সৌদি আরবে গৃহকর্মীর জব রেসপনসিবিলিটিতে অলিখিত ভাবে সেক্সচুয়াল সার্ভিসটা যুক্ত থাকে।
একজন গৃহকর্মী সে যে দেশ থেকেই যাক না কেন তাকে গৃহকর্তা, গৃহকর্তার ছেলে, ভাই, বন্ধু বান্ধবকে সেক্সচুয়াল সার্ভসটা দিতে হয়।কারন তারা গৃহকর্মীদের কৃতদাসী হিসাবেই বিবেচনা করে বলে গৃহকর্মীর যৌন চাহিদা পুরুন করে দেওয়াকে তাদের পবিত্র দায়িত্ব বলে মনে করে।
মাস শেষে তারা বেতন দিতে চাই না কারন কৃতদাসীকে বেতন দেওয়াতো জায়েজ নাই।
তারা ক্ষুধা ও পিপাসার সাথে অনন্ত সংগ্রাম শেষে মাত্রই গত শতাব্দীতে উটের পিঠ থেকে নেমে বিএমডাবলুতে উঠলেও মানসিকতা সেই আগের মতই আছে।
আমার এ বাজে স্বভাব কোনদিন যাবেনা গানের মতই তাদের এ বাজে স্বভাব কোন দিন যাবে না।
এক্ষেত্রে তারা কোন রাখঢাক রাখে না। এই নিকৃষ্ট স্বভাবের কারনে ভারত, শ্রীলংকা, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার সরকার সৌদি আরবে গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে।
কিন্তু সব জেনে শুনে আমরা কেন পাঠালাম আমাদের হত দরিদ্র নারীদের?
কারন হত দরিদ্র ঐ সকল নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে দু’এক পয়সা ডলার যা আসে তা বৈদেশিক বানিজ্যের ক্ষেত্রে সৃষ্ট ব্যালেন্স অব ট্রেডের ঘাটতি মেটাতে আমাদের খুব প্রয়োজন।
তাই সৌদি আরবে গৃহকর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্তটা আমার কাছে ডলারের অভাবের তাড়নায় নিজ সন্তানকে পতিতালয়ে বিক্রি করার মত অমানবিক বলে মনে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪৩