স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাস বিশ্লেষন করলেও একই চিত্র বেরিয়ে আসবে। শিশু তথা ছাত্রদের ধর্ষণে অনেক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম চলে আসে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দ্বারাই এসব নিপীড়নের খবর পাওয়া যায়।
কোমলমতী এসব শিশুরা বেশীরভাগই এতিম, অসহায় পরিবারের। তাই সবকিছু নীরবে সহ্য করা ছাড়া ওদের কিছুই করার থাকেনা।
দেশের বেশিরভাগ ছাত্র হোস্টেলগুলোতে এসব ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। হোস্টেল সুপার কর্তৃক যৌন নিগৃহের ঘটনা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধামাচাপা দেয়া হয়। ব্যতিক্রম কেবল দুএকটি ঘটনা।
কয়েকবছর আগে এরকম এক পাষন্ড শিক্ষকের পাশবিক নির্যাতনে একছাত্রের পায়ুপথে রক্তক্ষরণ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে ভিকটিমের কাছ থেকে জানা যায় শিক্ষকরূপী ঐ পশুটা প্রায়শই তাকে রুমে ডেকে নিয়ে খুব আদর করতো, ভালোমন্দ খাওয়াতো এবং হাত পা টেপাতো। যা ধীরে ধীরে রূপ নেয় শারিরিক সম্পর্কে।
মানুষ গড়ার এই বর্বরগুলো বোধহয় পশুর জ্বিন দ্বারা তৈরি। তাইতো পুথিগত জ্ঞানের আলো না ছড়িয়ে গোপন যৌনশিক্ষায় পারদর্শী করে তোলে তাদের ছাত্রদের।
অধিকাংশক্ষেত্রেই এসব শিশু ধর্ষণ কিংবা গে সেক্স করায় মাদ্রাসার জয়জয়কার এবং তাদের অবস্থান সাফল্যের চূড়ায়!
তাই মাদ্রাসার এহেন সাফল্যে তাদেরকে জানাচ্ছি অভিনন্দন ও লাল গোলাপ শুভেচ্ছা! দুর্ভাগ্য এবং বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি অর্থাভাবে কোনো চ্যাম্পিয়ান ট্রফি দিতে পারছিনা বলে।
* ঢাকায় ছাত্র ধর্ষণের অভিযোগ, মাদ্রাসা শিক্ষক আটক।- বিবিসি-১০.০৮.২০১৫
* বাংলাদেশে ছেলে শিশু ধর্ষণের ক্ষেত্র বেড়েছে।- বিবিসি-১১.০৮.২০১৫
কাল্পনিক ছবিঃ- বিবিসির সৌজন্যে।
বিঃদ্রঃ- লেখাটি কোনোভাবেই ধর্মীয় উস্কানীমূলক নয়্।তবুও যদি কারো ধর্মানুভুতি এবং যৌনানুভুতিতে আঘাত লাগে তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার নাস্তিক(!) সংবাদ মাধ্যম “বিবিসি”র।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:১৭