বুকপকেটে একটা কবিতাঃ তুমিময়
সকাল হয়ে যায় তখনো তুমিময়
অন্ধগলিতে একফালি আলো, সেও তুমিময়
কবিতা ছেড়ে দিতে চাই-- তাও তুমিময়!
হে বৈরাগ্যের রাত; সন্ন্যাসব্রতের রাত
তুমিও দেখছি তুমিময়
তুমিময় কেবল তুমিময়
ঘুড়ির সুতো কেটে গেছে, তবুও আকাশের তারাদের কানে কানে বলছে--
তুমি; তুমিময় কাব্য।
রাতভর বহমান সমীর ফুঁকে দিয়ে যাচ্ছে এক ব্রজমন্ত্র
এক স্বেচ্ছাচারী শব্দ, কেবল তুমি।
কী ছিলো আমাদের পরিচয়ে, কী ছিলো তখন বাতাসে?
কোন সে পরাগ ছুঁয়েছিলো সেইদিন, সেইক্ষণে--
আজ সর্বত্র তুমি এবং তুমিময়।
কোন সে ব্যাংক, কী তার রেট অব ইন্টারেস্ট?
আজ সুদাসলে পৃথিবীব্যাপী একটাই নাম তুমি!
নোটবুকের পাতা উল্টোই, এখানেও তুমি।
ঘুমোতে যাই-- স্বপ্নের ঘুণপোকারা কুঁড়ে কুঁড়ে খায়
বুকের অনলে ঘুমগন্ধা আকাশে বৃষ্টি নামে--
মোমের মতো গলে গলে পরে...
হে অশরীরী স্বত্তা, তোমার নেত্রযুগলে পোয়াতি বর্ষা নামুক
বছর জুড়ে, দশক জুড়ে, সহস্রাব্দ জুড়ে
তোমার লোচনেও বহমান থাকুক নোনাজল ও তার গল্প!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৯