অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম আমার ভ্রমন কাহিনীটা লেখব।পড়ালেখা, H.s.C সব মিলিয়ে লেখা হয়ে উঠছিল না।আজ লিখেই ফেললাম।
আগেই বলি আমি ভ্রমন বলতে পাগল।কলেজে উঠে ইচ্ছেটা আরও বড় হতে থাকে।কলেজে উঠে হোস্টেলে থেকে পড়ালেখার জন্য স্বাধীনতা পেয়েছি ভালই। যাই হক দিনটা ছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি।চাকুরীর সার্কুলার যেমন পেপার এ দেয় আর সেই পেপার নিয়ে সবাই কাড়াকাড়ি করে, আমাদের পিকনিক এনাউন্স হল ঠিক সেই ভাবে।কলেজের নোটিশ বোর্ডএ নোটিশ দিতেই সেই জায়গায় ভালই মানব-জ্যাম লেগে গেলো।পাক্কা ১ ঘণ্টা পর মানব জ্যাম সাভাবিক হল।তার পর আমি গেলাম নোটিশ দেখতে।সুন্দর ভাষায় কিন্তু ফালতু কালিতে প্রিন্ট করা নোটিশ এ লেখা ৩০ এ ফেব্রুয়ারি আমাদের পিকনিক।ফি ৬৫০/-।স্থান হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।কেন জানি ট্রাভেল পাগল হবার পরও আগ্রহ বোধ করলাম না।ভাবলাম ফাউ ফাউ ৬৫০/- টাকা গচ্ছা দিব কেন.?কিন্তু বাধ সাধলো বন্ধুরা। তাদের কথা আমাকে জেতেই হবে।তাদের এই কথার কারন আমার জানা ছিল।আমি একটু ভালো ছবি তুলে দিতে পারি তাই আরকি।এখন ওখানে তাদের পিক তুলে দিতে আরকি।আমি আরেক দফা বিরক্ত।আমার কি কাজ কাম নাই.?সাত-আট জনের জালায় ২ দিনে আমার সিদ্ধান্ত বদলালাম।মনে মনে ভাবলাম দিলাম মনে ৬৫০/- টাকা গচ্ছা।৩০ তারিখ ৭ টায় কলেজের সামনে গিয়ে বিরক্ত হলাম।কি বাস দিসে..!! ছি..!এতো ফালতু..!শুধু একটাই ভালো বাস আসে।ওটা তে নাকি কিছু পরিমান ছাত্র ও ছাত্রীর জায়গা হয়েছে।তারা ভাগ্যবান।আমি আর আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু আমাদের গাড়ি খুজছিলাম।আল্লাহ জানে কোন পচা বাসে সিট পরেছে।পুরো কলেজ কম্পাউন্ড এ কোনো বাসে আমার নাম খুঁজে পেলাম না।স্যারের কাছে গেলাম।লিস্ট দেখে স্যার বলে তোমার সিট সামনের ২ নম্বর বাসে।আমি আকাশ থেকে পড়লাম। একমাত্র হাইফাই বাসে আমার সিট পরেছে।...!!!
৬৫০/- টাকা খরচ সার্থক মনে হল।
পরিশিষ্ট : হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ছাড়াও বাঘা মসজিদ এ ফ্রি টিপ পাই।সব মিলিয়ে ৬০০-৭০০ মত ছবি তুলে দিয়েছিলাম। সবাইকে।নিজের ৬-৭ টাও তোলা হয়নি.!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