যায়। কিন্তু ব্লগে বা কোন পাবলিক প্ল্যাটফর্মে যে চিৎকার করে নিজের ঈশ্বর সংক্রান্ত - নেতিবাচক, খণ্ডিত, এবং অসম্পূর্ণ ধারণাকে সর্বজনীন আকারে শেয়ার করাটা পল্টনের মোড়ে মাইক টাঙ্গায়ে চিৎকার করে কথা বলার মতই, যেটা ইসলামবিদ্বেষী মুক্তমনা নাস্তিক সম্প্রদায়ের বুদ্ধিবৃত্তিক অসততা।

অতঃপর, তাদের এড়িয়ে চলেন।

৫। বাংলাদেশের ব্লগে সক্রিয় "মুক্তমনা" গোষ্ঠীর মানুষের বিশ্বাসের ব্যাপারে এদের কুরুচিপূর্ণ ভাষার প্রয়োগ, এদের বেআদবি, কোনরকম প্ররোচনা ছাড়াই সাধারণ মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টে এদের আঘাত দেয়ার ধরন দেখেই এদের বোঝা যায় এরা মূলত মানসিক বিকারগ্রস্ত, স্যাডিস্ট, এবং বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে অসৎ। রাস্তা ঘাটে এই শ্রেণীর মানুষ দেখলে তো এড়িয়েই চলেন, অনলাইনে কেন এদের সঙ্গে ম্যাতানো?

৬। "মুক্তমনা" রা সাধারণত নিজেদের যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানমনস্ক দাবী করলেও মাঝেমাঝেই তাদের লেখায় থাকে বিজ্ঞানের ভুলভাল ব্যাখ্যা, বা বিজ্ঞানের অপপ্রয়োগ, যেমন - নিউটনের সূত্র ধরে ঈশ্বর আছে কি নাই - তা প্রমাণ করবার চেষ্টা।

একটা লেখা চোখে পড়েছিল একদিন এ গল্পটি সহ -

একজন মানুষ মৃত্যুর পর শেষবিচারের সম্মুখীন হয়েছে। ঈশ্বর বলছে - তুই ব্যাটা অপরাধী, তোকে নরকে দেয়া হবে। আর উপস্থিত দেবদূত বলছে কিন্তু ঈশ্বর , সে কিছু কাজ ভালো করেছে, তাঁকে স্বর্গে দেয়া উচিৎ। এভাবে মতবিরোধের মাঝে ঈশ্বর আর দেবদূত দুইজন দুইজনকে ব্রহ্মাস্ত্র ছুড়ল, বা মরটাল কমব্যাট গেমের মত পাওয়ার মারলো, দুইজনেই শেষমেস বাংলা সিনেমার ভিলেনের মত মরে পড়ে রইল, মধ্যখানে মানুষ দাঁত কেলায়ে হেসে বলল - হে ঈশ্বর, হে দেবদূত, তোমরা আমার ইমাজিনেশনের ফসল। আমি থাকলে তোমরা আছো, আমি না থাকলে তোমরা নাই।

কথা হচ্ছে, ইহুদী - খ্রিস্টান - মুসলমানদের ধর্মে জাজমেন্ট ডে আসলে মরটাল কমব্যাট , বা স্ট্রিট ফাইটার গেইম না।

জন্মের পূর্বের, বা মৃত্যুর পরবর্তী যে অবস্থার ওপর আব্রাহামিক রিলেজিয়নে বিশ্বাসীরা ঈমান আনে, সেই পৃথিবী আমাদের এই থ্রি ডাইমেনশনাল ওয়ার্ল্ডের মত না। ওখানে চতুর্থ ডাইমেনশন হিসেবে সময় ও উপস্থিত নাই। জাজমেন্ট ডে'র ব্যাপকত্ত বোঝানোর জন্যে কিছু সময় সংক্রান্ত ধারণা স্ক্রিপচারে এসেছে, কিন্তু সেখানেও সময়, এই পৃথিবীর সময় হিসেবে উপস্থিত না।


