somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মধু কিংস অব মেডিসিন

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মধু কিংস অব মেডিসিন
------------------------------------------
( পুরো পোষ্টটি পড়লে ও সংগ্রহে রাখলে মধু
নিয়ে আর আপনাকে সমস্যাতে পরতে হবে না)
মধুর উপকারিতা, গুনাগুন, বৈজ্ঞানিক ভিত্তি,
বৈশিষ্ট, খাটি মধু চেনার উপায়, সেবন ও ব্যববহার
বিধি।
-------------------------------------------------
মধু কি?
মধু হচ্ছে একটি তরল আঠালো মিষ্টি জাতীয়
পদার্থ, যা মৌমাছিরা ফুল থেকে নেকটার বা
পুষ্পরস হিসেবে সংগ্রহ করে মৌচাকে জমা
রাখে। পরবর্তীতে জমাকৃত
পুষ্পরস প্রাকৃতিক নিয়মেই মৌমাছি বিশেষ
প্রক্রিয়ায় পূর্ণাঙ্গ মধুতে রূপান্তর এবং কোষ
বদ্ধ অবস্থায় মৌচাকে সংরক্ষণ করে। বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে
মধু হচ্ছে এমন একটি অগাজানোশীল মিষ্টি
জাতীয় পদার্থ
যা মৌমাছিরা ফুলের নেকটার অথবা জীবন্ত
গাছপালার নির্গত রস থেকে সংগ্রহ
করে মধুতে রূপান্তর করে এবং সুনির্দিষ্টভাবে
কিছু উপাদান যোগ করে মৌচাকে সংরক্ষণ করে।
মধুর উপাদান-
মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। ফুলের
পরাগের মধুতে থাকে ২৫ থেকে
৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ
ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং
৫-১২ শতাংশ মন্টোজ। আরো
থাকে ২২ শতাংশ অ্যামাইনো এসিড, ২৮
শতাংশ খনিজ লবণ এবং ১১ ভাগ
এনকাইম। এতে চর্বি ও প্রোটিন নেই। ১০০ গ্রাম
মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি।
.
মধুর যত শ্রেষ্টত্বঃ
মধু হলো মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক অপূর্ব
নেয়ামত। স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং যাবতীয় রোগ
নিরাময়ে মধুর গুণ অপরিসীম। পৃথিবীতে যত খাবার
রয়েছে সব খাবারের পুষ্টিগুণ ও
উপাদেয়তার দিকটি বিবেচনা করে
যদি আমরা একটি তালিকা করি, তবে সে
তালিকার প্রথম সারিতেই থাকবে ‘মধু’র নাম।
মানবদেহের জন্য মধু অত্যন্ত উপকারী এবং
নিয়মিত মধু সেবন করলে অসংখ্য রোগবালাই হতে
পরিত্রান পাওয়া যায়। এটি বৈজ্ঞানিকভাবেই
প্রমানিত। হাজার বছর পূর্বেও মধু ছিল সমান
জনপ্রিয়। ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়,
অনেক সভ্যতায় মধু ‘ঔষধ’ হিসেবেও ব্যবহৃত হত।
এমনকি পবিত্র ধর্মগ্রন্থেও মধু সেবনের
উপকারিতা এবং কার্যকারিতার কথা উল্লেখ
রয়েছে। যেমন পবিত্র আল কোরআনে উল্লেখ
করা হয়েছে যে,
“আপনার পালনকর্তা মৌমাছিকে আদেশ
দিলেনঃ পর্বতে, গাছে ও উঁচু চালে বাড়ি তৈরী
কর, এরপর সর্ব প্রকার ফুল থেকে খাও এবং আপন
পালনকর্তার উন্মুক্ত
পথে চলো। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙের
পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্য
রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চই এতে
চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন
রয়েছে। (সূরা নাহলের ৬৮ ও ৬৯ নম্বর
আয়াত)”
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) একে ‘খাইরুদ্দাওয়া’ বা
মহৌষধ বলেছেন। আয়ূর্বেদ এবং ইউনানী
চিকিৎসা শাস্ত্রেও মধুকে বলা হয় মহৌষধ। এটা
যেমন বলকারক, সুস্বাদু ও উত্তম উপাদেয়
খাদ্যনির্যাস, তেমনি নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্রও।
আর তাই তো খাদ্য ও ওষুধ- এ উভয়বিধ পুষ্টিগুণে
সমৃদ্ধ নির্যাসকে প্রাচীনকাল থেকেই
পারিবারিকভাবে
‘পুষ্টিকর ও শক্তিবর্ধক’ পানীয় হিসেবে সকল
দেশের সকল পর্যায়ের মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ
সহকারে ব্যবহার করে আসছে।
মধুতে যে সকল উপকরণ রয়েছে এর মধ্যে
প্রধান উপকরণ সুগার। সুগার বা চিনি আমরা
অনেকই এড়িয়ে চলি। কিন্তু মধুতে গ্লুকোজ ও
ফ্রুক্টোজ এ দুটি সরাসরি মেটাবলাইজড হয়ে যায়
এবং ফ্যাট হিসাবে জমা হয় না।
মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর নমুনা পরীক্ষায় দেখা
গেছে যে, এতে এলুমিনিয়াম, বোরন,
ক্রোমিয়াম, কপার, লেড, টিন, জিংক ও জৈব
এসিড (যেমন- ম্যালিক এসিড, সাইট্রিক এসিড,
টারটারিক এসিড
এবং অক্সালিক এসিড), কতিপয় ভিটামিন,
প্রোটিন, হরমোনস, এসিটাইল কোলিন,
এন্টিবায়োটিকস, ফাইটোনসাইডস,
সাইস্টোস্ট্যাটিক্স এবং পানি (১৯-২১%) ছাড়াও
অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে।
ভিটামিন যেমন- ভিটামিন সি বা অ্যাসকারবিক
এসিড, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫, বি-৬,
ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-এ বা
ক্যারোটিন ইত্যাদি বিদ্যমান। মধু এমন ধরনের
ঔষধ, যার পচন নিবারক (এন্টিসেপটিক),
কোলেস্টেরল বিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়া
বিরোধী ধর্ম আছে।
মধু দ্বারা ব্রঙ্কোনিউমোনিয়ার জীবাণু চতুর্থ
দিনে, টাইফয়েডের জীবাণু পঞ্চম দিনে এবং
আমাশয়ের জীবাণু ১০ ঘণ্টায় ধ্বংস হয়।
.
