কারো কারো ব্লগ পোস্ট পড়ে খুবই আনন্দিত হই। আবার কারো কারো ব্লগ পোস্টে মিটে জ্ঞানের খোরাক। কিন্তু কিছু পোস্টে খারাপ লাগা ছাড়া আর কোন লাভ হয় না।
ব্লগে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবারই রয়েছে। তাই যার যার মত অনুসারে ব্লগারগণ লিখবেন। কিন্তু অহেতুক সমালোচনা সত্যিই বেদনাদায়ক।
বর্তমানে রাজনীতির অপর নাম সমালোচনা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, প্রতিপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করা ইত্যাদি ইত্যাদি। এক পক্ষ আরেক পক্ষ কে হেয় করতে পারাটা বোধ হয় পৃথিবীতে তাদের সবচেয়ে সুখের বিষয়। বছরের পর বছর ধরে এসব চলছে তো চলছে ই।ফেসবুক, টুইটার, ব্লগ ইউটিউব এমন কোন জায়গা নেই যেখানে এগুলো নেই। সমালোচনা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। কে কতটা সফল ভাবে প্রতিপক্ষকে হেয় করতে পারছে তার ওপর পুরস্কারের ব্যবস্থা করলে কেমন হয়?
কারো সম্পর্কে সমালোচনা করার মূলনীতি থাকা দরকার।
প্রথমত মনের উদ্দেশ্য ঠিক হওয়া দরকার।যেই বিষয়টা ক্লিয়ার হতে হবে সেটা হলো আমি মানুষের দোষ ত্রুটি আলোচনা করছি মানুষকে সতর্ক করার জন্য। নাকি নিজের প্রতিহিংসা কায়েম করার জন্য। যদি দ্বিতীয় টি হয় তবে অবশ্যই এ ধরনের সমালোচনা বন্ধ করতে হবে। এগুলো মানুষের ক্ষতি করা ছাড়া আর কোন লাভ করতে পারবে না।
দ্বিতীয়তঃ যার যতটুকু দোষ ত্রুটি ঠিক ততটুকুই বলা। ইনিয়ে বিনিয়ে বাড়তি না বলা। আর অবশ্যই নিজের দোষ-ত্রুটির দিকে চিন্তা করা। নিজের দিকে চিন্তা করলে অবশ্যই সতর্ক ভাবে সমালোচনা করা সম্ভব।
তৃতীয়তঃ তার ভাল গুন গুলো উল্লেখ করা। কারন দোষ ত্রুটি বললে তার ভালো গুণগুলো ঢেকে ফেলার একটা প্রবণতা থাকে। এ প্রবণতা দূর ও নিজের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য অবশ্যই তার ভাল গুন গুলো উল্লেখ করা দরকার।
কিন্তু পথে-ঘাটে, চায়ের দোকানে, টেলিভিশনে,রাজনীতির মাঠে , এমনকি আমাদের সামু ব্লগে সমালোচনার নীতি রক্ষিত হয় না। অবশ্য কেউ কেউ আলহামদুলিল্লাহ এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন।কিন্তু কারো কারো পোস্ট অহেতুক সমালোচনায় ভর্তি। এগুলো পড়ে কষ্ট পাওয়া ছাড়া আর কোন লাভ খুঁজে পাই না।