somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এ গল্প আমার না (গল্প)

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার নাম অভ্র । সবসময় আমি নিজেকে নিয়ে গল্প বলি । নিজের সম্পর্কে বলি । আজকেও বলব । তবে আজকের গল্পে আমার চেয়েও অন্য একজন বেশি গুরুত্বপূর্ণ । তাই আজকের গল্পটা তার । আমিও থাকব । কিন্তু সেটা গল্পের খাতিরে, থাকতে হবে বলে ।
আজকে যার গল্প বলব তার সাথে আমার পরিচয় ফেসবুকে প্রায় তিন মাস আগে থেকে । আইডি ছিল লাল অপরাজিতা । আমাকে নিয়ে লেখা আমার বন্ধুর একটা গল্পে এই ভালোবাসার ডাকপিয়ন পেইজেই তার সাথে প্রথম কথা হয় । সে কমেন্ট করেছিল । ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায় আমাকে । এক্সেপ্ট করলাম । অনেক বেশি ফ্রী মাইন্ডের একটা মেয়ে । নিজে থেকেই আমাকে সব জিজ্ঞেস করল আমার সম্পর্কে । আমি কি করি , কোথায় পড়ি , আমার কি করতে ভালো লাগে , কি করতে খারাপ লাগে , আমাকে নিয়ে লেখা সেই গল্পের মূল বিষয়বস্তু - সব । মেয়েটা আমার এক বছরের সিনিয়র ছিল । অর্থাত্ এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে । আমার সাথে যখন পরিচয় হয় তখনো পরীক্ষা চলতেছিল । আমারও ওর সাথে কথা বলতে ভালো লাগত । তাই বলতাম । আমার লেখার ফ্যান ছিল ও । ওর আসল নাম তাসনি ।

-কি ডাকব তোমাকে বলতো ?
-আপু ডাকার দরকার নাই
-ওইটা আমি ডাকবও না
-তুই করে ডাকতে পার
-না তুই না । তুমি করে ডাকি । তবে হ্যাঁ নাম ধরে । তাসনি.. এই তাসনি.. তাসনি..
-আচ্ছা
-আমি তোমাকে তুমি করে ডাকবো আর তুমি আমাকে তুই করে ডাকবা
-ওক্কে...

কয়েকদিন পর একদিন রাতে হঠাত্ করেই ও ফোন করে আমাকে । ফেসবুক থেকে আমার নাম্বার নিয়ে । আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি কে ফোন করছে । পরে বুঝতে পারছি । যদিও আমি আশা করিনাই ও আমাকে এভাবে এত তাড়াতাড়ি এত রাতে ফোন করবে । অবাক হলেও প্রকাশ করলাম না । আর হ্যাঁ, তাসনিই ছিল আমাকে ফোন দেওয়া আমার প্রথম মেয়ে বন্ধু ।
ওইরাতে কথা হওয়ার পরও আমি তেমন একটা গুরুত্ব দিই নাই । ভেবেছিলাম একবার ফোন দিয়েছে আরকি । আর কখনো দিবে না । দিলেও কয়েকমাসে একবার ।
কিন্তু এর দুইদিন পর, আমি তখন বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলছি । খেলছিলাম বলে মোবাইলের দিকে খেয়াল ছিল না । সন্ধ্যায় যখন বাসায় ফিরছিলাম তখন মোবাইল চেক করে দেখি চারটা মিস কল । সব তাসনির । আমি ব্যাক করলাম । ধরলনা । এর দুই মিনিট পর ও ফোন দিল । প্রায় বিশ মিনিট ধরে কথা বললাম । ভালোই লাগছিল ।
এরপর থেকেই নিয়মিত ফোন দিত । আমি দিতাম না কখনো । ও নিজেই দিত । আর দিত যে রাত ১২টার পর । ঘন্টা ঘন্টা কথা বলতাম । ও ওর নিজের সম্পর্কে প্রায় সব কথাই বলত । কোন কিছু বাদ থাকত বলে মনে হয় না । ও যে ছেলেটাকে ভালোবাসতো ওইটার কথা বলত । কিভাবে ওদের সম্পর্কটা হয়েছিল, সেটাও বলেছিল । সম্পর্কটা একপ্রকার ছেলেটার জোরাজুরিতেই হয । কিন্তু আমার সাথে পরিচিত হওয়ার কয়েকমাস আগে থেকে ছেলেটা ওর সাথে খারাপ আচরণ করত । ওকে সবসময় ঝাড়ি মারত । দিনে একবারের বেশি ফোন দিলে বকত । একবার কথা হলেও সেটা পাঁচ মিনিটের বেশি হত না । আর ছেলেটাও কখনো ফোন দিত না । ও নিজেই প্রতিদিন ফোন দিয়ে ছেলেটার খোঁজ নিত । তবে হ্যাঁ ও যদি অন্য কোন ছেলের সাথে কথা বলে তাহলে ছেলেটা রেগে যায় । ওর ছেলেবন্ধু থাকুক, এটা পছন্দ করত না । তাসনির অনেক ইচ্ছা ছিল গিটার শেখার । কিন্তু সেটাতেও ওই ছেলের নিষেধ । কারণ গিটার শিখতে গেলে ছেলেদের সাথে মিশতে হবে তাসনিকে, তাই ।
তাসনি ছেলেটাকে অনেক ভালোবাসত । আমাকে বলত, ওকে ছাড়া আমি আর কাউকে বিয়ে করব না । সবসময় ওকেই ভালোবাসব । আর কাউকে না । দেখে নিস ।। আমি তেমন পাত্তা দিতাম না । আরে তুমি এইগুলা এখন বলতেছ যে । যখন ওর চেয়ে ভালো কাউকে পাবা, তখন ওকে ভুলি যাবা । ও জোর গলায় অস্বীকার করত ।
ছেলেটা অনেক কষ্ট দিত ওকে । এরকমই একদিন আমাকে ফোন দিয়ে অনেক কাঁদছিল ও । আমি কিছু বলতে পারিনি । আমারও একটু কষ্ট হচ্ছিল ।
আমি ওরে বলতাম সবসময়, দেখো ও তোমার কাছে ফিরে আসবে আবার । এখন একটু দুষ্টামি করতেছে । ওর কাছে তেমনটা মনে হত না । একবার আমার পরামর্শ মত ওই ছেলেটাকে তিনদিন ফোন দিল না ও । এর পরে ছেলেটা ফোন দিয়েছিল । সে নাকি ওর ফোন দেয়া মিস করতেছিল ।।
আমি সবসময় ছাদে বসে কথা বলতাম ওর সাথে । ঘরের ভিতর কথা বললে প্রবলেম হত । ও সেটা পছন্দ করত না । বলে রাতে ছাদে বসে থাকাটা ঠিক না । ও বারবার মানা করত । আমি তারপরও যেতাম । ওর বকাগুলা শুনতে ভালো লাগত ।

-তুই ছাদে কি করছিস ?
-পরী খুঁজি ।
-এক্ষুণি বাসায় ঢুক
-এত তাড়তাড়ি না
-ঢুক বলছি । পরী ধরলে বুঝতে পারবি
-বাসায় ঢুকলে তোমার সাথে কথা বলতে পারব না ।
-দরকার নাই ।
-না আছে ।
-তাইলে সিঁড়ির কাছে গিয়ে কথা বল । ছাদের দরজা বন্ধ করে ।
-নাহ । বাতাসটা ভালো লাগছে ।
-তোর সাথে আর কথা নাই
-ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করা ঠিক না
-হিহিহি....