খাটি মধু চেনার উপায়ঃ
মধুর গুণের কথা নতুন করে আর বলার কিছু নেই ।
জন্মের পর নানা দাদীরা মখে মধু দেয় নাই এমন
লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন । আজ আমি মধুর গুণের
কথা বলব না । কারণ মধুর গুণের কথা কম বেশী
সকলের জানা । বর্তমানে আমরা বাজার থেকে যে
মধু কিনে আনি তা যে কতটুকু খাঁটি তা বলা মুশকিল
। মধুর মধ্যে সাধারণত ভেজাল হিসেবে পানি,
চিনি ও
আরও অনেক কিছু মেশানো হয় । নানান
পপ্রতারনায় ককৃতিম মধুতে বাজার ছয়লাভ। চলুন
আমরা জেনে খাঁটি মধু চেনার কিছু উপায় -
১। ফ্রিজিং পরীক্ষা : মধুকে ফ্র্রিজের মধ্যে
রেখে দিন । খাঁটি মধু জমবে না । তবে সরিসা
ফুলের মধু দানা নয় জেলির মতো বসে যায়, এর রঙ
হলদে হবে। এছাড়া ভেজাল মধু পুরাপুরি না
জমলেও জমাট তলানী পড়বে ।
২। পিঁপড়া পরীক্ষা : এক টুকরা কাগজের মধ্যে
কয়েক ফোঁটা মধু নিন । তারপর যেখানে পিঁপড়া
আছে সেখানে রেখে দিন । পিঁপড়া যদি মধুর ধারে
কাছে না
ঘেসে তবে তা খাঁটি মধু । আর পিঁপড়া যদি তা
পছন্দ করে তবে মধুতে ভেজাল আছে।
৩। চক্ষু পরীক্ষা : খুব অল্প পরিমাণ মধু চোখের
ভেতরে দিন । যদি মধু খাঁটি হয় তবে প্রথমে চোখ
জ্বালাপোড়া করবে ও চোখ থেকে পানি বের
হবে এবং খানিক পরে চোখে ঠান্ডা অনুভূতি হবে
। (এই পরীক্ষায় অনুৎসাহিত করছি)
৪। দ্রাব্যতা পরীক্ষা : এক গ্লাস পানি নিয়ে এর
মধ্যে এক টেবিল চামচপরিমাণ মধু নিন । খুব ধীরে
ধীরে গ্লাসটি শেক করুন । যদি মধু পানিতে
পুরাপুরি দ্রবীভূত হয়ে যায় তবে তা ভেজাল মধু ।
আর মধু যদি পানিতে ছোট ছোট পিন্ডের আকারে
থাকে তবে তা খাঁটি মধু ।
৫। মেথিলেটেড স্পিরিট পরীক্ষা : সমান অনুপাতে
মধু এবং মেথিলেটেড স্পিরিট মিশ্রিত করে
নাড়াতে থাকুন। খাঁটি মধু দ্রবীভুত না হয়ে
তলনীতে জমা
হবে । আর ভেজাল মধু দ্রবীভূত হয়ে মেথিলেটেড
স্পিরিটকে মিল্কি করবে ।
৬। শিখা পরীক্ষা : একটি কটন উয়িক নিয়ে উহার
এক প্রান্তকে মধুর মধ্যে ডুবিয়ে নেই । তারপর
উঠিয়ে হালকা শেক করে নিই । একটি মোমবাতি
জ্বালিয়ে বা
লাইটার জ্বলিয়ে তা আগুনের শিখায় ধরি । যদি
তা জ্বলতে থাকে তবে মধু খাঁটি আর যদি না
জ্বলে তবে মধুতে পানি মেশানো আছে । যদি
মধুতে অল্প পরিমাণ পানি
মেশানো থাকে তবে কটন উয়িক জ্বলতে থাকবে
কিন্তু ক্র্যাকলিং সাউন্ড শোনা যাবে।
৭। শোষণ পরীক্ষা : কয়েক ফোঁটা মধু একটি
ব্লটিং পেপারে নিন ও পর্যবেক্ষণ করুন । খাঁটি
মধু ব্লটিং পেপার কর্তৃক শোষিত হবে না ।
ভেজাল মধু ব্লটিং
পেপারকে আর্দ্র করবে ।
৮। কলংক পরীক্ষা : একটুকরা সাদা কাপড়ের উপর
সামান্য পরিমাণ মধু নিন এবং এবং কিছুক্ষন পর
কাপড়টি ধৌত করুন । ধোয়ার পর কাপড়টিতে যদি
কোন দাগ থাকে তবে মধুতে ভেজাল আছে । আর
যদি কোন দাগ না থাকে তবে মধু খাঁটি ।
৯। হানি কম্ব পরীক্ষা : একটি কাঁচের বা সাদা
রংয়ের বোলের মধ্যখানে দেড় থেকে দুই চা চামচ
(প্লস্টিকের তৈরি) মধু নেই । তারপর বোলের
চারদিক দিয়ে
ধীরে ধীরে ঠান্ডা পানি ঢালতে থাকি । যখন
পানি মধুকে ঢেকে ফেলবে তখন পানি ঢালা বন্ধ
করি । তারপর বোলটিকে তুলে ধরে ঘড়ির কাঁটার
বিপরীত দিকে
দুই মিনিট ধরে ঘুরাতে থাকি । খাঁটি মধু এই
মুভমেন্টের পরেও পানিতে দ্রবীভূত হবে না এবং
হেক্সাগোনাল আকৃতি ধারণ করবে যা দেখতে
প্রায় হানি কম্ব এর
মত । হানি কম্ব এর চিত্র দেখুন নিচে -
১০। স্বচক্ষে দেখা পদ্ধতি : এই পরীক্ষগুলো না
করেও খাঁটি মধু সম্পর্কে নিশ্চত হতে পারবেন
যদি আপনি নিজে উপস্থিত থেকে মৌচাক থেকে
মধুসংগ্রহ করে আনতে পারেন ।
১১. এক গ্লাস পানিতে এক চামচ পরিমাণ
মধু দিন। তারপর আস্তে আস্তে গ্লাসটি
নাড়া দিন। মধু পানির সঙ্গে মিশে
গেলে নিশ্চিত হবেন সেটা ভেজাল মধু।
আর মধু যদি ছোট পিণ্ডের মতো
গ্লাসের পানিতে ছড়িয়ে যায়, তাহলে
বুঝবেন সেটা খাঁটি মধু।
১২. মধুর আসল-নকল নির্ধারণ করতে এক
টুকরো কাগজে অল্প একটু মধু লাগিয়ে
নিন। এবার যেখানে পিঁপড়া আছে
সেখানে রেখে দিন। তারপর অপেক্ষা
করতে থাকুন। মধুতে যদি পিঁপড়া ধরে
তাহলে বুঝে নেবেন আপনার কেনা
মধুতে ভেজাল আছে।
১৩. পরিস্কার সাদা কাপড়ে অল্প একটু
মধু লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। একটু পর
কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন। কাপড়ে দাগ
থেকে গেলে বুঝতে হবে এই মধু নকল।
আর কাপড়ে দাগ না থাকলে সেটা
খাঁটি মধু।এছাড়াও একটু সময় নিয়ে যদি যাচাই
করতে চান আপনার কেনা মধুটি আসল না
নকল তাহলে,
১৪.মধু ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। ভেজাল
মধু হলে এটা জমে যাবে। আর না
জমলেও ভেজাল মধুর নিচে জমাট
তলানি পড়বে।
.
মধুর উপকারিতাঃ
ৎসক ইবনে সিনা তার বিশ্বখ্যাত Medical test
book ‘The canon of Medicine’ এ রোগের
প্রতিষেধক হিসাবে মধু ব্যবহারের সুপারিশ
করেছেন। তিনি মধুর উপকারিতা সম্পর্কে
বলেছেন, মধু
মানুষকে সুখী করে, পরিপাকে সহায়তা করে,
ঠান্ডার উপশম করে, ক্ষুধা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি
বৃদ্ধি ও তীক্ষ্ণ করে, জিহবা পরিষ্কার ও যৌবন
রক্ষা করে।
নিয়মিত ও পরিমিত মধু সেবন করলে নানাবিধ
উপকার পাওয়া যায়।
১ – হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। রক্তনালী
প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে
এবং হৃদপেশীর কার্যক্রম বৃদ্ধি করে।
২ – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৩ – ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৪ – দাঁতকে পরিষ্কার ও শক্তিশালী করে।
৫ – দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে।
৬ – মধুর রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা, যা
দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের হাত থেকে রক্ষা
করে বার্ধক্য ঠেকাতে সাহায্য করে।
৭ – মধুর ক্যালরি রক্তের হিমোগ্লাবিনের
পরিমাণ বাড়ায়, ফলে রক্তবর্ধক হয়।
৮ – আন্ত্রিক রোগে উপকারী। মধুকে
এককভাবে ব্যবহার করলে পাকস্থলীর বিভিন্ন
রোগের উপকার পাওয়া যায়।
৯ – দুর্বল শিশুদের মুখের ভেতর পচনশীল ঘা- এর
জন্য খুবই উপকারী।
১০- শরীরের বিভিন্ন ধরনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে
সহায়তা করে এবং উষ্ণতা বৃদ্ধি করে।
১১- ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এবং ক্যালসিয়াম
সমৃদ্ধ মধু
স্নায়ু এবং মস্তিস্কের কলা সুদৃঢ় করে।
১২- মধুতে স্টার্চ ডাইজেস্টি এনজাইমস এবং
মিনারেলস থাকায় চুল ও ত্বক ঠিক রাখতে অনন্য
ভূমিকা পালন করে।
১৩- মধু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
১৪- যারা রক্ত স্বল্পতায় বেশি ভোগে বিশেষ
করে মহিলারা, তাদের জন্য নিয়মিত মধু সেবন
অত্যন্ত ফলদায়ক।
১৫- শিশুদের প্রতিদিন অল্প পরিমাণ মধু খাওয়ার
অভ্যাস করলে তার ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর
ইত্যাদি সহজে হয় না।
১৬- ক্ষুধা, হজমশক্তি ও রুচি বৃদ্ধি করে।
১৭- রক্ত পরিশোধন করে।
১৮- শরীর ও ফুসফুসকে শক্তিশালী করে।
১৯- জিহ্বার জড়তা দূর করে।
২০- মধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
২১- বাতের ব্যথা উপশম করে।
২২- মাথা ব্যথা দূর করে।
২৩- শিশুদের দৈহিক গড়ন ও ওজন বৃদ্ধি করে।
২৪- কাশি-হাঁপানি এবং ঠাণ্ডাজনিত রোগে
বিশেষ উপকার করে।
২৫- শারীরিক দুর্বলতা দূর করে এবং শক্তি-
সামর্থ্য দীর্ঘস্থায়ী করে।
২৬- মধু খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা
বৃদ্ধি পায়, ফলে শরীর হয়ে ওঠে সুস্থ, সতেজ এবং
কর্মক্ষম।
২৭- যৌন অক্ষমতা দূর করে এবং অটুট যৌবন ধরে
রাখে। যৌন অক্ষমতা দূর করার জন্য বিশ্বের
প্রখ্যাত মধু বিজ্ঞানীদের মতে দৈনিক পর্যাপ্ত
মধুই যথেষ্ট।
২৮-নিয়মিত মধু সেবন করলে ধাতু দুর্বল
(ধ্বজভঙ্গ) রোগ হয় না।
.
সেবন বিধিঃ
মূত্র থলির জীবানু: দুই চামচ দারুচিনি গুঁড়া ও এক
চামচ মধু এক গাস হাল্কা গরম পানির সাথে
মিশিয়ে সেবন করলে মূত্রথলির জীবাণু ধ্বংস
করে।
.
দাঁতের ব্যথা : দাঁতে ব্যথা হ’লে এক চামচ
দারুচিনি গুঁড়া, পাঁচ চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে
ব্যথা যুক্ত দাঁতের গোড়ায় ব্যবহার করলে উপশম
হয়। ব্যথা না সারা পর্যন্ত দিনে তিনবার করে
ব্যবহার করতে হবে।
.
ক্লোলেস্টেরল : দুই চা চামচ মধু ও তিন চা চামচ
দারুচিনি গুঁড়া ১৬ আউন্স পানি মিশিয়ে
ক্লোরেস্টেরলের রোগীকে সেবন করালে দুই
ঘণ্টার মধ্যে ক্লোলেস্টেরলের পরিমাণ ১০
শতাংশ কমিয়ে আনা যায়। দিনে দু’বার সেবন
করলে যে কোন ধরনের ক্লোলেস্টেরলজনিত রোগ
উপশম হয়।
.
