somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প - জোনাক পোকা

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি সবাইকে 'অভ্র' নামে পরিচয় দিই । যদিও এই নাম আমার বাবা-মার দেওয়া না । তাই বলে এটা নকল নাম আর তাঁদের দেওয়াটা আসল নাম, তা না । দুইটাই আসল । শুধু পার্থক্য হল, ওইটা বাবা-মা রাখছে আর এইটা আমি রাখছি । তাঁরা ওইটা রাখার সময় গরু-ছাগল জবাই করে আকিকা দিছেন আর আমি একটা পাখিও না । পাখি বেশ বড় হয়ে যাচ্ছে । বলা যায় একটা মশা-মাছিও না ।

আচ্ছা নাম নিয়ে প্যাঁচাল করার কি দরকার? থাক না যেটা আছে সেটা । মানে 'অভ্র' আরকি...



এবার আমার মনের অবস্থা বলি । সত্যি কথা বলতে সেটার অবস্থা অত্যধিক খারাপ । অধিকতর খারাপ । পুড়ে একেবারে ছাই হয়ে গেছে । কারণ সে চলে গেছে আমাকে ছেড়ে । দুষ্টামি করে আগেও কয়েকবার গিয়েছিল । ফিরেও এসেছে । তবে এবার বেশ সিরিয়াস ভাবে গেছে । আমিও বুঝতে পারছি কতটা সিরিয়াস । সেজন্যেই মনের অবস্থা এতটা খারাপ । তাকে এবার আর ফেরানোর চেষ্টাও করিনি । সে আর এডজাস্ট করতে পারছেনা আমার সাথে । আমাকে সহ্য করতে পারছেনা । অবশ্য তাকেও দোষ দিতে পারছি না । আমি হয়ত আসলেই এমন অসহ্য । নিজেকে নিয়ে বেশ কনফিউজড আমি ।



এই মুহূর্তে আমি বেশ বিরক্ত । বিরক্তির মূল কারণ আমার পাশে হাঁটতে থাকা মেয়েটা । একই ভার্সিটিতে পড়ি । তবে মেয়েটা আমার জুনিয়র । মেয়েটাকে চিনি আগে থেকে । কিন্তু তেমন একটা কথা হয়নি । একটু আগে ভার্সিটি থেকে বের হওয়ার সময় দেখা হয়ে যায় মেয়েটার সাথে । সেও নাকি বাসায় যাবে । কিছুদুর একসাথে যাওয়া যাবে । তারপর দুজন দুদিকে ।

দেখা হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত একটা কাজ মেয়েটা ননস্টপ করে যাচ্ছে । সেটা হল কথা বলা । একটা সেকেন্ডের জন্যও মেয়েটার কথা বন্ধ হয়নি । মাথা ধরে গেছে আমার । তারপরও কিছু বলতে পারছিনা । আসলে কথা বলতেই ইচ্ছা হচ্ছে না । আর মেয়েটার থামার কোন লক্ষণই নেই । মেয়েটার গায়ের রং কালো । তবে চেহারায় একটা মায়া আছে । ভালো লাগার মত এই একটা জিনিসই আছে । যদিও আমার এখন ওইটাও ভালো লাগছে না ।

মেয়েটার কথার মধ্যে সব ধরনের কথা আছে । গতকাল কিভাবে হোঁচট খেয়ে পড়তে পড়তে বেঁচে গেছে সেটা থেকে শুরু করে আজকে সকালে তার বাবা তার সামনে তার মাকে চোখ টিপ মারা পর্যন্ত সব । তার বাবা মায়ের রোমান্টিক লাইফ আর রোমাঞ্চ নিয়ে সে খুব এক্সাইটেড । সে নিজেও এমন একটা রোমান্টিক লাইফ চায়, এটা পর্যন্ত বলে দিল । মেয়েটার সাথে আমার আজই প্রথম কথা হচ্ছে । আগে যা হয়েছে সব হাই হ্যালো কেমন আছো টাইপের । আজই প্রথম, আর আজই মেয়েটা এসব বলে দিচ্ছে । কি মনে করে বলছে ? কে আমি ? কিছুটা অবাকই হলাম । তবে সেটা প্রকাশ করলাম না ।

আর কিছুদুর হাঁটার পর দুজন দুদিকে যাওয়ার সময় এসে গেল । আমি ভদ্রতা দেখাতে বললাম



-একা যেতে পারবে ? বাসা পর্যন্ত এগিয়ে দিব ?

-অনেক ধন্যবাদ । খুব পারব একা যেতে । এত সহজে আমার বাসার ঠিকানা জানতে দিচ্ছি না আপনাকে ।



মেয়েটার জবাব শুনে আমি বেকুব হয়ে গেলাম । কি বলে এই মেয়ে ??



-আমি কি বলেছি আমি তোমার ঠিকানা জানতে চাই ?

-জানতে যে চান না সেটাও তো বলেননি ।



আমি কয়েক সেকেন্ডের জন্য চুপ করে গেলাম । এই মেয়ের মাথায় নিশ্চিত প্রবলেম আছে ।



-আচ্ছা যাও তাইলে । তোমার ঠিকানা ভালো থাকুক, সুখে থাকুক, যত্নে থাকুক । বিদায়...

-এমন ভাবে বলতেছেন যেন আর কখনো দেখা হবে না ।

-বলা যায় না...



মেয়েটা চলে যাচ্ছে । আমারও আর দাঁড়িয়ে থাকার ইচ্ছা নাই । ঘুরে পা বাড়াতে যাব এমন সময় মেয়েটা পিছন থেকে ডাক দিল । অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফিরলাম ।



-আমার নাম তো জানেন না মনে হয় । আমার নাম সুবহা ।

-আমি কি বলছি আমি তোমার নাম জানতে চাই ?

-জানতে চান না সেটাও তো বলেননি ।



বলেই মেয়েটা হেসে ফেলল । চোখে মুখে দুষ্টুমির ছাপ স্পষ্ট মেয়েটার । আমার আর কিছু বলার নাই তখন । আমি অবাক হয়ে সুবহা নামের মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইলাম । মেয়েটার হাসিটা বেশ সুন্দর । দেখতে অনেক ভালো লাগছে । আমাকে ওইভাবে রেখেই মেয়েটা চলে গেল হেঁটে হেঁটে ।



পরদিন ভার্সিটিতে ক্লাসের পর দাঁড়িয়ে ছিলাম ফ্রেন্ডসদের সাথে । এমন সময় দেখলাম সুবহা নামের মেয়েটা আমাকে ডাকছে । ফ্রেন্ডসদের ঈঙ্গিতপূর্ণ চোখের চাহনি উপেক্ষা করে গেলাম ওর কাছে ।



-যাবেন না ?

-কোথায় ?

-কোথায় আবার ? বাসায় ?

-হুম যাব তো ।

-চলেন একসাথে যাই ।



আমার মোটেই ইচ্ছা নাই একসাথে যাওয়ার । তাই মিথ্যে বললাম ।



-আমার যেতে একটু দেরী হবে । তুমি চলে যাও ।

-ও...



মেয়েটা চিন্তা করছে । চোখমুখ অন্ধকার হয়ে গেছে । ভেবেছিল একসাথে যাবে । মন খারাপ হয়ে গেছে হয়ত । আমি নিজের চোখের সামনে সফলতা দেখতে পেয়ে মনে মনে খুশি । যাক একসাথে যেতে হবে না । বাঁচা গেছে । কিন্তু হঠাত মেয়েটার মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠাতে শংকিত হয়ে পড়লাম ।



-আচ্ছা আমি ওই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি । আপনার যাওয়ার সময় হলে বলবেন । আমি ওই পাশটায় আছি । ঠিকাছে ?



