কল্পলোকের আল্পনায় যাপিত শিশির পড়ার ধ্বনি,
হৃদয় দোলার অনির্বাচিত ঢেউ,
আর সুপ্ত কলির গোপন আবেগ
উন্মোচনে,
তাগাদা দেয় কোন সেই সন্ধ্যা ?
কিংবা বিষন্ন দুপুর ?
নাগরিক ভীড়ে অসত্যকথন যখন হয় বুদ্ধিমত্তার নাম
বেদুচরেও তার প্রভাব পড়ে।
বৈঠকখানায় তখন শোভা পায় লাল গোলাপ
কিংবা রজনীগন্ধা।
বকুলের মালা গাথে না শ্যামা মেয়ে
কোন সেই অসভ্য সভ্যতার পরশ ?
তোমার নগররাষ্ট্রের আধুনিকতম ঢেউ
নিত্য নতুন ত্বক ফর্সাকারী বিজ্ঞাপন।
নিত্য আধুনিকতার ভীড়ে যেন হারিয়ে ফেলেছি সব,
জয় নাগরিক জীবন।
আবার আচমকা অপরাজিতার দোলা
মনে করে করিয়ে দেয়
আমার নীল রঙের হৃদয়হীন হৃদয়টাকে।
তখন সবাই প্রশ্ন করে কি হল ?
কি হল তোমার ?
তখন আমি বিচ্ছিন্ন তাদের আধুনিক সভ্যতার আলো থেকে
আমি খুজে বেড়াই শিশির পড়ার শব্দ, বুনোফুলের ঘ্রান
কিংবা বেদুইনের সরলতা
পদ্মার পাড়ে
কিংবা মরুর বুকে।
রাত শেষে প্রতিবাদ মিছিলে নেমে পড়ি
ব্যস্ততম সড়কে,
ভূয়া গনতন্ত্রের রাজপথ ছেড়ে,
নতুন মশাল হাতে
আর কত কেড়ে নিয়ে তবে থামবি শুকনি ?
বিজ্ঞাপনের মিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢেকে দিবি ?
এবার রক্তগঙ্গা বয়ে দেব,
তোর হিংস্র থাবা থেকে
মুক্ত করব ধরনীর
বিশুদ্ধ আলো।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০২