ঠান্ডা লাগা : যারা সাধারণত তীব্র ঠান্ডায়
ভোগেন তাদের এক টেবিল চামচ হাল্কা গরম মধু
ও দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে দিনে একবার করে তিন
দিন সেবন করতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় ঠান্ডা, পুরন
কাশি উপশম হয় ও সাইনাস পরিষ্কার করে।
.
পাকস্থলীর সমস্যা : দারুচিনি পাউডারের সাথে
মধু মিশিয়ে সেবন করলে পাকস্থলীর ব্যথা ও
গ্যাস্ট্রিকজনিত ব্যথা উপশম হয় এবং
পাকস্থলীর মূল থেকে আলসার ভাল করে।
.
হার্টের রোগ : দারুচিনি গুঁড়া ও মধু এক সাথে
মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে রুটির সাথে জেলির
মতো মাখিয়ে সকালের পানি খাবারের সাথে
খেতে হবে। এটা ধমনীর ক্লোলেস্টেরলের
পরিমাণ কমায়
ও রোগীকে হার্ট অ্যাটাক থেকে রক্ষা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা : প্রতিদিন মধু ও দারুচিনি
গুঁড়া সেবন করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
পায় এবং ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের আক্রমণ
থেকে দেহকে রক্ষা করে।
.
বদহজম : দুই টেবিল চামচ মধুর ওপর সামান্য
দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে খাবারের আগে সেবন
করলে এসিডিটি কমে যায় ও ভারী খাবার হজম
হয়।
.
ইনফ্লুয়েঞ্জা : মধু ইনফ্লুয়েঞ্জার জীবাণু ধ্বংস
করে। ত্বকের ইনফেকশন : মধু ও দারুচিনি গুঁড়া
সমপরিমাণে মিশিয়ে একজিমা, দাঁদ ও অন্য সব
ধরনের ত্বকের ইনফেকশনে আক্রান্ত স্থানে
লাগাতে হবে। দিনে দু’বার সাত দিন থেকে শুরু
করে প্রয়োজনে
এক মাস ব্যবহার করতে হবে।
.
ওযন কমানো : সকালে খাবারের আধ ঘণ্টা আগে
খালিপেটে ও রাতে শোবার আগে মধু ও দারুচিনি
গুঁড়া এক কাপ গরম পানির সাথে মিশিয়ে পান
করতে হবে। নিয়মিত পান করলে স্থুলকায়
শরীরের ওযনও কমতে থাকে। এ মিশ্রণ নিয়মিত
পানে উচ্চমানের খাবার খেলেও শরীরে চর্বি
জমতে পারে না।
.
ক্যান্সার : সম্প্রতি জাপান ও অস্ট্রেলিয়ায়
পাকস্থলী ও হাড়ের ক্যান্সার সফলতার সাথে
সারছে। যেসব রোগী এ ধরনের ক্যান্সারে ভোগেন
তাদের ক্ষেত্রে এক টেবিল চামচ মধু ও এক চামচ
দারুচিনি গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে দিনে তিনবার
একমাস সেবন করলে আরোগ্য লাভ সম্ভব।
.
ক্লান্তি : ডা. মিল্টন গবেষণা করেছেন তিনি
বলেন, এক গাস পানি অর্ধেক টেবিল চামচ মধু ও
কিছু দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে সকালে দাঁত ব্রাশ
করার পরও বিকেলে পান করলে সাতদিনের মধ্যে
শরীর সতেজ হয়ে ক্লান্তি দূর হয়।
.
শ্রবণশক্তি কমে গেলে : যেসব রোগী কানে কম
শোনে তাদের ক্ষেত্রে সমপরিমাণ মধু ও দারুচিনি
গুঁড়া মিশিয়ে সকালেও রাতে পান করলে
শ্রবণশক্তি বৃদ্ধি পায়।
.
পুড়ে গেলে : খাঁটি মধু পোড়ার উপর আলতোভাবে
নিয়মিত লাগালে পোড়ার জ্বালা বন্ধ করে, ব্যথা
দূর করে ও দ্রুত উপমশ হয়।
.
বিছানায় প্রস্রাব করলে : শিশুদের ঘুমানোর আগে
এক চা চামচ মধু খাওয়ালে বিছানায় প্রস্রাব করা
বন্ধ হয়।
.
অনিদ্রা : এক গাস দুধের সাথে এক টেবিল চামচ
মধু মিশিয়ে পান করলে ভাল ঘুম হয়। ঘুমের পর
শরীর সতেজ হয়, কর্মোদ্যম ফিরে পাওয়া যায়।
.
নাকের নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়া : এক বাটি গরম
পানিতে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে বাটির ওপর
মাথা রেখে শ্বাসের মাধ্যমে গন্ধ নিতে হবে ও
বাটিসহ মাথা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে নিতে হবে।
এতে অত্যন্ত ভাল ফল পাওয়া যায়।
.
ক্ষত : ক্ষতস্থানে মধু দ্বারা প্রলেপ দিয়ে বেঁধে
দিলে খুব ভাল উপকার পাওয়া যায় ও নিয়মিত
ব্যবহার করলে কোনও এন্টিবায়োটিকের
প্রয়োজন হয় না।
.
অস্টিওপোরোসিস : প্রতিদিন এক চা চামচ মধুপান
করলে ক্যালসিয়াম ব্যবহারে সহায়ক হয় ও
অস্ট্রিওপোরোসিস রোগের হাত থেকে রক্ষা
করে। বিশেষ করে পঞ্চাশোর্ধ বয়সের লোকের
জন্য
মধু খুব উপকারী।
.
