ইদানীং বাংলা ব্ল্লগে ইসলামী দাওয়াত নিয়ে বেশ কিছু লেখা দেখার পর খুব স্পস্ট হয়ে উঠছে ইসলামী আন্দোলন এখন মাঠ ছেড়ে ব্ল্লগে এসে স্থান নিয়েছে। ইসলামের প্রতি মানুষের একান্ত বিশ্বাসকে রাজনৈতিকীকরণের পেছনে যে অর্থনৈতিক উপাদান সক্রিয় তা স্পস্ট হলেও অনেকের কাছে সহজবোধ্য নয়। ইসলাম চাপিয়ে দেওয়ার কোন বিষয় নয়, প্রতিহিংসার উপকরণও নয়। ইসলামে উগ্রতা ও অন্ধত্বের স্থান নেই। ইসলামে বিশ্বাসী মুমিন বান্দা হানাহানি, বিশৃংখলা, নৈরাজ্য ও বিভক্তির সৃস্টিকারী হতে পারে না। ভিন্ন বিশ্বাসীদের উপর নির্যাতন করতে পারে না। কারণ, ইসলাম শান্তির ধর্ম, এতে হিংসা ও বিদ্বেষের কোন স্থান নেই। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে: বাংলাদেশের চলমান ইসলামী আন্দোলনের প্রবক্তা জামাতী ইসলামীদের স্বরূপ কি?
এদের ইসলামী আন্দোলন কি ধর্ম বিশ্বাস প্রবল করে, না ধর্মের প্রতি ঘৃণা ছড়ায়? ইসলামের নামে রাজনৈতিক দল সৃস্টি মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি ছড়ায় কি-না? ধর্মের রাজনৈতিকীকরণের পেছনে অর্থনৈতিক স্বার্থ কি অস্বীকার করা যায়? ধর্মভিওিক রাজনীতি কি ধর্মহীনতা নয়? জামাতী ইসলাম নামে দল সৃস্টি করে মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি ও বিশৃংখলা সৃস্টির কোন অবকাশ কি ইসলামে আছে? ইসলাম কি পরাজিত শক্তির রাজনৈতিক অধিকার দেয়? না দিয়ে থাকলে একাওরের পরাজিত জামাতী ইসলামী কিভাবে রাজনীতি করে? একাওরের শহীদদের রক্তঋণ শোধ না করে জামাতী রাজাকাররা কিভাবে ধমর্ীয় শুদ্ধতা অর্জন করবে? এই উপমহাদেশের আলেম ওলামারা সপ্রমানে জামাতীদের গুরু মওদুদীর তাহফীমুল কোরআনের পবিএ কোরআনের বিকৃত ব্যাখ্যার জন্য নিষিদ্ধ করার দাবী করেছিল তা কি অযৌক্তিক ? ধর্মভিওিক রাজনীতি কেন নিষিদ্ধ হওয়া উচিত? জামাতী মওদুদীবাদীরা বাতিল ফের্কার অনুসারী ও স্রস্টা তা কি তারা অস্বীকার করতে পারবে? ধর্ম নিয়ে প্রতারণার জন্য জামাতীদেরকে কেন নিষিদ্ধ করা হবে না? গত 50 বছরে জামাতীরা নারী নেতৃত্বের ব্যাপারে তাদের ধর্মীয় ব্যাখ্যা কয়বার বদল করেছে?
নতুন প্রজন্মের যারা ধর্ম সচেতন তাদের এসব প্রশ্ন নিয়ে ভাবার দরকার। জামাতীদের মতো ধর্মব্যবসায়ীরা পবিএ ইসলামকে ছিনতাই করে আমাদের বিশ্বাসকে অপমানিত ও প্রতারিত করুক তা আমরা চাই না। শেষকালে যে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্ত বাহাওরটি শাখার উদ্ভব হবে তার মধ্যে যে জামাতী-ওয়াহাবীরা একটি এসম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই। কারণ, জামাতীরা ধর্ম নিয়ে যে পরিমাণ অপকর্ম করেছে আর ধর্মের নামে যতো মানুষকে লাঞ্চিত করেছে সেই অপরাধের দায়ভার থেকে কিভাবে নিষকৃতি পাবে? ভেবে দেখুন, মক্কা বিজয়ের পর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কতোটুকু রক্ত ঝড়েছে আর 1971 সালে কেবল পাকিস্তান রক্ষার জন্য নিরীহ কতো মানুষের রক্ত ঝড়িয়েছে এই ধর্মব্যবসায়ী রাজাকার জামাতীরা।
ধর্ম নিয়ে জেহাদী তেজারতী কারবার করতে গিয়ে কতো নিরীহ তরুণকে বিভ্রান্ত করে তাদের রক্ত ঝড়িয়েছে, তার কোন সদুওর নিজামী-মুহাহিদীরা তাদের পিতামাতাদের দিতে পারবে না। ইসলামে উগ্রতা ও সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই। তাই জামাতীরা যখন ইসলামী আন্দোলনের নামে উগ্রতা ছড়ায়, রক্ত ঝড়ায় আর ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বিভ্রান্ত করে, তখন তারা তাদের উপর লা'নত ডেকে আনে। আমার প্রার্থনা আল্ল্লাহ আমাদেরকে ইসলামী আন্দোলনের নামে বিভ্রান্তি সৃস্টিকারী জামাতীদের ফেতনা থেকে আমাদের ঈমানকে হেফাজত করুক। এব্যাপারে ধারাবাহিকভাবে লেখার ইচ্ছে আছে।
ইসলামী রাস্ট্রব্যবস্থা বলে শ্ল্লোগান দিয়ে যে সেনসেশন জামাতী ধর্ম ব্যবসায়ীরা সৃস্টি করতে চায় তার কোন স্থান ইসলামে নেই। ধমর্ীয় রাজনীতির ধারা প্রবর্তন করে এসব ধর্ম ব্যবসায়ীরা মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ ও হানাহানির সৃস্টি করে। পড়ে দেখুন মদীনা সনদ- এটি কোন ইসলামী সনদ ছিল না। বরং ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রতীক ছিল। সম্মান করা হয়েছিল ভিন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাসের প্রতি। ইসলামী খেলাফতের স্থায়ীত্বকাল ছিল মাএ তিরিশ বছর। তারপরই তা রাজতন্ত্রে রূপান্তরিত হয়। এতে যে মুসলমানদের ঈমান ও আকীদার কোন হানি হয়নি। বরং সেসময়কালে তারা আরও বেশী ঈমানদার ছিলেন।
ইসলামী রাস্ট্রের সাইনবোর্ড দিয়ে যেমন পাকিস্তানে সামরিক জান্তা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে ঠিক একই ভাবে এদেশে বিসমিল্ল্লাহ যোগ করে রাজাকার জামাতীদের পুনর্বাসন করে জিয়ার সামরিক সরকার ধর্মভিওিক রাজনীতির দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন আর তার উওরসূরী খালেদা জিয়া তাদেরকে জাতীয়তাবাদী পরিববারভূক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মাকে অপমানিত করেছেন। চার দলীয় জোট সরকারের আমলে ধর্মীয় উগ্রতা ও নৈরাজ্যের [link|http://video.google.com/videoplay?docid=1210025978229776205|welgq dj MZ cvuPeQ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