আমি যদি না খেয়ে থাকতাম তাইলে রেগে যেত । বলত ওই মুহূর্তে খেয়ে আসতে হবে, যত সমস্যাই হোক । সবসময় খাইছি কিনা জিজ্ঞেস করত ।
একদিন কলেজে যাওয়ার সময় একটা ছোট্ট এক্সিডেন্ট করেছিলাম । পায়ে ব্যথা পেয়েছিলাম কিছুটা । এটা শুনে ও চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিয়েছিল । আমি কেন এরপরও কলেজে গেলাম ? ছুটি হওয়ার পরও বাসায় যাচ্ছি না কেন ? হাঁটছি কেন ? কি কি ওষুধ খেতে হবে , কি করতে হবে , সব বলে দিছে ।।
সবসময় বলত আমি নাকি অনেক বড় শয়তান । যেদিন দেখা হবে ওইদিন অনেক মাইর দেবে । কিন্তু দেয়নাই ।
একদিন হঠাত্ কল করে বলে জিইসি মোড়ে চলে আসবি বিকেলে ৪টায় । চারটা পাঁচ পর্যন্ত অপেক্ষা করে একটা ফোন দিয়ে বলব আমি যাচ্ছি । এরপর চলে যাব ।
সত্যি বলছি ওই দিন আমি ১৫ মিনিটে পৌঁছে গিয়েছিলাম । বর্তমানে বের হওয়া মোটরওয়ালা রিক্সা দিয়ে । ওর সাথে আমার ৪বার দেখা হয়েছিল । ওর সাথে যতবার দেখা হয়েছে ততবারই ওই রিক্সায় করে গেছি, যাতে দেরী না হয় । আর দেখা করার সময়কার সব খরচ ওর । আমি শুধু ওর জন্য চকলেট নিয়ে যেতাম । চকলেট অনেক বেশি পছন্দ করত ।
দ্বিতীয়বার একসাথে ঘুরেছিলাম । ফটো তুলেছিলাম । ও জোর করে আমার কয়েকটা ফটো তুলেছিল । যদিও সেগুলো নিজের কাছে রাখেনি ।।
একবার আমি ওর সাথে ইচ্ছা করে একটু রাগ করছিলাম । পরে ওর খারাপ লাগা দেখে আবার ঠিক করে ফেলেছি ।

-জানিস একদিন টুপ করে হারাই যাব । ওইদিন সবাই বুঝবে ।
-হারাই যাবা কোন দুঃখে ? এত সহজ না । আগে আমি হারাবো । তারপর তুমি ।
-আরে না । আগে আমি । আমার কবরটাও হবে অনেক দূরে । অন্য দেশে । মরার সময় কেউ থাকবে না আমার পাশে । আমার ইচ্ছা ।
-তো হারানোর দরকার কি ?
-সবাইকে কষ্ট দি । বিরক্ত করি ।
-কে বলছে কষ্ট দাও ? নিজে কষ্ট পাও যে ?
-নাহ
-ও আচ্ছা । ঠিকাছে যাও ।।

আমি এরপর ওকে একটা মেসেজ পাঠিয়েছিলাম । বলেছিলাম তুমি হারাতে পারবা না । কমপক্ষে আমি যতদিন আছি । অনেককে খুশি রাখতে তোমার থাকার প্রয়োজন ।
আমার মেসেজটা দেখে ও আমাকে বারবার সরি বলতেছিল । বলতেছিল, আরে তোর এত খারাপ লাগবে ভাবিনাই । সরি সরি । আমি তো এমনিতে বলছিলাম । আচ্ছা হারাবো না ।
আমি জানি আমি ওকে অনেক পছন্দ করি । আমি ওকে কখনো ফোন দিতাম না । ও নিজে দিত । দুই একদিন পরপর । আর ফেসবুকে তো ছিলই । ও নিজের স্বপ্নের কথা বলত । ওর ইচ্ছা ছিল IBA তে পড়ার । কিন্তু ওর আম্মু বলত মেডিকেলে পড়তে হবে । এসব বলত । বলত যে ও মেডিকেলের পড়া সামলাতে পারবে না ।।
ওকে আমি একবার গান শুনাইছিলাম । অনেক পছন্দ করছিলো । এরপর অনেকবারই বলছিল শুনাইতে, কিন্তু আর একবারও শুনাইনাই ।
ও চিন্তায় ছিল অনেক রেজাল্ট নিয়ে । এ প্লাস না পেলে অনেক প্রবলেম হবে ।

