somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাবুনি

২৩ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে সামির।মনে অনেক প্রশ্ন।কিন্তু কি আকাশ কি কথা বলতে পারে?তার কাছে কি সামিরের খুব সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে?

পাশের চায়ের দোকানে আরফান নিসোর একটা নাটকের গান বাজছে।- বুকে চিন চিন করে হায় মন তোমায় কাছে পেতে চায়। সামির মনে মনে হাসে কি গানরে বাবা.!সে এমন গান শুনে না।এগুলো শুনলে তার বেশ হাসি পায়।কিন্তু গানের কথা গুলো মতো তার বুকেও চিন চিন না করলেও একটু ব্যাথা হচ্ছে।মনে হয় ইদানীং তার হৃদপিণ্ড রক্ত পাম্পিং করা কমিয়ে দিয়েছে।হয়তো কোনো দিন ধুক করে অফ হয়েই যাবে।

বাবুনি চা খাচ্ছে খুব আয়েস করে।ফোনটা পাশেই পরে ছিলো।টুং করে শব্দ হয়ে ফোনের ডিসপ্লে জ্বলে উঠলো।একটা মেসেজ এসেছে।সামির পাঠিয়েছে।লেখা `বাবুনি কেমন আছো?কি করো?'.. এই মেসেজের উত্তর বাবুনির দিতে ইচ্ছে করছে না।ইদানীং সামিরের মেসেজ দেখলে সে খুব বিরক্ত হয়।কিন্তু কদিন আগেও কি সুন্দর দুই জন কত গল্প করেছে।এখন তাকে আর ভালো লাগে না।চোখের বিষ।তবে মাঝে মাঝে সামিরের মেসেজ এর উত্তর দেয়া লাগে।মানুষ তো ভিখারিকেও ভিক্ষা দেয় মাঝে মাঝে তেমন ভাবেই।মাঝে মাঝে আবার উলটা পালটা থিওরি দিয়ে বিদায় নেয়।তার পর ফাহিমের খোঁজ নেয়।দেখে ছেলেটা বেচে আছে কিনা।সে আবার বাবুনিকে বলেছে তাকে না পেলে পাগল হয়ে যাবে।৫-৬ বছর থেকে তাকেই নাকি ভালোবাসে।বাবুনির মনে হয় এটাই মনে হয় আসল ভালোবাসা।এই কথাটা সে সামির কেউ বলেছিলো।যে ফাহিম তাকে না পেলে মরে যাবে।তবে সবটা পরিবারের উপর।পরিবার ফাহিম কে দিলে বিয়ে করে নেবে।সামির খুব শান্ত সভাবের ছেলে কিন্তু এই কথা শুনার পর খামখেয়ালি মেজাজের হয়ে গেছে।এটা কোনো কথা হলো.! এই ভাবে তো তাহলে যে কাওকে বললেই হয়।তোমাকে না পেলে মরে যাবো।এটা কোনো মানুষের কাজ.।আর সে মানুষটাই বা কত অমানুষ যার নিজের উপর বিশ্বাস নাই তাই এই কথা গুলো একটা মেয়েকে বলে তাকে পাবার ফন্দি করে।আর বুঝায় এটাই আসল ভালোবাসা।এই ছাতার মাথাকে একবার সামনে পেলে একটা হাড্ডিও আস্ত রাখা উচিৎ হবে না।সামিরের কথা যে কাউকে ভালো লাগতেই পারে তাই বলে মরে যাবো,পাগল হয়ে যাবো বলে অন্যকে নরম করার চেষ্টা খুবই নিম্নমানের কাজ।অতএব এই ফাহিম বেটাকে ধরা জরুরি।

