সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলে সচিব কমিটির সুপারিশ অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরকমই নিউজ দিচ্ছে দৈনিক ইত্তেফাক। কোটি, ছাত্র, যুবক , চাকরি প্রত্যাশীদের প্রাণের দাবি কোটা সংস্কার। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গত 11 এপ্রিল সংসদে দেয়া ভাষণে সকল ধরনের কোটা বাতিলের ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা শুনে সবাই আশ্বস্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন।
কিন্তু এরপর ঘটে গেছে নানা অপ্রত্যাশিত ঘটনা। প্রধানমন্ত্রীর উল্টো মত কাঁদিয়েছে আমাদেরকে। তবে কি আমাদের সকলের প্রাণের দাবি টি কয়েকজনের হাড় ভাঙ্গার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে?
অবশেষে আশার আলো জেগেছে কোটা সংস্কারের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের খবরে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে 1 অক্টোবর পর্যন্ত। এই তারিখে আশা করা যাচ্ছে প্রস্তাবটি সংসদে উঠবে। আর সংসদে পাস হলে, কোটা সংস্কার গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে। মুক্তি মিলবে বিশ্বাসঘাতকতার দায় থেকে।
তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত সম্ভবত আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ 30% মুক্তিযোদ্ধা কোটা আগের মতোই বহাল থাকবে। অর্থাৎ মেধাবীরা পাচ্ছে 70%।
যাই হোক, এটা মন্দের ভালো হবে কিনা বুঝতে পারছি না।
তবে কোটা থাক বা না থাক, শত শত বেকার কিন্তু থাকবেই। প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরি দেয়ায় কয় জনেরই বা চাকরি মিলবে? বাকিরা আগের মতই হতাশাই থাকবে! ঘুরে ফিরবে একটি চাকরির জন্য! চাকরি তখনও সোনার হরিণই হয়েই থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩২