somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডেক্সটার- A serial killer who kills the serial killers

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ডেক্সটার এর কথা প্রথম শুনি বছর খানেক আগে, কলিগদের মুখে। যদিও তখন ঐভাবে মাথায় ঢুকে নাই।আগে ডেক্সটার বলতে কার্টুন ‘ডেক্সটার’স ল্যাবরেটরী’ এর কার্টুন চরিত্র ডেক্সটারকেই বুঝতাম।


ডেক্সটার'স ল্যাবরেটরী কার্টুনের ডেক্সটার।।

মাস কয়েক আগে এক বড় ভাইয়ের হার্ড ড্রাইভে দেখে বুঝলাম, ডেক্সটার নামে একটা ইংরেজি টিভি সিরিয়ালও আছে!!


টিভি সিরিয়ালের 'সিরিয়াল কিলার' ডেক্সটার। এটাই এ যুগে আসল 'ডেক্সটার'!

যাইহোক,বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ১ থেকে ৭, সব গুলি সিজন নিলাম। এর আগে খুব বেশি সিরিয়াল দেখি নি। ফ্রেন্ডস,বিগ ব্যাং থিওরী আর প্রিজন ব্রেক-এইই। তার উপর ডেক্সটার হল চরম খুনাখুনির একটা সিরিয়াল। কাজেই আমার ভালো লাগার আপাত কোনো কারন ছিলো না।
কিন্ত অজানা কারনে পুরা নেশার মতন দেখা শুরু করে দিলাম। একটা দুইটা করে পুরা ৭ সিজনের সব গুলা এপিসোডই দেখা শেষ হয়ে গেলো!

ডেক্সটার সম্পর্কে বলতে গেলে একটা কথাতেই সব ক্লিয়ার হবে, “A serial killer who kills the serial killers”. ডেক্সটার নিজেই একজন সিরিয়াল কিলার। সে মানুষ খুন ছাড়া থাকতে পারে না। তার এই ডার্ক সাইডটা তার পালক পিতা (যে কিনা একজন সাবেক পুলিশ অফিসার) হ্যারি উপলব্ধি করে ছোটবেলা থেকে থাকে কিছু কোডের মধ্য দিয়ে বড় করে। কোড গুলির মেইন কথা, খুন করতে হবে শুধু সিরিয়াল কিলারদের,তাছাড়া খুন করা যাবে না। কাজেই ডেক্সটারের ডার্ক প্যাসেঞ্জার (মানে তার খারাপ অংশ) সিরিয়াল কিলার খুঁজে বেড়ায় আর তাদের মেরে কেটে সাগরে ভাসিয়ে দেয়।এই হলো ডেক্সটারের মূল কাহিনী।স্বভাবতই প্রায় প্রতি এপিসোডেই মিনিমাম ১-২ টা খুন থাকে।


খুন করায় ব্যস্ত ডেক্সটার। তার কিলিং এর নিয়ম হচ্ছে পলিথিনে পেচিয়ে বেধে তারপর .... :|

এত ভায়োলেন্সের মধ্যেও ডেক্সটারকে কেনো যেনো খুব কাছের মানুষ মনে হয়। অনেকটা যেনো নিজের প্রবৃত্তির কাছে নিরুপায় হয়ে সে খুন করে যায়। নিরপরাধ মানুষ যাতে তার দ্বারা আক্রান্ত না হয় সে ব্যাপারে সবসময় সচেষ্ট থাকে সে। যেহেতু সে শুধু সিরিয়াল কিলারদেরই বধ করে, তাই সে নিজের মত একটা অজুহাত দাঁড় করিয়ে নিয়েছে যে, তার শিকারদের হাত থেকে অন্তত অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ বেঁচে যাচ্ছে।

ভয়ানক ঠান্ডা মাথার সিরিয়াল কিলার হলেও ডেক্সটার খুব পরিবার অন্তঃপ্রান মানুষ। সে নিজে মায়ামি মেট্রো হোমোসাইডের blood spatter pattern analyst । তার পালক বাবার মেয়ে, ডেবরা মরগানও মায়ামি হোমোসাইডের ডিটেকটিভ (পরে লিউটেনেন্ট হয়)। ডেক্সটার তার বোনকে প্রান দিয়ে ভালোবাসে।


ডেবরা মরগান। বাস্তব জীবনে এরা (জেনিফার কার্পেন্টার আর মাইকেল সি হল) একসময় স্বামী স্ত্রী ছিলো!!

ডেক্সটারের ওয়াইফ রিটার সাথে তার পরিচয় হয় ১ম সিজনেই।দুজনের একটা পিচ্চি হয়, নাম ‘হ্যারি’।৪ নাম্বার সিজনের লাস্ট এপিসোডে রিটাকে খুন করে ফেলে ট্রিনিটি কিলার নামের আরেক সিরিয়াল কিলার।


রিটা আর ডেক্সটার।

এর মাঝে ‘লায়লা’র সাথে কয়েকদিন সম্পর্ক চলে ডেক্সটারের।খুবই বিরক্তিকর ক্যারেক্টার এই লায়লা। লায়লাকে নিজ হাতে খুন করে ডেক্সটার নিজেই।

৫ নাম্বার সিজনে ডেক্সটারের লাইফে আসে লুমেন। হ্যা, এই লুমেন হচ্ছে ‘10 Things I Hate About You’ এর নায়িকা Julia Stiles।


Julia Stiles

৭ নাম্বার সিজন আমার দেখা বেস্ট। এই সিজনে উদয় হয় হান্নাহ(Yvonne Strahovski)। হান্নাহ নিজেও একজন কিলার। যেহেতু দুজনেই জাতে কিলার, সো তাদের মাঝে লুকানোর কিছু থাকে না।দুজন দুজনের প্রতি তীব্র টান অনুভব করে। হান্নাহ চরিত্রের অভিনেত্রী Yvonne Strahovski কে আমার অসাধারন লেগেছে। বরফের মতন ঠান্ডা কিন্তু তীক্ষ্ণ একটা চরিত্র। অসাধারন। ৮ নাম্বার সিজনেও তাকে পাওয়া যাবে।


:)

গত ৩০ জুন ডেক্সটারের ৮ নাম্বার সিজন শুরু হয়েছে। এটাই শেষ সিজন হতে যাচ্ছে,সিওর। দেখা যাক, সিরিয়াল কিলার হন্তারক ডেক্সটারের কী দশা হয় শেষ পর্যন্ত!

আমার দেখা ১ থেকে ৭ সিজনের রেটিং(ভালো থেকে খারাপ)
৭>৫>৪>২>১>৬>৩।
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×