আমি মনমরা অবস্থায় বললাম, আচ্ছা ।

মেয়েটা একটু দূরে দাঁড়ানো আরেকটা মেয়ের সাথে কথা বলা শুরু করল । আমি আবার বন্ধুদের কাছে ফিরে গেলাম । সবাই জানতে চাইছে মেয়েটা কে ? আমার সাথে কি ওর ? আমার তখন কিছু বলার মুড নাই । মেজাজটা খারাপ হয়ে গেছে, নিজের উপর । জানি না কেন হয়েছে ।

বেশীক্ষণ দাঁড়ালাম না আর । লাভ নেই কোন । আগে যাই বা পরে, মেয়েটার সাথেই যেতে হবে । শুধু শুধু দাঁড়িয়ে থেকে সময় নষ্ট করার দরকার নাই কোন ।



ভার্সিটি থেকে বের হয়েই আমাকে সে হুকুমের সুরে বলল, একটা রিক্সা ঠিক করেন ।

মেজাজ এমনিতেও খারাপ । তার উপর এইরকম কথা শুনে সেটা আরো বাড়লো । সরাসরি বলে দিলাম, পারবোনা । তুমি কর ।

আমার যে মেজাজ খারাপ এটা সুবহা মনে হয় খেয়ালই করেনি ।



-বলেন কি ? আপনি একটা মেয়েকে এভাবে রিক্সা ঠিক করতে বলতেছেন ?

-কেন ? মেয়েরা রিক্সা ঠিক করলে কোন সমস্যা আছে ?

-নাহ । কিন্তু যখন সাথে কোন ছেলে থাকে তখন তো করে না ।



আমার তর্ক করতে ইচ্ছা করছে না । এই মেয়ের সাথে তর্ক করে ফায়দা নাই । ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজের কথাটাই সত্য প্রমাণ করতে ব্যস্ত থাকবে । সব মেয়েই কি এমন ? শিওর না ।

রিক্সা ঠিক করলাম একটা । রিক্সাওয়ালার বয়স বেশি না । রিক্সায় উঠেই আমি বললাম, মামা হুডটা তুলে দেন তো ।

তখন সুবহা বাধা দিল ।



-রোদ নাই তো । হুড তোলার কি দরকার ?

-না মানে..

-আমরা কি প্রেম করতেছি নাকি । এত ভয়ের কি আছে ? থাকুক এরকম ।



আমার এখন অধিক শোকে পাথরের মত অবস্থা । নিজেকে একটা পুতুল মনে হইতেছে । যাকে নিয়ে ইচ্ছামত যা খুশি করা যায় । ইচ্ছা হলে হাত একটা চাপ দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা যায় । আবার চাইলেই লাগিয়ে দেয়া যায় । বড়ই শোচনীয় অবস্থা ।



এরপর বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেছে । সবকিছু পাল্টে গেছে এই কদিনে । যেই মেয়েটাকে বিরক্ত লাগত অনেক, সেই সুবহা নামের মেয়েটাকেই এখন অনেক ভালো লাগে । বেশ ভালো বন্ধু আমরা । অনেক কথা বলে সুবহা । এত কথা কোথা থেকে যে বের হয় কে জানে । তবে আমার এখন আর শুনতে খারাপ লাগে না । একবার ভালোবাসা নিয়ে ওর ইচ্ছার কথা বলেছিল ।



-জানো আমার খুব শখ কাউকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসবো । সেও মন প্রাণ দিয়ে আমাকে ভালোবাসবে ।

-তোমাকে ভালোবাসবে ? হাহ...

-কেন ? আমাকে ভালোবাসা যায় না ?

-তুমি যে কত কথা বল সেটা শুনলেই ভালোবাসার সাধ মিটে যাবে । পালাবার রাস্তা খুঁজবে তখন ।

-বলছে তোমাকে..

-বলতে হবে কেন ? আমি জানি ।

-হইছে । চুপ । আমি এখন রেগে গেছি । আমার সাথে তিন মিনিট কথা বলবা না ।

-আচ্ছা ।



বরাবর তিন মিনিট পর...



-জানো আমি যাকে ভালোবাসবো তাকে বলে দেব যে সে আমাকে 'জোনাক পোকা' ডাকতে হবে ।

-মানে কি ? জোনাক পোকা ডাকতে হবে কেন ?

-আমার ইচ্ছা । আমার ভালো লাগে ।

-বাহ । ইন্টারেস্টিং...