মাইগ্রেন : হাল্কা গরম পানি এক টেবিল চামচ মধু
মিশিয়ে মাইগ্রেন ব্যথার শুরুতে চুমুক দিয়ে পান
করতে হবে। ২০ মিনিট পরপর পান করতে হবে এতে
খুব ভাল ফল পাওয়া যায়।
রূপচর্চায় মধু : ৩৪টি অব্যর্থ
টিপস
১. মধু প্রাকৃতকি ময়শ্চোরাইজার হিসেবে
কাজ করে।। বাতাস থেকে জলীয়বাষ্প
ত্বকে টেনে নিয়ে দীর্ঘসময় ত্বকের গভীরে
নমনীয়তা ধরে রাখে।
২. প্রতিদিন এক টবেলি চামচ মধু পরষ্কিার
ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মনিটি রাখুন। পরে
কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন আর
পান কোমল ও মসৃণ ত্বক।
৩. বাইরে থেকে ফিরে মধু ও আটা দিয়ে
একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি মুখে ১০ মিনিট
লাগিয়ে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে
ফেলনু। এতে মুখের পোড়াভাব কমে যাবে।
মুখ হবে উজ্জ্বল।
৪. কয়েকটি বাদাম পেষ্ট করে এর সাথে এক
টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এই পেষ্ট
১৫-২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। প্রতিদিন
লাগালে দারুন উপকার পাবেন।
৫. মধু ত্বক ও রোমকূপের গভীরে জমে থাকা
ময়লা ও ধূলাবালি দূর করতে দারুন কার্যকর।
৬. মধুতে আছে অ্যান্টব্যিাকটেরিয়াল
উপাদান, যা ত্বককে ক্ষতিকর
ব্যাকটেরিয়ার ও অন্যান্য জীবানুর হাত
থকে বাঁচায়।
৭. এক টেবিল চামচ মধু দুই টেবিল চামচ
নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে নিন। চোখ
বাদে সারা মুখে ভালোভাবে ঘষে ঘষে
লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানিতে
মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি পায়।
৮. মধুতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এনজাইম
ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা ত্বকের মৃত
কোষ তুলে নতুন কোষ গঠন করেত সাহায্য
করে।
৯. দুই টেবিল চামচ মধু এক টেবিল চামচ
বেকিং সোডার সাথে মিশিয়ে নিন। মুখে
বা শরীরে হালকা ভাবে ঘষে ঘষে লাগান।
কিছুক্ষণ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন। দেখবেন মুখ বা শরীরের ত্বক গভীর
থেকে পরিষ্কার হয়ে গেছে।
১০. মধুর অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ও
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান টিস্যু
পুনর্গঠন করে ত্বকরে কালো দাগ কমাতে
সাহায্য করে।
১১. এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ
নারকেল বা জলপাই তেল মিশিয়ে ত্বকের
ক্ষতচিহ্ন বা দাগের ওপর মালিশ করুন। এরপর
তোয়ালে বা কাপড় গরম করে ত্বকের ওপর
ধরে রাখুন ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত।
প্রতিদিন ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
১২. ত্বকের ব্রণ, লালচেভাব ও
জ্বালাপোড়ার স্থানে হালকা মধু লাগিয়ে
১০-১৫ মিনিট পর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন। মধুর অ্যান্টিফাঙ্গাল ও
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের
ব্রণ, লালচেভাব ও জ্বালাপোড়া কমাতে
সাহায্য করে।
১৩. এক কাপ গরম পানতি দুই টবেলি চামচ মধু
ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে এক বালতি
পানিতে ঢালুন। মধু মেশানো পানিতে গোসল
করলে ত্বক পরষ্কিার থাকবে এবং
ব্যাকটরেয়িা সংক্রমণের হাত থেকেও
রক্ষা পাবে ত্বক।
১৪. দুই টেবিল চামচ নারকেল তেলের সাথে
এক টেবিল চামচ মধুর ভালোভাবে মিশিয়ে
নিন। এই মিশ্রণ চুলে ভালোভাবে ঘষে ঘষে
লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর চুল
পরিষ্কার করুন। মধুর এনজাইম চুলকে উজ্জ্বল
করে আর মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাতে
সাহায্য করে।
১৫. মধু ও অ্যালোভেরা মিশিয়ে রোদে পুড়ে
যাওয়া ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে
ফেলুন। মধুর অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান
ত্বকের আদ্রতা ধরে রেখে পোড়াভাব
কমাতে সাহায্য করে।
১৬. প্রতিদিন সকাল খালিপেটে এক টেবিল
চামচ মধু খেলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও টানটান।
১৭. শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনারের সাথে
এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে চুলের নিচের
অংশে ভালোভাবে লাগান। কিছুক্ষণ পর
ধুয়ে ফেলনু। চুল হবে উজ্জ্বল ও রশমী কোমল।
১৮. মধু, আমন্ড অয়েল, গুঁড়ো দুধ ও লেবুর রস
পরিমাণমতো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫ মনিটি পর
ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্রণ ও ত্বকের কালোভাব
দূর করতে কাজ করে।
১৯. এক চামচ আমন্ড অয়েল ও এক চামচ মধু
মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। এটি ঠোঁট ফাঁটা
রোধ করে ও ঠোঁটকে রাখে কোমল, সতেজ।
২০. দুই টেবিল চামচ মধু, আধা চামচ চিনি ও
কয়েকফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্র্যাব
বানিয়ে নিন। এই স্ক্র্যাব ২-৩ মিনিট মুখে
লাগিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। তারপর
ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল হবে।
২১. প্রাকৃতিকভাবে চুল কালার বা হাইলাইট
করতে মধু দারুন কার্যকরী। মধুর সাথে
প্রয়োজনমতো টক দই মিশিয়ে নিন। এরপর
চুলের যে অংশ কালার বা হাইলাইট করেত
চান, সেখানে ভালোভাবে মিশ্রনটি
লাগিয়ে দুই ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। টানা এক
সপ্তাহ লাগালে প্রাকৃতিকভাবেই পাবেন
চুলের কালার বা হাইলাইটস।
