
আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং সেনাবাহিনীর নিস্ক্রিয় মনোভাব দেখে প্রতিদিন দুঃশ্চিন্তায় থাকতাম কখন কি দূর্ঘটনা ঘটে! ওসমান হাদি মারা গিয়েছে কেবল সরকারের গাফিলতির কারণে। কিছু নিদিষ্ট এলাকায় গুলি করে অসংখ্য মানুষ মারা হচ্ছে কিন্তু সরকার নির্বিকার! ওসমান হাদিকে গুলি করার পরও আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়েনি। সাংবাদিক জুলকার নায়ের সায়েরের কাছে সরকারের চেয়ে বেশি তথ্য ছিলো যা অবাক করার মতো। গোয়েন্দা সংস্থা কি দেশে আছে? মনে হচ্ছে না !
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে সরকার কি এটা জানে না? এতদিন ক্ষমতায় থেকে কি শিখলো তাহলে? যেসব স্পর্শকাতর জায়গায় হামলা হতে পারে সরকার সেখানে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। বাংলাদেশের দুইজন আহলে গজব ইউটিউবার উসকানি দিয়ে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার হামলা করিয়েছে। ওসমান হাদীকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার হত্যা করেছে? কেবল ভারতের দালাল তকমা দিয়ে গণমাধ্যমের উপর হামলা করলে সব সমস্যার সমাধান হবে? আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের সম্মান বাড়বে নাকি কমবে?
আজ ময়মনসিংহের ভালুকায় নবীজীকে কটুক্তির অভিযোগ তুলে একজন তরুণ ছেলেকে প্রথমে পিটিয়ে হত্যা করা হয় । গাছে ঝুলিয়ে প্রকাশ্যে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। সরকার এতদিনেও পারেনি এসব সমস্যার যৌক্তিক সমাধান করতে। সরকার কেবল ব্যস্ত সংস্কার-বিচার- নির্বাচন নিয়ে। এদিকে সোনার বাংলা শশ্মান হওয়ার পথে। যদি দেশ চালাইতে না পারে, মানুষকে নিরাপত্তা না দিতে পারে, ন্যায্য বিচার পাওয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন না করতে পারে তাহলে ক্ষমতা ধরে রাখার কি দরকার? আজকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে পদত্যাগের কথা বলা উচিত ছিলো।
খুলনায় আজকে প্রেসক্লাবের সাংবাদিককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। খুলনার মানুষ গত পনেরো মাসে একাধিক হত্যার পরও কারো গ্রেফতার কিংবা বিচার হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। সবাই এখন নিজের নিরাপত্তা নিয়েই শংকিত। অন্তত ছয়মাস পূর্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সহ পুরো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সেট-আপ চেঞ্জ করে ফেলা যেত। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। সেনাবাহিনী যে হাপিয়ে গেছে ডিউটি করতে করতে তার প্রমাণ আজকে তারা প্রথম আলো এবং ডেইলিস্টার অফিসের সামনে পাহারা দেয়নি। দেশের দূর্যোগকালীন মুহুর্তে আলু পোড়া খাওয়ার লোকের অভাব ছিলো না কোনোকালেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



