কুষ্টিয়া জেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে পদ্মার পাড়ে, শিলাইদহে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত “কুঠিবাড়ি”
রবীন্দ্রনাথের দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৭ সালে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ অঞ্চলে জমিদারি পাওয়ার পর ১৮৮৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে জমিদার হয়ে আসেন। ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারী পরিচালনা করেন। এ সময় কুঠিবাড়ি ও পদ্ম বোটে বসেই রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন ‘সোনার তরী’, ‘শৈশব সন্ধ্যা’, ‘উর্বশী’, ‘দিন শেষে’, ‘দুই বোন’, ‘আবেদন’, ‘মানস সুন্দরী’, ‘নববর্ষা’, ‘আষাঢ়’, ‘বিরহ’, ‘পথ চাওয়া’, ‘মিলন’, ‘বিচ্ছেদ’, ‘উপহার’ প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ। নাটকের মধ্যে ‘চিরকুমার সভা’, ‘গোড়ায় গলদ’ (প্রহসন), ‘চিত্রাঙ্গদা’, ‘রাজা’, ‘অচলায়তন’। ছোটগল্পের মধ্যে ‘কঙ্কাল’, ‘শান্তি’, ‘সমাপ্তি’, ‘ফেল’, ‘শুভদৃষ্টি’ ও ‘নষ্টনীড়’। এ ছাড়া কবি শিলাইদহে অসংখ্য গান লিখেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘আমার এই পথ চাওয়াতে’, ‘কে গো বিদেশি’, ‘তুমি একটু কেবল বসতে দিয়ো কাছে’, ‘এবার তোরা আমার যাবার বেলাতে’, ‘যদি জানতেম আমার কীসের ব্যথা’ ইত্যাদি।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৪