ঐ লাইন থেকে শুরু করা যাক গল্পের , যেখানে ঈশ্বর এবং দেবদূত দু'জন দু'জনের দিকে ব্রহ্মাস্ত্র ছুড়ল, বা পাওয়ার মারলো। ঐখানে সেই যে ক্লাস সেভেনে না এইটে থাকতে নিউটনের সেকেন্ড ল শিখেছিলামঃ ফোরস (এফ) = ম্যাস (এম) গুণন অ্যাসিলারেশন (এ), সেই সূত্র খাটবে না। কারণ, ত্বরণ (এ) = সরন (এস)/ সময় (টি)। কিন্তু আলমে বারজাখে যেহেতু সময়কাল (টি) উপস্থিত না, কাজেই এই সূত্র ঐখানে খাটবেও না।

প্রশ্ন হল, সারাপৃথিবীর মানুষের সামনে ঈশ্বরকে কতল করতে আসা এতবড় জ্ঞানী মুক্তমনা কী ক্লাস সেভেন এইটের ফিজিক্স কি বোঝেন না? হয়তো বোঝে না, তবুও দাবী করে সে বিজ্ঞানমুখী। অথবা ঈশ্বররে মারার দায় তার এতই বেশী, যে মাঝে মাঝে ফিজিক্সের বেসিক সূত্রে গরমিল লাগায়ে দিলেও তারমধ্যে অপরাধবোধ কাজ করে না। অথবা, সে হয়তো বেশীরভাগ ধার্মিকরেই গাধা মনে করে।

যুক্তি দিয়ে, টেকনোলজি দিয়ে ঈশ্বর বিশ্বাসের মত একটি আত্মিক ব্যাপারের যৌক্তিকতা নির্ণয়ের চেষ্টা "মুক্তমনা" সম্প্রদায়ের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক অসততা।

তাদের এড়িয়ে চলেন।

৭। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে "মুক্তমনা" দের দেশব্যপি আধুনিকতার নামে ঈশ্বর অবিশ্বাস ছড়ানোর যে প্রোপ্যাগান্ডা - তা কোন বাস্তবমুখী প্রোপ্যাগান্ডা না।

তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই, তাদের দাবী অনুযায়ী, তাঁরা আধুনিকায়নের জন্যেই বাংলাদেশের মানুষদের নাস্তিক বানাতে চায়, প্রায় পনেরো কোটি বিশ লাখের মত মুসলমানকে নাস্তিক বানানোর কোন বাস্তবমুখী পরিকল্পনা কি তাঁরা দেখাতে পারবে?

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম তাঁরা পারবে। তাদের স্বপ্ন অনুযায়ী বাংলাদেশ একটা অবিশ্বাসীদের আখড়ায় পরিণত হল।

এর ফলে আমাদের উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতা বন্ধ হবে?

গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্সের রিপোর্ট ২০১৯ অনুযায়ী পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩১ নম্বরে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ৭ নম্বরে।

আমরা ছোট রাষ্ট্র। ওরা বড়।

উপমহাদেশে কাদের, বা কোন ধর্ম সম্প্রদায়ের লোকের আগে ঈশ্বরে অবিশ্বাসী করার চেষ্টা করা দরকার, উপমহাদেশের আধুনিকায়নের, এবং সাম্প্রদায়িকতা বন্ধের জন্যে?