বাবুনির বাবা মা বাড়ি নতুন বানানোর কাজে সিলেট শহরে গেছে।বাসাতে সে আর তার ছোট দুইবোন একাই থাকে।রান্না-বান্না পালা করে একজন একজন করে।সামিরের মনে মনে খুব ভয় করে।একা একা থাকে এই যুগে বিষয়টা সুবিধার না।যেকেউ খারাপ কিছুর চেষ্টা করতে পারে।বাবুনি এতো বুঝে না এগুলো নিয়ে।মেয়ের বয়স ২০ পার হয়েছে কিন্তু একেবারে বাচ্চা।দুনিয়ায় এই সামির কে ছাড়া সবাই তার চোখে ভালো।যেমন সে আবার ফাহিমের বেপারে কিছু শুনতেই চায় না।ফাহিম কে দেবতা বানিয়ে রেখেছে।সে খুব ভালো।সে এমন না।সে তেমন না।অন্য কাউকে দেখেও না।সব সময় সামির তার কথা বললেই চুপ করিয়ে দেয় তাকে নাকি ভুল বুঝছে বলে নাহলে তাকে পাচ_সাত বলে বিদায় জানিয়ে দেয়।আবার লেখেও দেয় আর কোনো দিন তাকে মেসেজ না দেয়।এগুলো দেখে সামির খুব একটা কিছু বলতে পারে না।হাজার হলেও সে তার প্রেমিকা না।কেন শুনবে তার কথা।চুপ চাপ মাঝে মাঝে এগুলো শুনে হাসে।আর মাঝে মাঝে বুকে হাত দিয়ে মেঝেতেই বসে পরে।বুকে একটু ব্যাথা করে বাবুনির কাছে এগুলো শুনলে।কিন্তু বলতে পারে না তাকে।কারন বাবুনির কাছে হয়তো পাগল হয়ে যাবো/মরে যাবো এগুলো কথার দাম বেশি।সামির কোনো দিন এগুলো বলতে পারবে না।কারন যাকে ভালোবাসে তাকে কিভাবে কেউ হাবি_জাবি কথা বলে তার মন পাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে?কিন্তু তাই বলে কি তার ভালোবাসা মিথ্যা?

সামির ফোনের দিকে তাকিয়ে হাসছে।মনে মনে হাসছে।সে বুঝেতেই পারছে না বাবুনির কি হইছে।কদিন আগেও কি সুন্দর গল্প করতো তারা।নিজে দের ভালো মন্দ জানাতো।কিছু হটাৎ করে বাবুনি এমন ভাব শুরু করলো যেন তাকে চিনেই না।তার মেসেজ দেখলেই খুব খেপে যাচ্ছে।কেন এমন করছে.! সামির তার সব কথা রেখেছে।বাবুনি সামির কে আগেই বলেছিলো তাকে বিয়ার করা বলা যাবে না।তাই সে বলেনি।কিন্তু কেন বাবুনি তাকে পছন্দ করে না?সে কিসে কম?ফাহিম তো তাকে বিয়া শাদির কথা বলেও ফেলেছে।তাও ফাহিমের সাথে কথা বলতে পারে সারাদিন প্রতিদিন তো সামিরের কি দোষ? সামির কে আগেই মানা করেছিলো বিয়ের কথা না বলতে।সামির মরার কথা বলে নাই তাই বুঝি।সামিরের মন বেশ শক্ত।এমন ছোট খাট বিষয় নিয়ে সে চিন্তা করতে চায় না।কিন্তু ইদানীং তারও বিরক্ত লাগে সে তো ভিখারি নয়।ভিক্ষা চায়নি ফাহিমের মতো।ভালোবেসেছে।সেটা প্রমান করতে আবার ফাহিমের মতো ইমোশনাল কথা বলা লাগবে? বিষয়টা খুব ইজ্জতে লাগে তাই সেগুলো বলতে পারে না।সে ভালোবাসার কোন দাম নেই তার চোখে।কিন্তু বাবুনি চোখ খুলে এই বিষয়টা দেখতে রাজি না।একটাই কথা কপালে থাকলে ফাহিমের সাথে বিয়া হবে।

সামির আজ আবার আকাশের দিকে তাকিয়ে খুব হাসছে।আজ জোরে জোরে হাসছে।তার মনেই পরে না কবে শেষ এভাবে হাসেছে।বাবুনি নিজে থেকে মেসেজ দিয়েছে জিজ্ঞেস করেছে সামিরের শরীর কেমন আছে।গত ২-৩ দিন সামির অসুস্থ বোধ করছিলো।সেটা বাবুনিকে বলেছিলো।তাই বাবুনি এখন খোঁজ নিচ্ছে।আসলে বাবুনি ভিক্ষা দিতে এসেছে।কারন সামির জানে একটু পরেই বলবে ভালো থাকেন।আর কোনো দিন নক দিবেন না।তাই এই ভিক্ষা দিয়ে কি লাভ?ভাবলো বলবে এই ভিক্ষা চাইনা ভাই।কিন্তু বলতে পারে না।আজ কত দিন পর বাবুনি তার সাথে ভালো মতো কথা বলেছে।এটাতেই সে খুশি।তাই ভালো আছে বলে রিপ্লে দিয়ে ফোনটা পকেটে রেখে চোখটা আকাশের দিকে দিলো।সাথে কত প্রশ্ন কত অভিমান কত অভিযোগ।

আচ্ছা বাবুনি একটু খেয়াল করলো না পিছনে ফেলে আসা ২ টা বছর সামির কত কষ্ট করেছে।এতো ভালো করে প্ল্যান করেছিলো।সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।সে শুরু থেকেই চেয়েছিলো ৪ বছর পর সে এস্টাবলিশ হয়ে গেলে তার পর ভালোবাসার কথা জানাবে।কিন্তু মাঝ পথে ফাহিমের কথা শুনার পর বলেই দিলো মনের কথা।কিন্তু সবার কপালে আল্লাহ ভালোবাসা রাখে না।কথাটা বলার পর হিতে বিপরীত হলো সব।আজ তাইতো করুণা আর ভিক্ষার পাত্রে পরিনত হয়েছে।এখন আর কষ্ট পায় না সে।এটাই বুঝি কপালে ছিলো।

``আসলে কেউ রাগ করতে সেই রাগ ভাংগানো যায়
কিন্তু বিরক্তি সেতো অবুঝ পাখি পোষ মানতেই চায় না।"

পরিশেষঃ-
লেখা গুলো ডায়েরিতে লেখেছিলো অনেক বছর আগে।প্রতিদিন একবার করে বের করে দেখে আবার যত্ন করে তুলে রাখে।তার এই ডায়েরি কেউ ধরে না।এমন কি টিয়াও ধরে না।১২ বছর পার হয়ে গেছে।অনেক কিছু বদলে গেছে।কিন্তু বাবুনির জন্য ভালোবাসা আজও কমেনি এক ফোটা।তবে এটাও ঠিক যে টিয়ার আদর যত্নে কোন কমতি রাখেনি।বাবুনিও হয়ও স্বামী সংসার নিয়ে খুব ভালো আছে।প্রতিদিন তো তার নামাজের ওই একটাই দোয়া সে যেখানে থাক ভালো থাক।মাঝে মাঝে এখনো সামির হাসে মনে মনে আর আকাশকে জিজ্ঞেস করে `আচ্ছা ওপারের মানুষটা কি তার কথা মনে রেখেছে?' আকাশ উত্তর দিতে পারে না।হয়তো আকাশ কথাই বলতে জানে না............আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে সামির।মনে অনেক প্রশ্ন।কিন্তু কি আকাশ কি কথা বলতে পারে?তার কাছে কি সামিরের খুব সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে?

পাশের চায়ের দোকানে আরফান নিসোর একটা নাটকের গান বাজছে।- বুকে চিন চিন করে হায় মন তোমায় কাছে পেতে চায়। সামির মনে মনে হাসে কি গানরে বাবা.!সে এমন গান শুনে না।এগুলো শুনলে তার বেশ হাসি পায়।কিন্তু গানের কথা গুলো মতো তার বুকেও চিন চিন না করলেও একটু ব্যাথা হচ্ছে।মনে হয় ইদানীং তার হৃদপিণ্ড রক্ত পাম্পিং করা কমিয়ে দিয়েছে।হয়তো কোনো দিন ধুক করে অফ হয়েই যাবে।