-আমি এ প্লাস না পাইলে মারা যাব সত্যি
-আরে এইটাতে মরার কি হইল ?
-অনেক ভয় করতেছে রে ।
-এত ভয় পাওয়ার কিছু নাই । ভাব কম দেখাও । তুমি এ প্লাস পাবা নিশ্চিত । তারপর IBA পড়বা । বড় জব করবা । টাকা কামাবা । আর আমারে দিবা ।
-আচ্ছা দিব । তোরে তো দিবই ।
-সত্যি ? বাহ ধন্যবাদ ।
-ওই জানিস তূর্যয় কি বলছে ?
-কি ?
-আমি যদি এ প্লাস পাই তাইলে দেখা হবে আমাদের । প্রথমবারের মত ।
-বল কি ? সব দিকেই ঠিকঠাক । পিরিতির দিকেও । বাহ
-প্লিজ একটু দোয়া কর । প্লিজ...
-খাওয়াইতে হবে কিন্তু ।
-রেজাল্ট ভালো হইলে আমি নিজে তোকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে খাওয়াবো ।

শেষবার যেদিন দেখা হইছিল ওইদিন আমি ওকে ওর অন্য বন্ধুগুলাকে নিয়ে খেপাচ্ছিলাম । ও বলছে, একটা সত্যি কথা বলি, ওরা সবাই আমাকে ফোন দিয়ে আমার খোঁজ নেয় । আর আমি তোকে ফোন দেই...
আসলেই ও আমাকে সবসময় ফোন দিত ।।
৩ আগস্ট রেজাল্ট দেবে এইচএসসির । এর দুই দিন আগে সকালে ১২টার দিকে ফোন দিয়ে আমাকে দেখা করতে যাইতে বলছিল । কিন্তু আমি ঘুমাচ্ছিলাম বুঝতে পেরে আর জোর করেনি । এরপর দিনও ওর সাথে কথা হয় । কিন্তু এরপর আর হয়নাই রেজাল্ট দেওয়া পর্যন্ত । এমনকি রেজাল্টের দিনও আমি ওকে একবারও কল দিই নাই । কেন দিই নাই জানিনা ।
রেজাল্ট পাবলিশ হয় দুপুর ২টায় । আমি ওকে ৪টার দিকে ফোন দিই । মোবাইল বন্ধ । বেশ কয়েকবার দিই । ৫টার দিকে ব্যাক করে ও । আমি তখন বন্ধুদের সাথে জিইসি মোড়ে ছিলাম ।
ফোন রিসিভ করেই শুনলাম ও কাঁদতেছে । আমি কি হইছি জিজ্ঞেস করার পর কি জানি বলতেছিল । বলতেছিল কেউ একজন আর নাই । চারদিকে আওয়াজ থাকায় ঠিকমত শুনতে পারতেছিলাম না । ফোন কেটে আবার দিলাম । এবারো ওর কথা বুঝতে পারতেছিলাম না । তবে আমি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম যে ওর রেজাল্ট খারাপ হয়েছে । সেই কারণে হয়ত আংকেল আন্টি কেউ একজন....
আধাঘন্টা পর বাসায় যাচ্ছিলাম । তখন আবার ফোন দিলাম একটা গলিতে দাঁড়িয়ে ।

-চুপ । একদম চুপ । আগে কান্না থামাও ।
-আ...
-চুপ । বললাম না কান্না থামাতে ? এবার আস্তে আস্তে বল কি হইছে ?
-রেজাল্ট শোনার পর আপু নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিছিলো । সবাই ভাবছিলো কাঁদতেছে । অনেকক্ষণ পর আমি জানালার উপর দিয়ে দেখি আপু ওড়না পেঁচাই ঝুলতেছে । আপু আর নাই...
-মানে ? কে তুমি ? তানজি ?
-হ্যাঁ
-আচ্ছা এখন বল তাসনি কই ? ও কোথায় ?
-আপু আর নাই । আমি আপনাকে কতবার বলব ??