অথবা বাংলাদেশ যে রোহিঙ্গা সমস্যার ভারে জর্জর আজ ২০১৭ সাল থেকে, এটা বাংলাদেশের একটা প্রাক্টিক্যাল সমস্যা।

যে আপনারে নাস্তিক্যের উপযোগিতা বর্ণনা করতে আসে, তার ব্লগে গিয়ে দেখেন আরএসএস, বজরঙ্গ দল, দুর্গাবাহিনী, বা মায়ানমারের সামরিক জান্তা, উত্তেজক বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্প্রদায়ের ব্যাপারে তাদের কয়টা অ্যানালাইটিক সমালোচনামূলক লেখা আছে।

হিন্দুস্তানে যেহেতু সাম্প্রদায়িকতার উপস্থিতি বৈশ্বিক গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশের থেকে বেশ কয়েকধাপ বেশী, এবং রোহিঙ্গা ক্রাইসিস আমাদের এই মুহূর্তের অন্যতম ক্রাইসিস, সুতরাং এ সমস্ত ইস্যুর সমালোচনামূলক লেখা আমাদের "বন্ধু" "মুক্তমনা"র ব্লগে মুসলমান, ইসলাম, কোরআন, রাসুল (সঃ) - এর শানে বেআদবিমূলক লেখা থেকে সংখ্যায় বেশী থাকার কথা।

আচ্ছা, বেশী না হয় নাই, দুই একটা না হয় থাকুক? অ্যানালাইটিক? ঠিক জায়গায় প্যারেক ঠোকার মত?

আছে?
তাও নাই?
তবে কি সে সৎ?
তবুও ওর সাথে কেন আলাপে যাচ্ছেন?


বিশ্বরাজনীতি, আঞ্চলিক রাজনীতির ব্যাপারে ন্যুনতম ধারণা রাখে, এমন একজন সচেতন বাঙ্গালী মুসলমানকে নাস্তিক বানানোর প্রচেষ্টাও সফল হবার কথা না। কিন্তু ১৫ কোটি বাঙ্গালী মুসলমানকে তার নিজের পরিচয়েই আর একটু আপডেটেড, ভালোমানুষ , পরোপকারী, শিক্ষাদীক্ষামুখী করার চিন্তাভাবনা কী কখন এই "মুক্তমনা"দের মনে আসে?

তার মানে কি তাঁরা ব্লকহেডেড নয়?

ব্লকহেডেড, বা বিভিন্ন পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে চিন্তা করতে পারে না যে, তার সাথে আলাপ কখনো ফলপ্রসূ হয়?

কেন সময় নষ্ট করা?

৮। যদিও আমাদের "মুক্তমনা" বন্ধুরা মুসলমান নয়, তাঁরা ইসলামে বিশ্বাসও করে না, তাদের অনেকে প্রকাশ্যে দাবীও করে যে তাঁরা ইসলামবিদ্বেষী, ইসলামোফোব - তবুও তাদের দাবী, ১৫০০ বছর ধরে চলে আসা, এবং এইমুহূর্তে পৃথিবীর সবচে দ্রুতগতিতে বর্ধমানশীল একটি জীবনদর্শনকে তাঁরা বাইরে থেকেই পরিপূর্ণভাবে বুঝেছে।

যে মানুষ, অথবা, ধরেন প্রাণী - একটি ধর্ম/ আদর্শ/ দর্শন - আন্তরিকভাবে ঘৃণা করে, তার কাছ থেকে সে ব্যাপারে নিরপেক্ষ মত আশা করা কী সম্ভব?


তদুপরি , এই তথাকথিত মুক্তমনা সম্প্রদায়কে দেখা যায় - মুসলিম সম্প্রদায়কে জঙ্গি, মধ্যযুগীয় বর্বর প্রমাণ করার জন্যে "মুক্তমনা" সম্প্রদায়কে প্রায়ই ইন্টারনেট থেকে কেটেছিঁড়ে তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন করতে। এবং যদিও তাঁরা জঙ্গি নাস্তিক (মিলিট্যান্ট এথিস্ট), এবং ইসলামবিদ্বেষী ( আপাতত ইন্টারনেটে আপনার মনের শান্তিকে এরা ছুরিকাঘাত করছে, সুবিধামত অবস্থায় আপনাকে পেলে এরা সেই ছুরি আপনার পেটে চালাবে, এই হচ্ছে বাংলায় লেখে এমন ইসলামবিদ্বেষী/ইসলামোফোবের পরিচয়), কিন্তু ইসলামকে বিশ্বাসের বাইরে থেকে এসে যেভাবে বুঝেছে, কোরআনকে যেভাবে বুঝেছে - তাদের সেই আন্ডারস্ট্যান্ডিং ই একমাত্র সঠিক, এবং প্রকৃত আন্ডারস্ট্যান্ডিং বলে তাঁরা দাবী করে।

