বাইরে বরফ পড়ছে! ফায়ার প্লেস এর গমগমে আগুনে এক টুকরো কাঠ ঠেলে দিয়ে, কফির কাপটা নিয়ে, নেটে বসি। ঘরের কোনায় এই আগুন হিমহিম ঠান্ডা ভাবটা দুর করে দিলেও -নেটে খবরের কাগজ পড়তে গা ছম ছমানি থামে না। শরীর মন চাংগা করতে কফির কাপে চুমুক দেই। লাভ হয় না। এমন কোন খবর পাই না যা মন ভালো করে দিতে পারে।
ইদানিং আবার যুক্ত হয়েছে গুপ্ত হত্মা । সাদা পোশাকে ধরে নিয়ে যাচেছ মানুষ, তারপর আর খোজ নেই। নদীতে ভেষে উঠছে লাশ। মাঠায় গুলি করে, শরীরে সিমেন্ট এর বস্তা বেধে নদিতে ডুবিয়ে দেয়া হচেছ লাশ। পচে গলে ভেষে উঠছে কয়েকদিন পর। বিকৃত। চেনার উপায় নাই। স্বজনরা দাবী করছে বাহিনীর লোক! আর বাহিনী বলছে "আমরা জানি না"। শেষ। চুকে গেলো জীবন। রাষ্ট্রের খরচের খাতায় আর একটা শব। কারো কোনো দায়িত্ব নেই। নেই বিকার। মন্ত্রী কিছুই জানেন না। জানছেন পত্রিকার পাতায়।
সুশিলরা টেবিলে আলোচনা করছেন আর লেখকরা লিখে পাতা ভরে ফেলছেন। গুপ্ত হত্মা থেমে নেই। চলছে চলবে। মানুষ কোথায় যাবে? কেউ জানেনা। আমি জানি। এভাবে একদিন দেয়ালে পীঠ ঠেকে গিয়েছিলো। রচিত হয়েছিলো সাহিত্য। জহির রায়হান লিখেছিলো "আরেক ফাগুনে দিগুন" হবার কথা। হয়ে ছিলাম ও। আবার আমরা কমে গিয়েছি। এই ভাবে -গুপ্ত হত্মায়। আমার বিশ্বাস -আবার আমরা দিগুন হবো। হয়তো সময় লাগবে, তবে হব। আবার কমেও যাব। আবার দিগুন হব। এভাবেই চলবে -যতদিন না বুঝতে শিখবো "অধিকার"।
ঘরের কোনে ফায়ার প্লেস এর আগুনটা তাই মনে করিয়ে দেয়। তাকিয়ে থাকি। দুটো চোখের তারায় দুটো প্রতিবিম্বো দেখতে পাই। হয়তবা স্বপ্ন। হিম হিম, ভয় কাতুরে ঠান্ডায় -এই স্বপ্ন টুকুই গরম করে রাখে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


