বলে দিচ্ছি, মিলিয়ে নিবেন। আজ থেকে দেশে আনফিশিয়ালি নীরব দুর্ভিক্ষ চালু হলো।
করোনা কালেও যেসব অল্প আয়ের মানুষেরা কোন মতে পরিবার নিয়ে ঢাকা শহরে টিকে ছিলেন। এবার মনে হয় আর সেটাও হবেনা।
সরকারী চাকুরে ছাড়া গত ৪ বছর ধরে আমাদের ক'জনার বেতন বেড়েছে? উলটো বেতন কমিয়ে ফেলা বা ছাটাই করা হয়েছে বহু মানুষকে। আর যারা ব্যাবসায়ী তারা পূঁজি ভেঙে খেয়ে এখন চাকুরী খুঁজছেন।
''টেকসই উন্নয়ন'' আর ''উন্নয়নের গল্প'' বোধ করি; ট্রাকের নিচে টিসিবি'র পণ্য কিনতে আসা মানুষের খবর পড়লেই অনুমেয় হয়। তারপরেও তথাকথিত তৈলবাজ পার্টির চাপাবাজি'র ট্যালেন্ট দেখে জাতী মুগ্ধ।
যাই হোক;
যত জায়গা সম্ভব কাট ছাট করা শেষ। সেভিংস এর কোন অপশন বাকী নেই। হাতে একটাই অপশন আছে, বাড়ি ওয়ালাকে বিনয়ের সাথে বলবো ভাড়া হাজার দুই'এক কমান! না হলে তুলেট টাঙ্গিয়ে দিন। অফিসেও বস কেও বলে দিবো হয় বেতন বাড়ান না হয় নিজেও দুই এক মাস এই বেতনে সংসার চলে কিনা প্রাক্টিক্যালি চেষ্টা করে দেখুন।
করোনায় প্রথমে বৌ এর গহনা বেঁচে দিয়েছি, তাতেও না কুলালে; ছেলে মেয়ের ভবিষ্যত (ব্যাংকের সিভিংস) সেটাও তুলে খাওয়া শেষ।
তারপরেও দিনে দিনে সব জিনিসের দাম বাড়ায় বেতনের বাইরেও প্রতি মাসে এর থেকে তার থেকে ২-৪ হাজার ম্যানেজ করে কোন মতে ঠ্যাক দিয়েছি। শুধু এই আশায় ছেলে মেয়েটার সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
মানুষের মনের খবর জানতে চাইলে বুঝবেন; কতটা চাপা কস্ট লুকানো প্রতিটা মানুষের মনে।
সরকার ও একটা জিনিষ খুব ভালো পারে, সেটা হচ্ছে রাতের বেলা হুটহাট পাকনামি করতে। আগেরবার ও তাই করেছে আজকেও তাই করেছে।
এক লাফে ৪০-৫০ পারসেন্ট হারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
কাল থেকে বাস ভাড়া থেকে এমন কোন জিনিষ নেই যার দাম বেড়ে যাবে।
কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, সমাজ যখন অন্যায়ে ছেয়ে যায় আর মানুষ সেটাকে দেখেও যখন না দেখার ভান করে তখন আল্লাহর আযাব আসবেই। এটা ঠেকাবার সাধ্য কারো নেই।
বোবা সয়তানদের বিচার আল্লাহ এভাবেই করবেন। এটাই নিয়তি।
মনে হয় সামনে আরও খারাপ সময় অপেক্ষা করছে। যে হারে দুর্দিন বাড়ছে আর বিপদ আসছে। আমি আব্দুল্লাহ ইথার কোন বানের জলে ভেসে যাবো নিজেও জানিনা।
আমার জন্য দোয়া করবেন।
আমিও আল্লাহর দরবারে সকলের জন্য ও সকলের পরিবারের জন্য দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
আল্লাহ গো, আমাদের সকলের রিজিক আপনি বাড়িয়ে দিন। অন্তত হালাল পথে থাকতে পারি সেই তাওফিক ও ধৈর্য দান করুন। দেয়ালে পিঠ থেকে গিয়েছে। অসহায় কে সাহায্য করুন।
আব্দুল্লাহ ইথার। ৫ ই আগস্ট ২০২২।
আমি ফেসবুকে ও ইউটিউবে।
যারা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন ।তারা ভিজিট করুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৭