আমি সুবহাকে নিয়ে কখনো ভালোবাসা সম্পর্কিত কিছু চিন্তা করিনি । ইচ্ছা হয়নি কখনো । এসবে তেমন আগ্রহ নাই । কিন্তু কিছুদিন পর থেকে যখন সুবহা কোন ছেলের সম্পর্কে ভালো কিছু বলত, তখন রাগ হত । ওরে কিছু বলতেও পারতাম না । মানাও করতে পারতাম না । এসব শুনলে ও নিশ্চিত হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাবে ।

আমার নিজেরই বা এমন হচ্ছে কেন ? ও কোন ছেলের সম্পর্কে ভালো কিছু বলতেই পারে, এতে আমার রাগ করার কি আছে ? নিজেকে নিজেই বুঝতে পারতেছি না । হতে পারে এতদিন একসাথে থাকার ফলে আমি চাই সুবহার সবকিছুই 'আমি' কেন্দ্রিক হোক । আমি চাই ওর সবকিছুতে শুধু আমি থাকতে ।

আরো কিছুদিন পর ব্যাপারটা পরিষ্কার হল আমার কাছে । নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করলাম । আমি ওই সুবহা নামের মেয়েটার প্রেমে প্রচন্ড জোরে আছড়ে পড়েছি । ওঠার শক্তি নেই ।

আমি এখন এ ব্যাপারে শিওর এবং আমার উচিত যত তাড়াতাড়ি পারি ওকে এসব বলে দেয়া । এসব ব্যাপারে দেরি করা ঠিক না । মাঝখানে অন্য কেউ এসে ঢুকে পড়তে পারে ।

দিন তারিখ ঠিক করে ফেললাম । মনে মনে প্রস্তুতি নিতে থাকলাম । নির্দিষ্ট দিনে ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম । কোন ফুল-টুল কিচ্ছু আনি নাই । টেনশনে এতকিছু মনে ছিল না । এখন শুধু একটাই চিন্তা, ওরে জানাতে হবে সব । এই কয়দিন ওর সাথে তেমন যোগাযোগ হয়নি । তাই আমার উপর কিছুটা রেগে আছে ও ।



-সুবহা... এই সুবহা...

-চিল্লাচ্ছ কেন ? বল..

-না মানে... আসলে...

-কি মানে ? কি আসলে ? যা বলার ঠিকভাবে বল । এইভাবে একবার এদিকে একবার ওইদিকে দুলতেছ কেন ? সোজা হয়ে দাঁড়াও... এবার বল...

-আসলে... আমি আসলে... তুমি... মানে...

-আজব তো । এইভাবে আমি তুমি করতেছ কেন ? তুমি বলবা ? নাইলে আমি যাচ্ছি... বাই...

-আরে দাঁড়াও না বলছি ।

-হুম...

-আমি... তোমাকে... মানে তোমাকে আমার জোনাক পোকা করতে চাই । তুমি কি আমার জোনাক পোকা হবে ? প্লিজ...



কথাগুলো বলেই আমি চোখ নিচের দিকে নামিয়ে ফেললাম । সুবহা কি করবে দেখার সাহস নাই । জানি না কি হবে । চুপ করে আছে ও । একবার কি ওর দিকে তাকাবো ? না থাক । রিস্ক নেওয়ার দরকার নাই ।

বেশ কিছুক্ষণ পর সুবহা স্বাভাবিক ভাবেই বলল, যাও রিক্সা ঠিক কর একটা ।

আমি বাধ্য ছেলের মত রিক্সা ডাকলাম । রিক্সায় উঠে পড়লাম আগেই ।



-তুমি বাম পাশে বসলে কেন ? বাম পাশে মেয়েরা বসে । যাও ডান পাশে যাও...



গেলাম ডানপাশে । এখনো আমি ওর চোখের দিকে তাকাতে পারিনি । জানিনা কি না কি দেখব তাকালে । সুবহা রিক্সায় উঠে রিক্সাওয়ালাকে বলল, মামা হুডটা তুলে দেন তো ।



সুবহা হঠাত আমার হাতটা ধরতেই আমি ওর দিকে তাকাবার সাহস পেলাম । সামনের দিকে তাকিয়ে আছে ও । দৃশ্যপট পাল্টে গেছে । এখন ও আমার দিকে তাকাতে পারছে না । লজ্জা পাচ্ছে । আমি ওর হাতটা শক্ত করে ধরলাম । আমার এখন পাগলের মত চিত্‍কার করে গাইতে ইচ্ছা করতেছে,



"আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে..."



##The enD##
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×