২২. এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ
পানির সাথে পরিমাণমতো ময়দা নিয়ে
মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এই পেষ্ট মুখে
বিশেষ করে বলিরেখার জায়গায় লাগান।
শুকিয়ে গেলে সামান্য পানি নিয়ে
ভিজিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। এরপর
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত
ব্যবহারে মুখের বলিরেখা সম্পূর্ণ চলে
যাবে।
২৩. তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মধুর সাথে শসার
রস ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তুলার ব্রাশ
বানিয়ে মিশ্রনটি ভালোভাবে মুখে লাগান।
৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে
ফেললে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।
২৪. চালের গুড়ার সাথে মধু মিশিয়ে নিয়ে
ভালোভাবে মুখে লাগান। ত্বক শুকিয়ে
গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
সপ্তাহে দু’বার ব্যবহারে ত্বক হবে কোমল ও
ফর্সা।
২৫. মধুর সাথে টমেটোর রস মিশিয়ে মুখে
লাগালে ত্বক হবে কোমল ও মসৃন।
২৬. একটি আপেল ও এক টেবিল চামচ মধু
ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন।
এটি ত্বকের টোনার হিসেবে দারুন কাজ
করে। ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে
ফেললে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
২৭. শ্যাম্পুর সাথে এক টেবিল চামচ মধু
মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে স্বাভাবিকভাবেই
ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে নমনীয় ও
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
২৮. মধুর সাথে চিনি, পানি ও বেসন মিশিয়ে
ঘন পেষ্ট তৈরি করুন। এটি সাবান বা
ফেসওয়াশের পরিবর্তে ব্যবহার করতে
পারেন।
২৯. মধুর সাথে কমলার রস ও গোলাপ জ
মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের সতেজতা
ফিরে আসবে।
৩০. মধুর সাথে আপেল বা কমলার রস, একটু
মুলতানি মাটি ও টক দই মিশিয়ে নিন। এটি
ফেসপ্যাক হিসেবে দারুন কার্যকর।
৩১. নিমপাতা বাটার সাথে এক টেবিল চামচ
মধু মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। এটি
নিয়মিত ব্যবহারে মুখের ব্রণ ও কালো দাগ
সম্পূর্ণ চলে যায়।
৩২. এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল
চামচ মধু ও পরিমাণমতো লেবুর রস মিশিয়ে
নিন। এটি প্রতিদিন সকালে খালিপেটে
পান করলে মুখের ত্বক হবে কোমল, মসৃণ ও
উজ্জ্বল।
৩৩. এক টেবিল চামচ মধুর সাথে দুই চামচ
পাঁকা পেঁপের শাঁস, এক চামচ তরমুজের রস,
এক চামচ লেবুর রস, অর্ধেক ডিমের সাদা
অংশ মিশিয়ে নিন। এটি মুখ বা শরীরের
কালো হয়ে যাওয়া অংশে ঘষে ঘষে লাগান।
কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করলে ভালো ফল
পাবেন।
৩৪. চালের গুড়ার সাথে পরিমাণমতো
গোলাপ জল ও আধা টেবিল চামচ মধু
মিশিয়ে নিন। এটি ত্বকের ব্ল্যক হেডসের
ওপর ভালোভাবে ঘষে ঘষে লাগান। নিয়মিত
ব্যবহারে মুখের ব্ল্যক হেডসের সমস্যা দ্রুত
সমাধান হয়ে যাবে।
.
মধুর সাথে দাররচিনি থেরাপি
.
রোজ সকালে খালি পেটে আর রাতে শুতে
যাওয়ার আগে মধু আর দারুচিনি খেলে ওজন
নাকি কমবেই কমবে। এছাড়াও মধু আর দারচিনির
বিভিন্ন উপকারিতা আছে। আসুন
দেখিসেগুলোকী।
ভালো রাখে হার্ট :
মধু আর দারুচিনি গুঁড়ো একসঙ্গে ভালো করে
মিশিয়ে নিন। সকালের নাস্তার সময় মাখন বা
জ্যামের বদলে পাঁউরুটিতে মাখিয়ে খেতে
পারেন। রোজ এটা খেলে কোলেস্টেরল অনেকটা
কমে যাবে। ফলে কমবে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার
আশঙ্কা
বাই বাই বাত :
রোজ এক কাপ গরম পানিতে দু চামচ দারুচিনি
গুঁড়ো আর এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে অনেক
উপকার পাওয়া যায়। খালি পেটে এক সপ্তাহ
এটাখেয়ে দেখুন হাতে হাতে ফল পাবেন।
বেটার ব্লাডার :
দু চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো আর ১ চা চামচ মধু
হাল্কা গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে ব্লাডার
ইনফেকশনের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
সর্দির উপশমে :
ঠান্ডা লেগে সর্দি হলে ১ টেবিল চামচ হাল্কা
গরম মধু আর ১/৪ চামচ দারচিনি গুঁড়ো তিন দিন
অব্দি খেতে হবে। অনেকটা আরাম পাবেন আর
এটা খেতেও ফাটাফাটি।
গ্যাস‚ অম্বল গলা-বুক জ্বালা :
শুধু তাই নয় পেট খারাপেরও অব্যর্থ ওষুধ মধু আর
দারুচিনি গুঁড়ো। রোজ খেলে পেটের ব্যথা সেরে
যায় আর পেটের আলসারও নির্মূল করে। এ ছাড়াও
গ্যাস থেকে সাথে সাথে আরাম দেয়।|
ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি :
নিয়মিত মধু আর দারচিনি শরীরকে বিভিন্ন
ব্যাকটেরিয়া আর জীবাণুর হাত থেকে বাঁচায় |
বদহজম :
খাবার আগে কিছুটা দারচিনি পাউডার দুই চামচ
মধু দিয়ে খেলে বদহজম আর অ্যাসিডিটির হাত
থেকে মিলবে রেহাই।
গলার ব্যথা :
ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা হলে কিছুক্ষণ পরে পরে
এক চামচ করে মধু পান করুন। দেখবেন ঠিক হয়ে
গেছে।
পিম্পেল আর স্কিন ডিসিজের জন্য :
তিন টেবিল চামচ মধু আর এক চা চামচ দারচিনি
গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে ঘুমোতে যাওয়ার আগে
পিম্পলের ওপর লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে গরম
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দুই সপ্তাহের জন্য রোজ
ফলো করুন এই রুটিন। আর কেউ দাগী বলবে না।
সম পরিমাণে মধু আর দারুচিনি গুঁড়ো একসঙ্গে
মিশিয়ে একজিমা বা অন্য যেকোনো স্কিন
ডিসিজে লাগাতে পারেন। উপকার পাবেন।
.
