বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা করে আইসিস-এর কি লাভ? বাংলাদেশ কখনো তাদেরকে টার্গেট করেনি, বাংলাদেশ মুস্লিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি দেশ, সাজানো হলেও আইসিস তাদের মুস্লিম প্রীতি শো করে, তাহলে কেন তাদের টার্গেট হলো বাংলাদেশ? লক্ষণীয় যে বাংলাদেশে তারা বিদেশী নাগরিকদের হত্যা করছে। বিদেশী নাগরিক সব দেশেই আছে তাহলে হত্যা বাংলাদেশেই কেন?
এপর্যন্ত যেসব বিদেশী হত্যা হয়েছে তারা সাথে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সাথে কোন না কোনভাবে জড়িত। হয় কোন বড় বায়ারের দেশের আথবা বড় কোন বিনিয়োগকারী দেশের। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, এদেশের ব্যাবসা-বানিজ্জ ক্ষতিগ্রস্ত করে আইসিস-এর কি অর্জিত হবে ????? সুতরাং আইসিস কারো জন্য ভাড়া খাটছে আথবা যারা ভাড়ায় নিতে পারে তারা আমাদের আইসিস জুজু দেখাচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার ও পুলিশের পক্ষে হত্যাকাণ্ড রোধ করা সম্ভব নয় : বার্নিকাট। তিনি এতো কনফিডেন্ট কেন? হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র আগ বাড়িয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে চাচ্ছে। সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র অংশগ্রহন করলে কি হয় আমরা ঈরাক-লিবিয়াতে দেখছি।
যুক্তরাষ্ট্র চাইছে জিওপলিটিক্যাল সুবিধা নিতে ।
বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক বা ব্যবসা-বানিজ্জের ক্ষয়-ক্ষতির সরাসরি বেনিফিসিয়ারী ভারত। পোশাক শিল্পে এদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। তাদের সরকার আগামী তিন/চার বছরে ১নম্বর পোশাক রপ্তানীকারক হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের সরকার পোশাক রপ্তানীতে ২৫% ইনসেন্টিভ ঘোষণা করেছে। অস্বাভাবিক ইনসেন্টিভ দিয়ে দর পতনের মাধমে বাজারটা ধরার ব্যবস্থা করছে। জঙ্গি ভাড়া করে তাবেদার সরকারের সহযোগিতায় টার্গেট কিলিং করছে বায়ার সংশ্লিস্টদেরকে।
কাগজে টিভীতে বিজ্ঞাপন দিয়ে সস্তায় ভিসা বিতরন করে ইন্ডিয়া গিয়া শপিং করার টোপ দেওয়ার পর যমুনা ফিউচার পার্ক নিয়া টুইট-টুইট। বঙ্গ বাজার/নিউমারকেট না কেন ? অইখানকার কাস্টমারদের ইন্ডিয়া যাওয়ার পয়সা নাই তাই ?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