চট্টগ্রাম কালুশাহ ব্রীজ কিংবা লিংক রোডের মাথায় এই যে নয়নতারা হোটেলটি দেখছেন এখানে ভাত খেতে হলে আপনাকে চেয়ার ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। আরেকজন ঠিক আপনার পেছনেই আপনার কাঁধ ধরে দাড়িয়ে আছে। তার কাঁধ ধরে আছে আরেকজন। তবে আজ আমাদের ভাগ্য ভালো যে ৩০ মিনিটের মাথায় বসার সিট পেয়ে গেলাম।
লটারির ভাগ্য জেতার মতো বেপার। কিন্তু ঝামেলা হলো ততক্ষণে মাছের ডিমসহ অনেক আইটেম শেষ। অনেকে দেখছি রান্নাঘরে প্লেট নিয়ে ওখান থেকে খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে খাচ্ছে।
একজন দেখলাম প্রায় মাটিতে বসে টুলে প্লেট রেখে খাচ্ছে। একটা বেড়া কিংবা টিনের হোটেলের সামনে অনেকগুলো প্রাইভেট গাড়ি দাঁড়ানো। সবাই লাইন ধরে খেতে এসেছে। একজন দেখলাম ১০০ কিলোমিটার ড্রাইভ করে এসেছে।
কি আছে এই হোটেল? আপনারা কোটি টাকার ডেকোরেশন করে হোটেল দিয়ে বসে বসে মাছি মারেন। আর এখানে বসার জায়গা পাওয়া হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো ঘটনা। জাস্ট একটু ফ্রেশনেস। অন্যরকম স্বাদ আর নিজেদের সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা। লাকড়ির চুলার রান্না। আহা! সেই হারিয়ে যাওয়া স্বাদ।
গলাকাটা দাম না বরং গরু আর কোরাল মাছ দিয়ে দুইজন পেট ভরে খেয়ে ৩৭০ টাকা বিল আসলো। সাথে তৃপ্তির ঢেকুর। মানুষকে সেবা দিলে মানুষও এভাবে ভালবাসা দিতে ছুটে আসে কিংবা আসবে। চেয়ার টেবিল লাগে না। গাছতলা ই যথেষ্ট।