বিজ্ঞানীদের গবেষণায় মধু
সম্প্রতি অষ্ট্রেলিয়ার ও যুক্তরাষ্ট্রের একদল
বিজ্ঞানী গবেষণা করে দেখেছেন , মধুর মধ্যে
এমন কিছু রাসায়নিক রয়েছে যেগুলো জিন
সক্রিয়করণ আর নিষ্ক্রিয়করণে সরাসরি ভূমিকা
রাখতে পারে। মস্তিষ্কে মধুর মধ্যে থাকা
রাসায়নিকের রয়েছে বিভিন্ন প্রভাব। এই
প্রভাবের মধ্যে রয়েছে নিউরোসার্কিটে
পরিবর্তন , নিউরোট্রান্সমিটারকে
নিষ্ক্রিয়করণসহ নানারকম কার্যক্রম।
তাই মধু নিয়ে নতুন করে নড়েচড়ে বসেছেন
বিজ্ঞানীরা। তারা পুরনো তথ্যগুলোকেও নতুন
গবেষণার
আলোকে নিয়ে আসছেন। লিখেছেন শিব রঞ্জন
দত্ত
সম্প্রতি অষ্ট্রেলিয়ার ও যুক্তরাষ্ট্রের একদল
বিজ্ঞানী গবেষণা করে দেখেছেন , মধুর
মধ্যে এমন কিছু রাসায়নিক রয়েছে যেগুলো
জিন সক্রিয়করণ আর নিষ্ক্রিয়করণে সরাসরি
ভূমিকা রাখতে পারে। মস্তিষ্কে মধুর মধ্যে
থাকা রাসায়নিকের রয়েছে বিভিন্ন প্রভাব।
এই প্রভাবের মধ্যে রয়েছে নিউরোসার্কিটে
পরিবর্তন , নিউরোট্রান্সমিটারকে
নিষ্ক্রিয়করণসহ নানারকম কার্যক্রম। তাই মধু
নিয়ে নতুন করে নড়েচড়ে বসেছেন
বিজ্ঞানীরা। তারা পুরনো তথ্যগুলোকেও নতুন
গবেষণার আলোকে নিয়ে আসছেন।
এর আগে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন মধু থেকে
অতি মূল্যবান ভ্যাকসিন তৈরির সম্ভাবনা
রয়েছে। মধু তৈরির সময় মৌমাছি
প্রোটিনকে ঘনীভূত করে। প্রোটিন ঘনীভূত
করার প্রক্রিয়াটি অতীব সহজ হলেও
গবেষকদের কাছে ভাবিয়ে তোলার মতো
বিষয়। ঘনীভূত প্রোটিন যাতে সংরক্ষিত
থাকে তার জন্য একইসঙ্গে তৈরি হয় সঠিক
মাত্রার চিনি। বাস্তবে প্রোটিনকে,
শীতলীকরণ প্রক্রিয়া ছাড়া সংরক্ষণ করা
সম্ভব নয় অথচ মধুর চিনি মধুকে শীতল স্থানে
না রেখেও সংরক্ষণ করতে পারে। এবং তারা
খুঁজে বেড়ায় নিষ্ক্রিয় প্রোটিনকে,
প্রোটিন নিষ্কিয় হলে তাকে সক্রিয় করে
তোলে।
অপরাজিতা গোত্রের উদ্ভিদের নির্যাস থেকে
একটি ভ্যাকসিন তৈরি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে,
যা কুকুরকে আক্রমণাসম্ভী পারভো ভাইরাসের
প্রতিষেধকের কাজ করবে।
কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার্লি আনটজেন বলেন,
মধু ও উদ্ভিদের সাহায্যে তৈরি এ ভ্যাকসিন হবে
আলোড়ন সৃষ্টিকারী এক ঘটনা।
হয়তো বহু জটিল রোগের চিকিৎসা বাতলে দেবে
মধু। মধু থেকে তৈরি হাইমেনোকেম জীবকোষের
ইমিউনিটির অনরষরঃু ড়ভ ধহ ড়ৎমধহরংস ঃড়
ৎবংরংঃ ধ ংঢ়বপরভরপ রহভবপঃরধহ, ঃড়ীরহ,
(রোগ
প্রতিরোধের সামর্থ্য বিকাশে আলোড়ন
সৃষ্টিকারী ভূমিকা রাখারসমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
যেমন :
০ দুর্ঘটনার ক্ষত সাধারণ চিকিৎসার চেয়ে ২ ভাগ
থেকে ৪৮ ভাগ কম সময়ে নিরাময়ের ক্ষমতা
রাখে।
সেকেন্ডারি ইনফেকশনের ভয় থাকে না।
০ বি-ভাইরাসে আক্রান্ত হেপাটাইটিস,
রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস (বাতজ্বর), হাঁপানি,
অ্যালর্জি, সাইনোসাইটিস, থ্রুসিস (রক্ত
সঞ্চালন বা জমাটবাঁধা রোগ), ম্যালেরিয়া,
টাইফয়েড, ডায়রিয়া, হাম-
বসন্ত, ক্যান্সার বা টিউমার, একজিমা,
এইচআইভি ভাইরাস ইত্যাদির বিরুদ্ধে রোগ
প্রতিরোধের শক্তি অচিরেই হাইসেনোকেম
জাগিয়ে তুলবে বলে আশা করা যায়।
মধুচন্দ্রিমা বা হানিমুন : আজ যে মধুচন্দ্রিমা বা
হানিমুনের বহুল প্রচলন, এর সূত্র কিন্তু সুদূর
অতীতের ফরাসি প্রথায়। এ প্রথানুযায়ী বিয়ের
পর নববিবাহিত দম্পতিদের একটি নির্দিষ্ট সময়ে
একাধারে
ত্রিশ দিন চাঁদের দিকে তাকিয়ে মধুপান করতে
হতো। এতেই বোঝা যায় মধুর যৌবন সুধা নামের
সার্থকতা কতটুকু।
মধুর প্রকার ভেদ : (১) স্ফটিকীকৃত মধু :
গ্লুকোজের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে যা
মনোহাইড্রেট
হিসেবে স্ফটিক রূপ পায়। একে দানাকৃত মধুও
বলে। এই মধুকে গৃহে গরম জলে ১২০ক্কঋ
(৪৯ক্কঈ)
তাপমাত্রায় নেড়ে তরল করা হয়।
(২) পাস্তরিত মধু : পাস্তরিত করা হয় ১৬০ক্কঋ
(৭১.৭ক্কঈ) তাপমাত্রায়। এতে ঈস্ট কোষ ধ্বংস
হয়।
এতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র স্ফটিক দ্রবীভূত হয়। কিন্তু
তাপমাত্রা বেশি হলে মন্দ ফল হতে পারে। কারণ
যরফৎড়ীুসবঃযুষভঁৎভঁৎধষ বেড়ে যেতে পারে এবং
