শিক্ষকদের আন্দোলন যোক্তিক তবে তা ছাত্রদের জিম্মি করে নয়।........
তবে বাস্তব কথা হলো আমাদের এই সমাজ শিক্ষক সহ কোন গুনি মানুষকে সম্মান দিতে জানেনা। এ জাতির জন্য দুর্ভাগ্য শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করতে হয়। ধিক এ জাতিকে। ছোট বেলায় বাদশা আলমগীরের কাহিনী পড়েছিলাম। জেনেছিলাম বাদশা আলমগীর শিক্ষকদের কিভাবে মর্যাদা দিয়েছিলেন। নিজ সন্তানকে শিখিয়েছিলেন কিভাবে শিক্ষককে সম্মান করতে হয়। আর আমরা শিক্ষকের গায়ে হাত তুলতে দ্বিধা করি না। প্রধানমন্ত্রী বললেন বিসিএস দিয়ে তারা যেন শিক্ষকতা ছেড়ে সচিব হন। সত্যিই বাঙালী কোনদিন মানুষ হতে পারবেনা। কাকে কতটুকু সম্মান দিতে হয় বেত মেরে বাঙালীকে এখন শেখাতে হবে।
....আর একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম কিছু ছাত্র শিক্ষকদের প্রচণ্ড সমালোচনা করছে, যানা তাই বলে গালাগালি করছে। লজ্জা,ধিক তোমাদের মতো ছাত্রের জন্য। আমি জানিনা এদের বাবা-মা কি বাদশা আলমগীরের মতো এদের শিক্ষা দিতে পারে নাই নাকি এরা উচ্ছিষ্ট প্রজন্ম।
.... প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই মুক্তিযুদ্ধের সময় এই শিক্ষকরাই তো নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিল। আর তৎকালীন সচিব কিংবা সরকারি কর্মকর্তাগন পাকি সরকারকে হুজুর হুজুর করা গেছে। "একটা ছাত্রের গায়ে গুলি লাগার আগে যেন সেই গুলি আমার বুকে লাগে" ড.জোহার কথা কি বাঙালী জাতি ভুলে গেলো। গুলি সেদিন ড.জোহার বুকেই বিধেছিলো তবুও কোন ছাত্রের গায়ে আচড় পর্যন্ত লাগতে দেন নাই । বড় স্বার্থপর আমরা।
.... এই সচিবদের কারা তৈরী করছে? উত্তর চাই ।।
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর এই মেরুদন্ড যারা তৈরী করেন আমরা তাদেরকে সম্মান দিচ্ছিনা, জানিনা এই মেরুদন্ড আদৌ টিকবে কিনা ।
.... তবে ছাত্রদের জিম্মি করে আন্দোলন কতটা যোক্তিক তা শিক্ষকদেরই বিবেচনা করতে হবে ।
.... বেতন নয় শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি কর।
.... শিক্ষকরাই জাতির অভিভাবক।