তাদের দাবীর সূত্র ধরেই কী বাঙ্গালী মুসলমান যদি - বাংলাদেশে বসে, অ্যামেরিকায় কখনো না গিয়ে, কোন অ্যামেরিকানের সাথে রিয়েল লাইফ ইন্টার্যাকশন ছাড়া স্রেফ সিএনএন নিউজ বা ফ্রেন্ডস/ হাউ আই মেট ইওর মাদার সিটকম দেখে কেউ যদি অ্যামেরিকান লাইফস্টাইলের ব্যাপারে নিজের ধারণাকে আদি ও অকৃত্তিম অ্যামেরিকান লাইফস্টাইল বলে দাবী করে, সে দাবী কি সঠিক?


ধর্মীয় পরিচয়ের নিগড় জাতিগত, বা সাংস্কৃতিক পরিচয়ের বুনন থেকে অনেক সূক্ষ্ম। যেকোনো দর্শন, বা ফিলসফি - তা সে থেইস্টিক হোক, বা নন থেইস্টিক, জীবনের দীর্ঘ একটা সময় , সৎউদ্দেশ্যে, প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিজীবনে শান্তি খুঁজবার উদ্দেশ্যে চর্চা না করলে তার রঙ্গ - রূপ বোঝা যায় না। এটা "মুক্তমনা"রা বোঝে না, তা না। কিন্তু তাদের এই বুঝ যদি তাঁরা প্রকাশ করে, তাহলে তো তাদের প্রোপ্যাগান্ডা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।

বুদ্ধিবৃত্তিক অসততা। এড়িয়ে চলেন এদের সংস্পর্শ।

৯। "মুক্তমনা" রা বারবার বলে তাঁরা বিজ্ঞানমুখী, আধুনিকতাপন্থী, ধর্মবিশ্বাস মানুষরে পিছনে ঠেলে দেয়। কিন্তু মানুষের ধর্মবিশ্বাস এবং দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের প্রয়োগক্ষেত্রের ভিন্নতা সত্যেও সমান্তরালে এগুতে থাকা এই দুই বস্তুর মধ্যে ঠোকাঠুকিটা যে ঠিক কোন কোন জায়গায় লাগে, এটা নিয়ে তাঁরা সামগ্রিকভাবে একটা স্পষ্ট বক্তব্য বাঙ্গালী মুসলমান খুঁজে পায় নি।

আমরা কী তাদের কাছে অন্তত একটা পরিপূর্ণ এজেন্ডার লিস্ট চাইতে পারি না, যেখানে উল্লেখ থাকবে দৈনন্দিন জীবনের কোন কোন জায়গায় বিজ্ঞান, ধর্মবিশ্বাসকে কীভাবে কীভাবে রিপ্লেস করবে?

যেমন, ডারউইনের বিবর্তনবাদ। আমি একটা তত্ত্ব হিসেবে এটাকে মানি, এবং সম্মান করি। কিন্তু বিবর্তনবাদের ওপর বিশ্বাস রাখাটা "
সমস্ত মেডিক্যাল সায়েন্স এবং ডাক্তারদের কাছ থেকেও কোন সমাধান না পাওয়া, সুইসাইডাল ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষ, সমাধানের সবগুলো দরজা বন্ধ বিবেচনা করে ছোটবেলায় বাবা-মায়ের দেয়া শিক্ষা অনুযায়ী জায়নামাজে দাঁড়ায় এবং ঈশ্বরমুখীনতার ছলে আত্মমুখীন হয়ে সুদুরে একটা আলোর রশ্মি দেখতে পায়" - এই আত্মিক/আধ্যাত্মিক সিচুয়েশনটারে কীভাবে রিপ্লেস করবে?