মেয়েটা কাঁদতেছে । তানজি, তাসনির ছোট বোন ।
আর আমি ? মোবাইলটাকে গলির অন্য দেয়ালে শরীরের সব শক্তি দিয়ে ছুঁড়ে মারলাম । কেন জানিনা ।
তবে আমি কথাগুলা একটাও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না । এটা হতে পারে না কখনো । তাসনি নাই মানে ??
হঠাত্ করেই মনে হল অনেক বড় কিছু একটা হারাই ফেলছি । অনেক দামি কিছু । হঠাত্ করেই বুঝতে পেরেছিলাম, এতদিন যতটা ভাবতাম, এরচেয়ে অনেক বেশি পছন্দ করতাম মেয়েটাকে । আর ও আমাকে কতটা পছন্দ করত বলে বোঝাতে পারব না । ও আমাকে ১ তারিখ, মানে দুই দিন আগেই বলছিল, কিছু কিছু সম্পর্ক থাকে যেগুলোর কোন নাম থাকে না । তোর আর আমার সম্পর্কটাও তেমন ।।
একটা কথা আমি ওই সময় প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম । আসলে ওর মত করে আর কেউ আমাকে কখনো ভালোবাসেনি । সেজন্য এভাবে তাড়াতাড়ি চলে গেছে ।।
ওর সাথে পরিচিত হয়েছি বেশিদিন হয়নি । কিন্তু এই অল্প কয়দিনেই অনেক বেশি আপন করে নিয়েছিল আমাকে । আমি? হ্যাঁ আমিও করেছিলাম ।। কিন্তু মেয়েটা এই কাজটা কেন করল??

তুই মেয়েটা অনেক অনেক খারাপ । আমার চেয়েও বেশি খারাপ । এই কাজটা না করলে কি বেশি প্রবলেম হইত ??
বলছিলি তুই একদিন টুপ করে হারিয়ে যাবি । কিন্তু সেটা এত তাড়াতাডি কেন ? কখনো ভাবিনাই এভাবে চলে যাবি । হারিয়ে যাওয়ার কথা ছিল আমার । অর এখন কিনা তুইই চলে গেলি ।।
তুই বলছিলি আমি নাকি তোরে কোনদিন আপু ডাকিনাই । আজকে ডাকতেছি । আপু কই চলি গেলি তুই ? আমি অভ্র । শুনতেছস ??

##the end##

(এই গল্পের একটা অক্ষরও মিথ্যা না । ৩ আগস্ট আত্মহত্যা করেছে তাসনি । ভালো রেজাল্ট করতে পারে নাই বলে । বাবা মায়ের আশা পূরণ করতে পারবে না বলে ।।
তাসনি, এইরকম একটা গল্পে তোমাকে পেয়েছিলাম । আর আজকে তোমার জন্য তেমনি একটা গল্প লিখেছি । তুমি বলছিলা তোমার জন্য লিখতে । খুশি হইছ??
এই লেখাটা লেখার সময় আমি অনেকবার চোখ মুছেছি । কেন জানিনা । হয়ত ময়লা পড়তেছিল ।
আজকে তোমার জন্মদিন । আমাকে বলছিলা খাওয়াবা । কিন্তু তুমি তো নাই । তোমার জন্য এই লেখাটা বার্থডে গিফট ।
ভালো থেকো তাসনি...)
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×