ছবিঃ গুগল মামা থেকে নেওয়া।
ধর্ম নিয়ে প্রতিনয়ত বিতর্ক চলছেই। অনেক সময় বিতর্ক খুবই খারাপ এবং হিস্রতার দিকে চলে যায়। একে অন্যকে গাল মন্দ করে। যতটা খারাপ শব্দ পারে ব্যবহার করে। এই লেখাটা পড়ার পর আমার খুবই ভাল লাগে। বেশ তথ্যবহুল এবং পরামর্শমূলক। তাই আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি এই পরামর্শ আমাদের কাজে আসবে। (লেখাটা সংগ্রহকৃত)
বিশ্বে চার হাজারের বেশী ধর্ম আছে। আমেরিকায় রন হুবার্ট নামক এক ব্যাক্তি ১৯৫৩ সালে "সাইন্টোলজি" নামক একটি ধর্ম উদ্ভব করে। সারা বিশ্বে এই ধর্মের ৩০ হাজার অনুসারী আছে। ভারতের রজনিস নামক এক ব্যাক্তি ১৯৭৪ সালে "ওশো" নামক একটি ধর্ম উদ্ভব করে। এই ধর্মের দুই লক্ষ অনুসারী আছে।
আরো আছে। কোকা-কোলা, জঙ্গলের উপজাতিদের জন্য একটি নতুন ধর্ম বানিয়ে দিয়েছে। ওই ধর্মে, পুজা করতে কোকা-কোলা ব্যাবহার করা হয়। এটা আসলে ছিলো একটি অভিনব প্রচার কৌশল। এটা দেখে, পেপসি কোম্পানীও অন্য উপজাতীদের জন্য ধর্ম বানিয়ে দিয়েছে। এসব ধর্ম বেশীদিন চালানোর উদ্দেশ্য ছিলো না। এসব ধর্ম কেউ চিনেও না। তবে মজার ব্যাপার, কোকা-কোলা ও পেপসি, উভয়েই ধর্ম বানিয়েছে।
আমার স্বল্প যোগ্যতায়, আমি নিজেও একটি ধর্ম বানাতে পারবো। হয়তো মাত্র কয়েকজন অনুসারী হবে, তবে সেই ধর্মের, ঈশ্বর, ধর্মগ্রন্থ, পুজা, সবই থাকবে।
ইচ্ছা হলে, আপনিও একটি ধর্ম বানাতে পারেন।
মাত্র ৫০-৬০ বছর আগে, রন হুবার্ট, রজনিস, এরা নতুন দুটি ধর্ম উদ্ভব করেছিল। আড়াই হাজার বছর আগে, গৌতম বুদ্ধ এমন এক ধর্ম উদ্ভব করেছিল। সেটাকে আমরা "বৌদ্ধ" ধর্ম বলে জানি। মানুষ যুগে যুগে এমন ইচ্ছামতন ধর্ম বানিয়েই, হাজার ধরনের ধর্ম হয়ে গেছে।
মানুষকে এমন বানানো ধর্ম থেকে দূরে রাখার জন্য সর্বশক্তিমান, সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, যুগে যুগে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন, যুগে যুগে মানুষের মধ্য থেকে একজনকে বাছাই করে, তাকে দিয়ে সত্য উপাস্যকে চিনিয়েছেন।
এবার আপনি খুজে বের করবেন, সত্য সৃষ্টিকর্তার সেই সত্য নির্দেশনা কোনটি।
এর জন্য বেশী কিছু করতে হবে না। শুধু প্রধান ধর্মগ্রন্থগুলো পড়ুন। লোকসংখ্যার ভিত্তিতে ধর্মগুলো হলো ……
খ্রিস্টান - ৩০% ।। ইসলাম - ২৫% ।। হিন্দু - ১৫% ।। বৌদ্ধ - ৫% ।। অন্যান্য - ১০% ।। নাস্তিক - ১৫%
বিভিন্ন ধর্মের এই শতকরা হিসাব দেখে বোঝা যায়, সবচেয়ে বেশী মানুষ (৭০%) এই তিনটি ধর্ম অনুসরন করে - খ্রিস্টান, ইসলাম ও হিন্দু। এই তিনটি ধর্মের ধর্মগ্রন্থগুলো পড়লেই হবে।
না, কস্ট করে পুরো ধর্মগ্রন্থ পড়তে হবে না। মাত্র দশটি পৃষ্ঠা পড়ুন। বাইবেল, কোরআন ও বেদ, প্রতিটি বই থেকে মাত্র দশটি পৃষ্ঠা পড়ুন। কোন বইটি সত্য সৃষ্টিকর্তার নির্দেশনা, সেটা আপনি নিজেই বুঝবেন।
অন্যের শেখানো কথা মুখস্ত না করে, নিজে পড়ুন। নিজেই সত্য ধর্ম চিনুন।
*** বিঃদ্রঃ দয়া করে কেউ এখানে বিতর্ক, ঝগড়া, একে অন্যকে মন্দ কথা বলা থেকে বিরত থাকি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০০