এনজাই ডায়াস্টেজের ক্রিয়া কমে যেতে পারে।
স্বাদ, গন্ধ বা সুরভীর ওপর তাপের প্রতিক্রিয়া
আছে। অন্ধকার হলে মধুর প্রাকৃতিক শীতলকারক।
(৩) র (জধ)ি মধু : চাকে মধু যেমনটি থাকে সেরূপ।
তবে অতি সামান্য কারিগরি পদ্ধতি অবলম্বন
করেও
র মধু বিক্রি হয়। এই মধুতে পরাগ রেণু ও মোম
থাকে। এই মধু এলার্জি ও হে ফিবারের কারণ হতে
পারে।
(৪) রঞ্জিত মধু : মোম, চৎড়ঢ়ষরং ও অন্যান্য
দ্রব্যসহ সে মধু পাওয়া যায়। তবে পরাগ, খনিজ ও
এনজাইম
দূর করা হয় না।
(৫) ছাকা মধু : সূক্ষ্ম কথা, পরাগ, অন্যান্য দ্রব্য
যা মধুতে ভাসমান থাকে ইত্যাদি থেকে দূর করা
হয়।
এ প্রক্রিয়ায় মধুকে ১৫০- ১৭০ক্কঋ
(৬৫-৭৭ক্কঈ) তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করা হয়। এ
মধু সহজে দানা হয় না।
সুপার মার্কেটে এই রূপে খুব বিক্রিয় হয়।
(৬) আল্ট্রাসেমিকেটেট মধু : এটা তাপবিহীন
প্রক্রিয়ায় পাওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে ঈস্ট কোষ
ধ্বংস
হয়। এই কোষগুলো গাজনের জন্য দায়ী। এই
পদ্ধতিতে জল দূরীভূত হয় এবং মধুর স্ফটিকীকরণ
প্রতিহত
হয়।
(৭) চটকানো মধু : একে মাখন মধু, স্পান মধু, চার্নড
মধু, মিছরি মধু, মিঠাই মধু (ভড়ৎফধহঃ), সেট মধু
(ংবঃ) বলা হয়। এ মধুতে স্ফটিকীকরণ নিয়ন্ত্রিত
থাকে। এর পরও এ মধুতে অনেক স্ফটিক থাকে।
এই
স্ফটিক বড় স্ফটিক হতে বাধা দেয়।
(৮) শুকনো মধু : এই মধু শক্ত আঠালো নয় এবং
দানাময়। এই মধু খাদ্য সাজাতে ব্যবহার করা হয়।
(৯) চাক মধু (পড়সং) : চাকের মোমসহ মধু। এই মধু
কাঠের পাত্রে থাকে। এটা পঁঃ পড়সন যড়হবু নামে
পরিচিত।
(১০) পযঁহশ মধু : বড় মুখযুক্ত পাত্রে এ মধু রাখা
হয়। এতে চাকের টুকরা নির্যাসসহ নিমজ্জিত
থাকে।
কিছু তথ্য : ০ মধুতে অধিকাংশ অনুবীজ জন্মাতে
পারে না কারণ এতে বিদ্যমান জলের নিম্ন
ক্রিয়াশীলতা, ০ এর পরও মধুতে সুপ্ত
ব্যাক্টেরিয়া যেমন ঈষড়ংঃৎরফরঁস নড়ঃধষরহঁস
থাকতে পারে
যা ঞড়ীরহ উৎপন্নকারী ব্যাক্টেরিয়ায়
রূপান্তরিত হয়ে শিশুর মৃত্যু ঘটাতে পারে। সুতরাং
প্রশিক্ষণবিহীন লোক হতে মধু সংগ্রহ করতে
নেই। ০ মৌমাছি প্রাকৃতিক ঈস্ট ব্যবহার করে
গাজন
প্রতিরোধ করার জন্য। ০ সাধারণ তাপমাত্রায়
তরলে যতটুকু চিনি থাকতে পারে মধুতে তার চেয়ে
অনেক বেশি চিনি থাকে। মধু হলো অতি সম্পৃক্ত
তরণ। ০ সাধারণ মাত্রায় মধু অতিশীতল তরল, ০
বিদ্যুৎ
পরিবাহিতা দিয়ে মধুর শ্রেণী বিভাগ করা যায়, ০
আলো দিয়ে মধুর ধরন, গুণ বিচার করা হয়, ০
প্রতিসারঙ্ক (জবভৎধপঃরাব ঁহফবী) দিয়ে মধুর
শ্রেণী বিভাগ করা যায়, যার সীমা ১.৫০৪ যা ১৩%
আর্দ্রতায় ১.৪৭৪ যা ২৫% আর্দ্রতায়, ০ মধুর
ঢ়ড়ষধৎরুধঃরড়হ প্রতিক্রিয়া আছে। ফ্রুক্টোজ
ঢ়ড়ষধৎরুধঃরড়হ তলকে ঋণাত্মক দিকে ঘুড়ায়,
যেখানে গ্লুকোজ ঘুড়ায় ধনাত্মক তলে, ০ মধু
বাতাস হতে
আর্দ্রতা শোষণ করে। আবদ্ধ পাত্রের গাজন রোধ
করার জন্য মধু ব্যবহার করা হয়। ০ সংরক্ষণ
প্রক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে মধু দশ বছর এমনকি
একশত বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ সম্ভব, ০ মধু উত্তম
এন্টি
অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য, ০ ঘা, ক্ষত, দুষ্টক্ষত
(ঁষপবৎ), সংক্রামক রোগ ইত্যাদি নিরাময় করে-
বিষয়টি
নেতৃত্ব দানকারী সংস্থাগুলোর গবেষণা দ্বারা
সমর্থিত, ০ মধু প্রাকৃতিক প্রতিষেধক, ০ পেশীর
ক্লান্তি দূর করে, কার্যসম্পাদনের জন্য
তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে, ০ অন্যান্য চিনির
চেয়ে মধু
চিনির মাত্রার স্তর ঠিক রাখে সুন্দরভাবে, ০
কাজ শুরু করার পূর্বেই এক চামচ মধু পান করা
ভালো, ০
যদি সকালে নিন্দ্রালঘু ভাব আসে টোস্টের ওপর
মধু ছড়িয়ে খেয়ে নাও, চায়ে চিনির বদলে মধুনাও,

কিশোর শিক্ষার্থীদের স্যান্ডউইচে মধু মিশিয়ে
দিন এতে ওরা বো বো ঘুড়ার শক্তি পাবে, ০
শিক্ষার্থীদের জলের বোতলে মধু মিশিয়ে দিন,
ওরা মধুর গুণ বোঝে না কিন্তু স্বাদ বোঝে, ০
অর্ধেক লেবু ও মধু দিয়ে সরবত পান কর, এতে
ওজন কমবে,
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×