বাবুনি চা খাচ্ছে খুব আয়েস করে।ফোনটা পাশেই পরে ছিলো।টুং করে শব্দ হয়ে ফোনের ডিসপ্লে জ্বলে উঠলো।একটা মেসেজ এসেছে।সামির পাঠিয়েছে।লেখা `বাবুনি কেমন আছো?কি করো?'.. এই মেসেজের উত্তর বাবুনির দিতে ইচ্ছে করছে না।ইদানীং সামিরের মেসেজ দেখলে সে খুব বিরক্ত হয়।কিন্তু কদিন আগেও কি সুন্দর দুই জন কত গল্প করেছে।এখন তাকে আর ভালো লাগে না।চোখের বিষ।তবে মাঝে মাঝে সামিরের মেসেজ এর উত্তর দেয়া লাগে।মানুষ তো ভিখারিকেও ভিক্ষা দেয় মাঝে মাঝে তেমন ভাবেই।মাঝে মাঝে আবার উলটা পালটা থিওরি দিয়ে বিদায় নেয়।তার পর ফাহিমের খোঁজ নেয়।দেখে ছেলেটা বেচে আছে কিনা।সে আবার বাবুনিকে বলেছে তাকে না পেলে পাগল হয়ে যাবে।৫-৬ বছর থেকে তাকেই নাকি ভালোবাসে।বাবুনির মনে হয় এটাই মনে হয় আসল ভালোবাসা।এই কথাটা সে সামির কেউ বলেছিলো।যে ফাহিম তাকে না পেলে মরে যাবে।তবে সবটা পরিবারের উপর।পরিবার ফাহিম কে দিলে বিয়ে করে নেবে।সামির খুব শান্ত সভাবের ছেলে কিন্তু এই কথা শুনার পর খামখেয়ালি মেজাজের হয়ে গেছে।এটা কোনো কথা হলো.! এই ভাবে তো তাহলে যে কাওকে বললেই হয়।তোমাকে না পেলে মরে যাবো।এটা কোনো মানুষের কাজ.।আর সে মানুষটাই বা কত অমানুষ যার নিজের উপর বিশ্বাস নাই তাই এই কথা গুলো একটা মেয়েকে বলে তাকে পাবার ফন্দি করে।আর বুঝায় এটাই আসল ভালোবাসা।এই ছাতার মাথাকে একবার সামনে পেলে একটা হাড্ডিও আস্ত রাখা উচিৎ হবে না।সামিরের কথা যে কাউকে ভালো লাগতেই পারে তাই বলে মরে যাবো,পাগল হয়ে যাবো বলে অন্যকে নরম করার চেষ্টা খুবই নিম্নমানের কাজ।অতএব এই ফাহিম বেটাকে ধরা জরুরি।

বাবুনির বাবা মা বাড়ি নতুন বানানোর কাজে সিলেট শহরে গেছে।বাসাতে সে আর তার ছোট দুইবোন একাই থাকে।রান্না-বান্না পালা করে একজন একজন করে।সামিরের মনে মনে খুব ভয় করে।একা একা থাকে এই যুগে বিষয়টা সুবিধার না।যেকেউ খারাপ কিছুর চেষ্টা করতে পারে।বাবুনি এতো বুঝে না এগুলো নিয়ে।মেয়ের বয়স ২০ পার হয়েছে কিন্তু একেবারে বাচ্চা।দুনিয়ায় এই সামির কে ছাড়া সবাই তার চোখে ভালো।যেমন সে আবার ফাহিমের বেপারে কিছু শুনতেই চায় না।ফাহিম কে দেবতা বানিয়ে রেখেছে।সে খুব ভালো।সে এমন না।সে তেমন না।অন্য কাউকে দেখেও না।সব সময় সামির তার কথা বললেই চুপ করিয়ে দেয় তাকে নাকি ভুল বুঝছে বলে নাহলে তাকে পাচ_সাত বলে বিদায় জানিয়ে দেয়।আবার লেখেও দেয় আর কোনো দিন তাকে মেসেজ না দেয়।এগুলো দেখে সামির খুব একটা কিছু বলতে পারে না।হাজার হলেও সে তার প্রেমিকা না।কেন শুনবে তার কথা।চুপ চাপ মাঝে মাঝে এগুলো শুনে হাসে।আর মাঝে মাঝে বুকে হাত দিয়ে মেঝেতেই বসে পরে।বুকে একটু ব্যাথা করে বাবুনির কাছে এগুলো শুনলে।কিন্তু বলতে পারে না তাকে।কারন বাবুনির কাছে হয়তো পাগল হয়ে যাবো/মরে যাবো এগুলো কথার দাম বেশি।সামির কোনো দিন এগুলো বলতে পারবে না।কারন যাকে ভালোবাসে তাকে কিভাবে কেউ হাবি_জাবি কথা বলে তার মন পাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে?কিন্তু তাই বলে কি তার ভালোবাসা মিথ্যা?

