somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কালে কালে অকালপক্কতা

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





মা-বাবাদের যুগে অকালপক্কতার সীমানা ছিল মা, চাচীর আচারের বয়াম, মুড়ি মুড়কির কৌটা বা পড়শীর আম, কাঁঠালের গাছ আবধি।আমাদের কালে এসে ঠেকেছিল বাজারের টাকা মেরে চুরি করে সিনেমা হল পর্যন্ত।

আর এখন !!
কয়েক বছর আগে ফার্মগেট থেকে হলিক্রস কলেজের রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম। আমার কিছুটা সামনে ১০-১৪ বৎেসরের একদল কিশোর রাস্তায় উশৃঙ্খল আচরণ করতে করতে কোথাও চলল। দলের পাশ দিয়ে এক রিক্সায় যাচ্ছিল এক যুগল। কিশোরদের কেউ একজন মেয়েটির ওড়না ধরে টান দেয়ায় সাথে থাকা ছেলেটি প্রতিবাদ করে কিছু একটা বলল। সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দিক থেকে কিশোরগুলো ছেলেটিকে শারিরীক ভাবে লান্ছিত করা শুরু করলো। একবার মনে করলাম প্রতিবাদ করি, কিন্তু বুঝলাম এখানে প্রতিবাদ করা মানে শুধু নিজের লাঞ্ছনা ডেকে আনা। বাধ্য হয়ে চুপ করে থাকলাম। সে সময় প্রায় দুই যুগ আগে ইত্তেফাক পত্রিকায় পড়া একটা উপসম্পাদকীয় এর কথা মনে পড়লো। এত দিন পরে উপসম্পাদকীয়টি কে লিখেছিলেন মনে নেই। তবে লেখাটির মর্মার্থ আজ মর্মে মর্মে উপলদ্ধি করলাম।

উপসম্পদকীয় এর মূল বিষয়টি ছিল বুড়িগঙ্গার তীরে একটি মরা ডলফিন ভেসে উঠা নিয়ে। সংবাদ পেয়ে লেখক গেছিলেন ডলফিনটি দেখতে। যাওয়ার পর দেখা গেল মৃত ডলফিনের উপর ১০-১২ বছরের একটি ছেলে উঠে ছুরি দিয়ে পেট ফাড়ছে। কৌতুহল বশতঃ লেখক ছেলেটিকে মৃত ডলফিনের পেট ফাড়ার কারণ জিজ্ঞাসা করায় ছেলেটি উত্তরে জানায় , সে শুনেছে ডলফিনের পেটে তেল পা্ওয়া যায় এবং সেই তেল অনেক দামে বিক্রী হয়।

এ বিষয়টি শোনার পর লেখক কিছুটা বিস্মিত হয়ে তাঁর উপসম্পাদকীয়তে বলেন- ”বোধ করি আমাদের কিশোর বেলায় এ রকম একটি মরা ডলফিন নিকটে কোথা্ও ভাসিয়া উঠিলে আমাদের মাতারা উহার ভয় দেখাইয়া আমাদের ঘুম পাড়াইতে পারিতেন। কিন্ত বর্তমান যুগের কিশোররা ইহাকে যে শুধু ভয় পায় না তাহা নহে ইহার মধ্যে যে অর্থকরী দিক রহিয়াছে তাহাও বুঝিয়া গিয়াছে। এর পরিণাম যে কি হইবে বলা মুশকিল।”

সেই সব কিশোরদের অকালপক্কতা কালে কালে কৃতি নেতাদের পরচর্যায় আজ কিশোর গ্যাং এ রূপান্তরিত হয়েছে। এখন এলাকার আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যাবসা, চাঁদাবাজী বা খুনের মতো কাজে নেতাদের অন্যতম ভরসা কিশোর গ্যাং।

*** ছবিসুত্রঃ Shutterstock + Photoshop
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২২
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×