অথবা, আজ সকালে সদকায়ে ফিতরা নিয়ে পড়তে গিয়ে যেভাবে জানলাম, সকল প্রাপ্তবয়স্ক - অপ্রাপ্তবয়স্ক, এমনকি গর্ভে যে সন্তান আছে, তার তরফ থেকেও দরিদ্র্য মানুষকে সাদকায় ফিতরা দেওয়া বাধ্যতামূলক।

এই যে একটা নির্দিষ্ট ধর্মবিশ্বাস, এরকম আরও একশো রকম উপায়ে সমাজে বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছে, এমন কল্যানকামী বাধ্যতামূলক ব্যবস্থাগুলোকে অনাধুনিক, পশ্চাৎপদ, মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলার কারনই বা কি, আর যদি বর্তমান বিশ্বের সাথে সাযুজ্য রেখে চলতে এই ধর্মবিশ্বাসের মানুষদের কোনজায়গায় শর্টকামিং থেকে থাকে, তবে সেটা ভরাট করে সিস্টেমটাকে আরও শক্তিশালী করার বদলে তাঁকে খারিজ করে দেয়ারই বা কারণ কী? এই খারিজ করে দেয়ার মানসিকতা কী সবগুলো পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে চিন্তা করার ফসল, নাকি ব্লকহেডেড ইসলামবিদ্বেষ?

হেফাজতে ইসলামের মত একটা দল, যাদের নিজেদের একটা ওয়েবসাইটও নাই, তাদেরও তো ১৩ দফা দাবী ছিল।

বাংলাদেশের নাস্তিক ব্লগার কমিউনিটি সর্বসম্মতিক্রমে তাদের একটা সম্মিলিত এজেন্ডা প্রচার করুক পারলে, যাতে তাঁরা স্পষ্ট করে দেখাবে - কোন বৈজ্ঞানিক বিশ্বাস বাঙ্গালী মুসলমানের ব্যাবহারিক জীবনের সাথে যায় না বলে বাঙ্গালী মুসলমানকে পশ্চাৎপদ বলা যায়।

১০। বাংলাদেশের "মুক্তমনা" গ্রুপটাকে আপাত নাইভ মনে হলেও , তাদের কি আদৌ কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা নাই, যেটা তাঁরা বুঝে বা না বুঝে ফরোয়ার্ড করছে?

বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান চিন্তা করেন। বাংলাদেশের আশেপাশে কোন রাষ্ট্রগুলির সাথে বর্ডার আছে চিন্তা করেন। সে সমস্ত দেশের সরকার ব্যবস্থা, এবং রাজনৈতিক অবস্থান চিন্তা করেন।

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, বাংলাদেশের সব মুসলমান নাস্তিক হয়ে গেলো।

এতে রাজনৈতিক সুবিধা কার? কে গিলবে বাংলাদেশ?

আপনার কী মনে হয় "ইসলামোফোব মুক্তমনা" রা এটা বোঝে না?

যে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ইসলামবিদ্বেষ ছড়ায়, বাঙ্গালী মুসলমান কী নিশ্চিতভাবে জানে যে সেই মুক্তমনাটি বাংলাদেশের কোন জেলার কোন পরিবার থেকে উঠে আসা মানুষ? এর বা এদের সাথে বাঙ্গালী মুসলমানের কখনো মুখোমুখি দেখা হয়? তাহলে বাঙ্গালী মুসলমানের পক্ষে কীভাবে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব যে এই ইসলামোফোব জঙ্গি নাস্তিকদের কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা নাই?

