সমাজে আজকাল কিছুকিছু মানুষ আছে যারা মেয়েদেরকে আগুনের গোলার মত দেখতাছে। এমনকি একটা ছেলে খারাপ হওয়ার পেছনেও নাকি মেয়ের হাত আছে, তারা নাকি ছেলেদের ধোকা দেয়।আরে ভাই একটা ছেলে খারাপ হওয়ার পেছনে তার পরিবার,বন্ধুদের সঙ্গ, আড্ডা মারার জায়গা কিংবা পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর অনেকটাই নির্ভর করে। হ্যাঁ মেয়েদের সাথে রিলেশন করার পর ছেকে খাইলে সেটা অন্য ব্যাপার। আমি এখানেও ছেলেদের দোষটাই দেখবো, দরকার কি প্রেম করার। প্রত্যেকটা ছেলের কিংবা মেয়ের আবেগপ্রবণ সময় থাকে সেটাকে সামলানোওত শিখতে হব। ওই মানুষগুলো যে নিজেদের কি মনে করে বুঝতেই পারতাছি না। দেখা যাচ্ছে তাদের চরিত্র ও তৃতীয় শ্রেণীর থেকেও অধম। তাদের মনে হয় জন্মই হয় মেয়েদের বিরুদ্ধে বলার জন্য। আমরা এমন যে একটা মেয়েকে পতিতা ও বানাই আবার দেবীর মর্যাদাও দেই। হাহাহা খুব মজার তাই না। যারা মেয়েদেরকে খুব খারাপ চোখে দেখেন তাদের বলছি পারলে চিন্তাধারা পরিবর্তন করেন। মূল সমস্যাটা হচ্ছে আমাদের সিস্টেম। আমাদের সিস্টেমই ত ঠিক নাই।হুমায়ুন আজাদ নারী বইটা লিখারা সময় একটা মহিলা দেখলো তার বইয়ের নাম নারী, মহিলাটি ওনাকে অনুরোধ করলেন এবং বললেন বইটা না লিখার জন্য ওনি বললেন নামটা নাকি অশ্লীল।খুব অবাক হচ্ছি ওনি একজন নারী হয়ে ও নারী শব্দটাকে অশ্লীল উপাধী দিলেন। আমরা বাঙ্গালী হয়েও যদি বলি বাঙ্গালী শব্দটা অশ্লীল ব্যাপারটা কেমন না। আসুন মেয়েদের সম্মান করতে শিখি।মনে রাখবেন আরেকজনকে সম্মান দিলে নিজের সম্মান কমে না।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪৪