সম্ভবত ২০০০ কিংবা ২০০১ সাল। ঘনিষ্ট এক বন্ধু আমাকে একটা ম্যাগাজিন দেয় পড়ার জন্য। ওটা বাসায় এনে বেশ কিছুদিন ফেলে রাখি। তখন বই পড়তাম প্রচ্ছদ দেখে। ভাবতাম চকচকে প্রচ্ছদওয়ালা বইগুলোই বোধহয় উত্তম। সেদিক থেকে এ ম্যাগাজিনটা ছিল একেবারেই সাদামাটা। একদিন ওটা হাতে নিয়ে বেশ কিছুক্ষন পড়ি। আস্তে আস্তে আকর্ষন বোধ এবং একসময় দারুন প্রেমে পড়ে গেলাম।
বলছিলাম তখনকার আলোচিত, সমালোচিত, পাঠকপ্রিয়(!) সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন “যায় যায় দিন” এর কথা।
মাঝে মাঝে ওর ভিতরকার ভাষাগুলো বেশ উষ্ণ করে দিতো। বলা যায় রসময় গুপ্তের “বাংলা চটি” আর তখনকার “যায় যায় দিন” এর মধ্যে বেশ মিল ছিল।
তাই দাদুকে দেখলেই কেনো যেনো রসময় গুপ্তের কাল্পনিক চেহারাটা চোখের সামনে ভেসে উঠতো।
কালের বিবর্তনে “যায় যায় দিন” সাপ্তাহিক থেকে দৈনিকে চলে আসে। কিন্তু জাতে উঠতে পারেনি। দেউলিয়া হলো পত্রিকাটি। সাংবাদিক- কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন দাদু। এরই মধ্যে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পলায়ন করতে গেলে বিমানবন্দরে ওত পেতে থাকা সাংবাদিকরা দাদুর টিকলি ধরে নিয়ে আসে। তারপর দাদু নিয়মিত “মৌচাকে ঢিল” মারতে থাকেন আর বিটিভির “লাল গোলাপ”টি তুলে দেন “বাংলা ভিশন”কে।
হ্যা, এতোক্ষন বলছিলাম প্রবীণ সাংবাদিক থুক্কু প্রবীণ লেখক(উনি সাংবাদিক নয় বরং লেখক পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করেন), গোলাপের মতো টুকটুকে লাল আমার প্রিয় শফিক রেহমান এর কথা।
শফিক রেহমান এর চিন্তা-চেতনা, ধ্যান- ধারনা আমাদের থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম। সদা হাস্যোজ্জ্বল, চিরতরুন, বাকরসিক, তৈলমর্দক এই মানুষটি কাউকে অপহরনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
এ বড়ই হাস্যকর!
এটা ভিন্ন মত দমনে সরকারের নগ্ন হামলা।
সুতরাং আমরা “রসময় দাদুর ফ্যান ক্লাব” এর পক্ষ থেকে দাদুর মুক্তি কামনা করছি