উপরুল্লেখিত অসততা, ধান্দাবাজি যার মধ্যেই দেখতে পান, প্রিন্টে বা ইলেকট্রনিক হরফে , তাদের এড়িয়ে যান। তাদের চিহ্নিত করে রাখুন, তাদের বন্ধুবান্ধবদের চিহ্নিত করে রাখুন। তাদের নীরব শুভানুধ্যায়ীদের চিহ্নিত করে রাখুন। তাদের চিহ্নিত করে রাখুন, যারা আপনার এই ভণ্ড মুক্তমনা গ্রুপটির প্রতি আপনার অসন্তোষ প্রকাশ্যে জাহির করবার কারণে আপনার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে একটা ভালো ইমেজ বজায় রেখে চলার চেষ্টা করছে। চিহ্নিত করার পর নৈতিক দায়িত্বের জায়গা থেকেই এই দলটির সদস্যদের সাথে সবরকম সম্পর্কচ্ছেদ করুন। ওরা বেঁচে আছে আপনার দেয়া অ্যাটেনশনের উপর ভিত্তি করে। আপনি যত অ্যাটেনশন দেবেন, ওদের এজেন্ডাগুলি ততবেশী ছড়াবে সমাজে। বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে। সহিংসতা বাড়বে। ওরা যতই ম্যাতাক - বাংলাদেশের সরকারের আইসিটি অ্যাক্ট যে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতা রক্ষার্থে বাংলাদেশের আইনজ্ঞদের দ্বারা সচেতনভাবেই তৈরি একটি অ্যাক্ট - এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করার অবকাশ নেই।

আমার কাছে যেটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, তা হল ব্লগে নিজ ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করার প্রচেষ্টা বর্জন করার চেষ্টা করা উচিৎ। কারণ, বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ, এখানে বারবার ইসলাম ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে লেখা বা পোস্ট শেয়ার করা বাংলাদেশের অন্যান্য ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি করার মতই। কারণ একজন হিন্দুর পক্ষে কেন হিন্দু ধর্ম শ্রেষ্ঠ, বা কেন হিন্দু হিসেবে আমি গর্ববোধ করি - এধরণের লেখা শেয়ার করা অতটা সহজ না, যতটা মুসলমানের পক্ষে সহজ।

এবং, কোরআন হাদিস দিয়ে অন্যধর্মের মানুষ বা নাস্তিক সম্প্রদায়কে ইসলাম বোঝানোর চেষ্টা করাটাও ফলপ্রসূ হবে না, কারণ আমাদের কাছে কোরআনের যে মূল্য, অন্যধর্মের মানুষ বা নাস্তিক সম্প্রদায়ের কাছে কোরআনের সে মূল্যায়ন নেই। বরং একটা নিক থেকে এসে ইসলাম আর কোরআনকে আরও দুটো গালি দেয়ার সুযোগ আপনি করে দিলেন। কাজেই ধর্মবিশ্বাসীদের জন্যেও ব্লগকে আসলে ধর্মপ্রচারের জায়গা হিসেবে বিবেচনা না করাই উচিৎ।

বরং বাঙ্গালী মুসলমান নিজের ধর্মীয় শিক্ষাকে নিজের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিরসনের, নিজেকে আরও ভালো একজন মানুষ হিসেবে তৈরি করবার একটি সূত্র হিসেবে বিবেচনা করুক। নিজের পাড়াপ্রতিবেশীর, আত্মীয়স্বজনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্যে ব্যাবহার করুক। নিজের পেশাগত দায়িত্ব একশো ভাগ মনোযোগ দিয়ে, ভালোবাসার সঙ্গে পালন করুক। দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসুক , তা সে যে ধর্ম বা মতপথেরই হোক না কেন। দিনের শেষে সিনা টান করে নিজের বাঙ্গালী মুসলমান পরিচয় বিনাদ্বিধায়, বিনা লজ্জায় সবার সঙ্গে শেয়ার করুক।


সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৬
২৭টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা-২০২৪

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭



ছবি সৌজন্য-https://www.tbsnews.net/bangla




ছবি- মঞ্চে তখন গান চলছে, মধু হই হই আরে বিষ খাওয়াইলা.......... চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী গান।

প্রতি বছরের মত এবার অনুষ্ঠিত হল জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা-২০২৪। গত ২৪/০৪/২৪... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

×