somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

এমজেডএফ
পেশা ব্যবসা ও চাকরি। জ্ঞানভিত্তিক জীবনদর্শনে বিশ্বাসী। নির্জনে ও নীরবে প্রকৃতির নৈসর্গিক রূপ উপভোগ করতে ভালোবাসি। বই পড়তে, ভ্রমণ করতে, একলা চলতে এবং জটিল চরিত্রের মানুষ থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করি। –এম. জেড. ফারুক

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল হয়নি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ নির্মম আচরণের মাধ্যমে বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি নির্মমতার চিত্র উঠে এসেছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কোনো চেষ্টাই করেনি পুলিশ। ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, হাজারো শিক্ষার্থী, এমন কী শিক্ষকরাও পুলিশের বর্বর আচরণের শিকার হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করা হয় এবং তাদেরকে নির্বিচারে আটক ও গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকটি ক্যাম্পাসে ইহুদি ছাত্র সংঘটনও ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভে হামলা করেছে।

গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের লেবাসধারী যুক্তরাষ্ট্রর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রবিক্ষোভে পুলিশী হামলার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর কিছু চিত্র ও সংবাদ সংক্ষেপ:

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথের বাইরে বিক্ষোভকারীদের ওপর নজর রাখছে পুলিশ। ছবি: রয়টার্স

এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করছেন পুলিশের সদস্যরা। ছবি: এএফপি

নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের মুখোমুখী বিক্ষাওভকারী শিক্ষার্থীরা। ছবি: এএফপি

সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ। ছবি: রয়টার্স

টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করছেন পুলিশের সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স

উপরোক্ত ছবিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার কলঙ্কজনক নমুনা!

এই যুক্তরাষ্ট্র আবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার চবক দেয়। এইসব চবক শুনে আবার এই দেশের কিছু তথাকথিত সুশীল পাছার কাপড় তুলে নাচে। বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের চবকের কিছু উদাহরণ বিভিন্ন পত্রিকা থেকে হুবহু তুলে ধরলাম:

শ্রমিকদের উপর দমন-পীড়নে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
বাংলাদেশে সহিংস পন্থায় শ্রমিক আন্দোলন দমনে নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে বাংলাদেশে শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর বিরুদ্ধে চলমান দমন-পীড়ন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন পীড়নে উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের
অথচ কয়দিন পরপর দেখা যায় বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন ও রাজনৈতিক সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ওয়াশিংটনে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলার বলেন, "আমরা সপ্তাহান্তের রাজনৈতিক বিক্ষোভকে ঘিরে বাংলাদেশে দমন-পীড়ন ও রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্র এসব সহিংসতার পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে এবং জড়িত অপরাধীদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যেন শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে পারে এবং তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে, সে জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনকে সম্মান করতে এবং সহিংসতা, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের মতো কাজ থেকে বিরত থাকতে আমরা সব পক্ষকে আহ্বান জানাই।"

বাংলাদেশে হিরো আলমের মতো একজন বিকৃত রুচির মানুষকে একটা চড়-তাপ্পড় মারলে পশ্চিমা দেশগুলোর দৃষ্টিতে মানবাধিকার ভূলুন্ঠিত হয়ে যায়, আর গাজায় হাজার হাজার নীরিহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করলেও মানবাধিকারের ঘুম ভাঙে না! যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর এই দুইমূখী নীতির জন্য এদের কোনো লজ্জা নেই। এই ব্যাপারে প্রশ্ন করলে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকেরা বলেন, "আমরা সব সময় সব পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিই।" আর আমাদের দেশের কিছু নব্য রাজাকার যারা নিজের দেশের চেয়ে পাকিস্তানের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয় তারা বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে ভুলবাল তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রতিদিন ধর্না দেয়।

সূত্র: দেশ-বিদেশের সংবাদপত্র



সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৫
১০টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×