সামির ফোনের দিকে তাকিয়ে হাসছে।মনে মনে হাসছে।সে বুঝেতেই পারছে না বাবুনির কি হইছে।কদিন আগেও কি সুন্দর গল্প করতো তারা।নিজে দের ভালো মন্দ জানাতো।কিছু হটাৎ করে বাবুনি এমন ভাব শুরু করলো যেন তাকে চিনেই না।তার মেসেজ দেখলেই খুব খেপে যাচ্ছে।কেন এমন করছে.! সামির তার সব কথা রেখেছে।বাবুনি সামির কে আগেই বলেছিলো তাকে বিয়ার করা বলা যাবে না।তাই সে বলেনি।কিন্তু কেন বাবুনি তাকে পছন্দ করে না?সে কিসে কম?ফাহিম তো তাকে বিয়া শাদির কথা বলেও ফেলেছে।তাও ফাহিমের সাথে কথা বলতে পারে সারাদিন প্রতিদিন তো সামিরের কি দোষ? সামির কে আগেই মানা করেছিলো বিয়ের কথা না বলতে।সামির মরার কথা বলে নাই তাই বুঝি।সামিরের মন বেশ শক্ত।এমন ছোট খাট বিষয় নিয়ে সে চিন্তা করতে চায় না।কিন্তু ইদানীং তারও বিরক্ত লাগে সে তো ভিখারি নয়।ভিক্ষা চায়নি ফাহিমের মতো।ভালোবেসেছে।সেটা প্রমান করতে আবার ফাহিমের মতো ইমোশনাল কথা বলা লাগবে? বিষয়টা খুব ইজ্জতে লাগে তাই সেগুলো বলতে পারে না।সে ভালোবাসার কোন দাম নেই তার চোখে।কিন্তু বাবুনি চোখ খুলে এই বিষয়টা দেখতে রাজি না।একটাই কথা কপালে থাকলে ফাহিমের সাথে বিয়া হবে।

সামির আজ আবার আকাশের দিকে তাকিয়ে খুব হাসছে।আজ জোরে জোরে হাসছে।তার মনেই পরে না কবে শেষ এভাবে হাসেছে।বাবুনি নিজে থেকে মেসেজ দিয়েছে জিজ্ঞেস করেছে সামিরের শরীর কেমন আছে।গত ২-৩ দিন সামির অসুস্থ বোধ করছিলো।সেটা বাবুনিকে বলেছিলো।তাই বাবুনি এখন খোঁজ নিচ্ছে।আসলে বাবুনি ভিক্ষা দিতে এসেছে।কারন সামির জানে একটু পরেই বলবে ভালো থাকেন।আর কোনো দিন নক দিবেন না।তাই এই ভিক্ষা দিয়ে কি লাভ?ভাবলো বলবে এই ভিক্ষা চাইনা ভাই।কিন্তু বলতে পারে না।আজ কত দিন পর বাবুনি তার সাথে ভালো মতো কথা বলেছে।এটাতেই সে খুশি।তাই ভালো আছে বলে রিপ্লে দিয়ে ফোনটা পকেটে রেখে চোখটা আকাশের দিকে দিলো।সাথে কত প্রশ্ন কত অভিমান কত অভিযোগ।

আচ্ছা বাবুনি একটু খেয়াল করলো না পিছনে ফেলে আসা ২ টা বছর সামির কত কষ্ট করেছে।এতো ভালো করে প্ল্যান করেছিলো।সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।সে শুরু থেকেই চেয়েছিলো ৪ বছর পর সে এস্টাবলিশ হয়ে গেলে তার পর ভালোবাসার কথা জানাবে।কিন্তু মাঝ পথে ফাহিমের কথা শুনার পর বলেই দিলো মনের কথা।কিন্তু সবার কপালে আল্লাহ ভালোবাসা রাখে না।কথাটা বলার পর হিতে বিপরীত হলো সব।আজ তাইতো করুণা আর ভিক্ষার পাত্রে পরিনত হয়েছে।এখন আর কষ্ট পায় না সে।এটাই বুঝি কপালে ছিলো।

``আসলে কেউ রাগ করতে সেই রাগ ভাংগানো যায়
কিন্তু বিরক্তি সেতো অবুঝ পাখি পোষ মানতেই চায় না।"

পরিশেষঃ-
লেখা গুলো ডায়েরিতে লেখেছিলো অনেক বছর আগে।প্রতিদিন একবার করে বের করে দেখে আবার যত্ন করে তুলে রাখে।তার এই ডায়েরি কেউ ধরে না।এমন কি টিয়াও ধরে না।১২ বছর পার হয়ে গেছে।অনেক কিছু বদলে গেছে।কিন্তু বাবুনির জন্য ভালোবাসা আজও কমেনি এক ফোটা।তবে এটাও ঠিক যে টিয়ার আদর যত্নে কোন কমতি রাখেনি।বাবুনিও হয়ও স্বামী সংসার নিয়ে খুব ভালো আছে।প্রতিদিন তো তার নামাজের ওই একটাই দোয়া সে যেখানে থাক ভালো থাক।মাঝে মাঝে এখনো সামির হাসে মনে মনে আর আকাশকে জিজ্ঞেস করে `আচ্ছা ওপারের মানুষটা কি তার কথা মনে রেখেছে?' আকাশ উত্তর দিতে পারে না।হয়তো আকাশ কথাই বলতে জানে না............
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×