somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডিজাইনার বেইবিইইআসসসস....

১৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এদেশে (বিলাত) আসার পর প্রথম প্রথম যখন বিচিত্র জাতের, সাইজের ও চেহারার কুকুর দেখতাম তখন খুব অবাক হতাম। মাঝেমাঝে খুবই মনোযোগ দিয়ে এই কুকুরকুলের কর্মকান্ড অবজার্ব করতাম.....বিশেষ করে কাজ-কাম ছাড়া যখন পার্কে বসে থাকতাম (....কাজ-কর্ম তেমন একটা ছিলনা তাই কাব্য ভাব প্রবল হৈলে সোজা পার্কে গমন!) তখন বিচিত্র কিসিমের কুত্তা আর কুত্তার মালিক (এহেম...!) দেখতে ভালই লাগত। বিচিত্র কিসিমের কুত্তা দেখতাম আর চিন্তা করতাম খোদার এই দুনিয়ার কত বিচিত্র সৃষ্টিই না আছে? .....এক কুকুরেরই কত জাত!
সে যাই হোক ধীরে ধীরে বিলাতে অভ্যস্থ হইলাম আর জানিতে পারিলাম ইহাদিগকে 'ডিজাইনার কুত্তা' বলা হয়! এরা হৈল অনেকটা এখনকার 'বার মাইস্যা টমাটো'র মতো। দেখতে এবং খাইতে অনেকটা টমাটোর মতো মনে হৈলেও আসল টমাটো বা গাছ ধরলেই হাতে যে 'ঘ্রান' টা লেগে থাকে সেটা আর পাওয়া যায় না। কারো যদি 'ডিজাইনার কুত্তা' লইয়া অারো অাগ্রহ থাকে তবে 'গুগলাইতে' পােরন।
......'ডিজাইনার কুত্তা' দেখতে দেখতে অভ্যস্থ এই আমি এই 'জিনিস' দেখলে এখন আর তেমন আগ্রহ নিয়ে তাকাই না......বরঞ্চ কুত্তার মালিকের অগোচরে চোখ কটমক করে তাকাই। মজার ব্যাপার হচ্ছে চোখ কটমট করে তাকালে এই 'জিনিস'গুল কেমন যেন কুইকুই করে পিছু হঠে!!! অবশ্য 'কুত্তার' মালিক/মালকিন এর চোখে পড়ে গেলে চেহারায় অাহ্লাদী আহ্লাদী একটা ভাব আনতে হয়।।।

যাই হোক এইবার অাসল কথায় আসি, গত ক'দিন ধরে ট্রেন স্টেশন গুলোতে মজার একটা এ্যাড চোখে পড়ছে (.....ক্রিয়েটিভ এ্যাড বানানে ওয়ালাদের আমার বরাবরই কেমন যেন হিংসে হয়!)। আই.ভি.এফ বেবি'র (বাচ্চাহীন দম্পতিদের জন্য চমতকার সল্যুশন) এই এ্যাডটা'র মাঝে আপনাদের জন্য এমন সব বাচচা পয়দা করে দেয়ার গ্যারান্টি দেয়া হচ্ছে যারা আপনার রাতের ঘুম হারাম করবে না বা তাদের পয়দা করা 'বাচ্চা গুলা' এতটাই ভদ্র হবে যে আপনি/আপনার পার্টনার যথেষ্ট পরিমানে 'মি' / 'আস' টাইম পাবেন.....। বাহ্ বাহ্ কি চমেতকার ভবিষ্যতের মানব শিশুরা!!!
সাথে আরো একটা খবরও জানিয়ে দেই, গতকাল বি.বি.সি সায়েন্স পেইজ এর খবর অনুসারে বিজ্ঞানীরা ব্যাকটেরিয়ার ডি.এন.এ তে সফল ভাবে প্রোগ্রামিং করতে পেরেছে এবং এই প্রোগ্রামিং করা ব্যাকটেরিয়া গুলা সাফল্যজনক ভাবে ইদুরের শরীরে টিউমার সনাক্ত করতে পেরেছে।।। বিজ্ঞানীরা তাদের এই সাফল্যে ভীষনভাবে উজ্জীবিত এবং তাদের এই সাফল্যকে সার্বিকভাবে 'মানব কল্যানে' (!) প্রয়োগে আশাবাদী।
......কি জানি বাপু আশাবাদী এই আমিও মাঝে মাঝে কিছু সংবাদে কেমন যেন অাতংক বোধ করি! ......কে জানে আমি/আমাদের জেনারেশানই হয়ত ধীরে ধীরে 'বাতিল মাল' এ পরিনত হচ্ছি।
......আচছা আরো ক'বছর পরে রাস্তা-ঘাটে যখন এই 'ডিজাইনার বেবি'দের দেখা পাবো তখন কি আমি 'কিউট কিউট' এই বেবি গুলার দিকেও চোখ কটমট করে কঠিন ভাবেই তাকাবো???????
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×