somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্ক্রুড্রাইভার- ৪ (যত্ন সহকারে মাথার স্ক্রু লুজ করি)

০৬ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আরেকটা স্ক্রুড্রাইভার নিয়া হাজির হইলাম। এই ধাঁধাটা অনেকেই শুনেছেন আশা করি। পুরোটাই ক্যালকুলেশনের উপর। আমার এই ধাঁধাটার সমাধান করতে ঘাম বাহির হইয়া গেছিলো (কারেন্ট ছিলো না;))। আপ্নারা ট্রাই কইরা দেখেন কত তাড়াতাড়ি সমাধান দিতে পারেন...

ধাঁধাটা ইন্টারে থাকতে শুনছিলাম। শুনে লিখে রাখছিলাম। সমাধান করছি আরো পরে। এখন সাজাইয়া লিখতে পারিনাই। কেমন যেন ছন্নছাড়া মনে হচ্ছে। এইজন্য দুঃখিত...


পাঁচ জন লোক বিমানে করে যাচ্ছিলেন। পথে বিমান ক্রাশল্যান্ড করলো একটা দ্বীপে। কপাল ভালো পাঁচজন যাত্রীই প্রানে বেঁচে গেল। তবে তাদের বিমানের রেডিও সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যাবার ফলে তারা কারো সাথে যোগাযোগ করে যে সাহায্য চাইবে সে উপায় ছিলো না। তারা একটু সুস্থির হবার পর দ্বীপটি ঘুরে দেখতে বের হল। মাথায় খাবারের চিন্তাতো আছেই।

যাই হোক, তারা আবিস্কার করল, দ্বীপটি মাঝারি আকৃতির। দ্বীপের উল্লেখযোগ্য বাসিন্দা বলতে আছে কেবল বানর (আর এখন বানর এবং তারা পাঁচ জন)। আর আছে প্রচুর নারিকেল গাছ। বলা যায় পুরো দ্বীপ জুড়েই আছে নারিকেল গাছ। তারা বুঝতে পারলো যে তাদের বেশ কিছুদিন এই দ্বীপেই থাকতে হবে। তাই তারা খাদ্য সংগ্রহে নামলো। তারা এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নারিকেল কুড়ানো শুরু করল। দিনের বাকি অংশটা তারা নারিকেল সংগ্রহ করেই কাটালো।

রাতে ঘুমাতে যাবার সময় ঠিক করল, সারারাত সবাই পালা করে পাহারা দিবে। একজন ২ ঘন্টা করে পাহারা দিবে। দুইঘন্টা পর আরেকজন এইভাবে। যদি কোনো জাহাজ দ্বীপ্টির কাছ দিয়ে যায় তাকে সংকেত দেবার জন্য আগুন তৈরির কাঠও প্রস্তুত করে রাখল।

তো, সবাই ঘুমিয়ে যাবার পর প্রথমজন পাহারা দেয়া শুরু করল। কিন্তু একটু পরই সে বিরক্ত হয়ে গেল। সে কি করবে ভেবে না পেয়ে নারিকেলগুলো ভাগ করা শুরু করল। নারিকেলগুলো সমান ৫ ভাগে ভাগ করার পর সে দেখলো একটা নারিকেল অবশিষ্ট রয়ে গেছে। তাই সে অবশিষ্ট নারিকেলটি একটি বানরকে দিয়ে দিল। এবার সে নিজের ভাগ লুকিয়ে রেখে বাকি চার ভাগ একত্র করে মিশিয়ে আগের মত স্তুপ করে রাখলো।
দুই ঘন্টা পর দ্বিতীয় জনকে জাগিয়ে সে ঘুমাতে গেলো। ২য় জনও একটু পর বিরক্ত হয়ে নারিকেল ভাগ করতে বসলো। ৫ ভাগ করার পর একটা অবশিষ্ট থেকে গেলো। সেটা একটা বানরকে দান করে দিয়ে এক ভাগ নিজের জন্য লুকিয়ে রেখে বাকি চার ভাগ একত্রিত করে রাখলো।
একই ঘটনা পরবর্তী তিনজনের বেলায়ও ঘটলো।

গল্প এইখানেই শেষ।

প্রশ্ন হইলো, নূন্যতম কয়টা নারিকেল হইলে এই ঘটনাটি ঘটা সম্ভব?




একটু হেল্পাই,
যদি নারিকেল ৬২১টা হইতো তবে...
প্রথম জন... পাইতো ৬২১টা
এক ভাগে ১২৪টা করে দেয়ার পর বাকি থাকতো ১টা(বানরের ভাগ)
একভাগ লুকিয়ে রাখার পর বাকি থাকত ১২৪*৪=৪৯৬টা

২য় জন... পাইতো ৪৯৬টা
এক ভাগে ৯৯টা করে দেয়ার পর বাকি থাকতো ১টা(বানরের ভাগ)
একভাগ লুকিয়ে রাখার পর বাকি থাকত ৯৯*৪=৩৯৬টা

৩য় জন...পাইতো ৩৯৬টা
এক ভাগে ৭৯টা করে দেয়ার পর বাকি থাকতো ১টা(বানরের ভাগ)
একভাগ লুকিয়ে রাখার পর বাকি থাকত ৭৯*৪=৩১৬টা

৪র্থ জন... পাইতো ৩১৬টা
এক ভাগে ৬৩টা করে দেয়ার পর বাকি থাকতো ১টা(বানরের ভাগ)
একভাগ লুকিয়ে রাখার পর বাকি থাকত ৬৩*৪=২৫২টা

৫ম জন... পাইতো ২৫২টা
এক ভাগে ৫০টা করে দেয়ার পর বাকি থাকতো ২টা
কিন্তু বাকি থাকার কথা ১টা...

অর্থাৎ হইলো না। উত্তর ৬২১ না...

দেখেন ট্রাই কইরা... পারেন কিনা...




পুরান জিনিস...
স্ক্রুড্রাইভার-১
স্ক্রুড্রাইভার-২
স্ক্রুড্রাইভার-৩
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩২
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×